। হাবেলী ডিজিটাল ডেস্ক । আগরতলা । ২৯ জুলাই ।
কাঞ্চনপুরের সুভাষনগর পঞ্চায়েত মাঠে গতকাল থেকে শুরু হয়েছে ৬ দিনব্যাপী আকাঙ্খা মেলা। নীতি আয়োগের অ্যাসপিরেশনাল ব্লক প্রোগ্রামের অঙ্গ হিসেবে সম্পূর্ণতা অভিযান সম্মান উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। মেলার উদ্বোধন করে সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী টিচ্ছু রায় বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্বপ্ন ২০৪৭ সালের মধ্যে বিকশিত ভারত গড়ে তোলা। এরজন্য তিনি গোটা দেশের উন্নয়নের লক্ষ্যে নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করে কাজ করছেন। রাজ্য সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে গ্রামীণ এলাকার মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন করা। সেই লক্ষ্যে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের প্রকল্পগুলি যথাযথভাবে রূপায়ণ কুঁরা হচ্ছে। তিনি বলেন, গ্রামীণ এলাকার মানুষের তৈরি বিভিন্ন সামগ্রী বাজারজাতকরণের লক্ষ্যে পণ্য সামগ্রীর গুণগত মানের উপর গুরুত্বারোপ করতে হবে। এর ফলে অর্থনৈতিকভাবে তারা উপকৃত হতে পারবেন। অনুষ্ঠানে শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী সান্তনা চাকমা বলেন, সমাজের অন্তিম ব্যক্তির উন্নয়ন হলেই আত্মনির্ভর ভারত ও আত্মনির্ভর ত্রিপুরা গড়ে উঠবে। রাজ্যের প্রতিটি ব্লক সমানভাবে এগিয়ে গেলেই রাজ্যের উন্নয়ন সম্ভব। নেশামুক্ত ত্রিপুরা গড়তে হলে সমাজের সকল অংশের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে।অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে উত্তর ত্রিপুরা জেলার জেলাশাসক চাদনী চন্দ্রন বলেন, জেলার দশদা ও দামছড়া অ্যাসপিরেশনাল ব্লক প্রোগ্রাম কর্মসূচি যেমন শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পুষ্টি, পানীয়জল, কৃষি সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের উন্নয়নে ১০০ শতাংশ সফলতার জন্য এই সম্মান সমারোহ ও মেলার আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এমডিসি শৈলেন্দ্র নাথ, দশদা বিএসি’র চেয়ারম্যান উদার রাম রিয়াং, দামছড়া বিএসি’র চেয়ারম্যান উপেন্দ্র রিয়াং, লালজুরি বিএসি’র চেয়ারম্যান অজন্ত কুমার চৌধুরী, টিআরএলএম’র মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক তড়িৎ কান্তি চাকমা, অতিরিক্ত জেলাশাসক এল ডার্লং, কাঞ্চনপুর মহকুমার মহকুমা শাসক ড. দীপক কুমার, মহকুমা পুলিশ আধিকারিক আশিষ ঠাকুর প্রমুখ। এই মেলায় স্বসহায়ক দল সহ বিভিন্ন দপ্তরের মোট ৫০টি প্রদর্শনী স্টল খোলা হয়েছে। মেলায় প্রতিদিন সন্ধ্যায় স্থানীয় ও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের শিল্পীদের দ্বারা মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠান মঞ্চে জেলা প্রশাসনের বিভিন্নস্তরের ৩০ জন আধিকারিক সহ কর্মচারীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।