। হাবেলী ডিজিটাল ডেস্ক।
আগরতলা।২৯ মে।
বৈদ্যুতিক চপলতায় ভোক্তাদের ধৈর্য্য বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন স্থানে পথ অবরোধ, বিক্ষোভ মিছিল সংঘটিত করা হয়। ভোক্তাদের ক্ষোভের আঁচ পেয়ে সন্ধ্যায় জরুরি ভিত্তিতে দপ্তরের মন্ত্রী রতন লাল নাথ মহাকরণে বিদ্যুৎ নিগমের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষদের সঙ্গে নিয়ে এক বৈঠকে বসেন।রাজ্যে বিদ্যুতের সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত হন তিনি। বৈঠকে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কড়া নির্দেশ দেন।আজ রাতে মধ্যে রাজ্যের সর্বত্র বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক করতেই হবে। এই জন্য প্রয়োজনে অতিরিক্ত কর্মী নিয়োগ করার নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য গত দুই দিনে রেমাল ঝড়ের কবলে পড়ে বৈদ্যুতিক লাইনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কোথাও তারের উপর গাছ ভেঙ্গে পড়ে রয়েছে। কোথাও তার ছিঁড়ে পড়ে গেছে। বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙ্গে পড়ে রয়েছে।যার পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্যুতের জন্য ভোক্তাদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। বিদ্যুৎ না থাকায় অনেক জায়গায় পানিয় জল তোলা সহ বিভিন্ন জরুরি কাজ কর্ম স্তব্ধ হয়ে পড়ে।
এদিকে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে বেশকিছু দিন যাবৎ বৈদ্যুৎ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙ্গে পড়ে রয়েছে। ভোক্তাদের পক্ষ থেকে বৈদ্যুতিক কল অফিসে দিনের পর দিন অভিযোগ জানিয়ে আসছে। কোথাও আবার বৈদ্যুতিক কল অফিসে ফোন করলে ফোন ধরার মত কেউ নেই। ফোন বেজে যেতে থাকে। অনেক এলাকায় কল অফিসে ফোন সারাদিন ভর ব্যস্ত হয়ে থাকে। ভোক্তাদের অভিযোগ কল অফিসে করার সুযোগ পায় না।
অনেক কল অফিসে ফোন করলে বলা হয় এই আসছে । এখনই বিদ্যুৎ চলে আসবে। কিন্তু দেখা যায় ঘন্টা পর ঘন্টা চলে গিয়ে দুই তিন দিন পর্যন্ত চলে যায়। বিদ্যুৎ নিগমের কোন কর্মচারী এলাকায় যাবার প্রয়োজন মনে করে না।
আজ রাজ্য কংগ্রেস আগরতলাতে বিক্ষোভ মিছিল সংঘটিত করেছে। এবং বিদ্যুৎ মন্ত্রী পদত্যাগ দাবি করেছেন।
অন্য দিকে আগরতলাস্থিত টি আর টি সি বিদ্যুৎ কল অফিসে সামনে সি পি আই এম যুব ও ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ সংগঠিত করা হয়েছে।
অপরদিকে রাজ্যের আগরতলাস্থিত আদালত চত্বরে এডভোকেট গন বিদ্যুতের দাবি কোর্টের সামনে পথ অবরোধ করতে থাকে।গত তিন দিন যাবৎ আদালত চত্বরে বিদ্যুৎ নেই বলে এডভোকেটদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়। বিদ্যুৎ কল অফিসে বিদ্যুৎ সমস্যা জানানোর পর সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ না নেয়াতে বিদ্যুতের দাবিতে অবরোধ করতে বাধ্য হয়।বিদ্যূৎ না থাকায় আদালতের জরুরি কাজ কর্ম স্তব্ধ হয়ে পড়ে। জনসাধারণ কে এই জন্য চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়।
অন্য দিকে শান্তির বাজার চড়কবাই এলাকায় বৈদ্যুতিক তার ছোবলে একটি গরুর মৃত্যু হয়।
স্থানীয় জনগণের অভিযোগ বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে। দীর্ঘদিন যাবৎ পড়ে ছিল।আজ বৈদ্যুতিক নিগমের কর্মী এসে ছিঁড়ে পড়া তারটিকে পাশে বিদ্যুতের খুঁটিতে ঝুলিয়ে রেখে চলে যায়। সকালের পরে গরুটি যখন তারের সংস্পর্শে যায় তখনই গরুর মৃত্যু হয়। এই সংবাদ এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সর্বত্রই ক্ষোভ দেখা দেয়। ঘটনার সংবাদ পেয়ে নিগমের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা গন ঘটনা স্থলে ছুটে যায়। নিগমের গাফিলতির কারণে অবুঝ প্রাণী মৃত্যু হওয়ার প্রতিবাদে চড়কবাই এলাকায় পথ অবরোধ শুরু করে। এই ঘটনার সংবাদ পেয়ে ডি সি ঘটনা স্থলে ছুটে যায়। জনগনের সাথে কথা বলে অবরোধ তুলে নেয়।
আজ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা জানান বিদ্যুৎ ব্যবস্থা উন্নয়নে জন্য উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।ঊন্নত পরিষেবা দেয়ার লক্ষ্যে আগরতলাতে কাজ চলছে।