ইসিআই বিহারে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন শুরু করতে যাচ্ছে

। হাবেলী ডিজিটাল ডেস্ক । আগরতলা । ২৫ জুন।

আজ ভারতের নির্বাচন কমিশন বিহারে কমিশনের নির্ধারিত নির্দেশিকা ও সময়সূচি অনুযায়ী বিশেষ নিবিড় সংশোধন করার নির্দেশ জারি করেছে। এই নিবিড় সংশোধনের লক্ষ্য হলো, সমস্ত যোগ্য নাগরিকদের নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা, যেন তারা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন, অযোগ্য ব্যক্তিদের নাম তালিকায় যেন না থাকে তা নিশ্চিত করা এবং ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তি ও বাদ দেওয়ার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা বজায় রাখা। বিহারে সর্বশেষ নিবিড় সংশোধন ২০০৩ সালে হয়েছিল।বিভিন্ন কারণ-যেমন দ্রুত নগরায়ন, প্রায়ই স্থানান্তর, নতুন তরুণ ভোটারের অন্তর্ভুক্তি, মৃত্যুর তথ্য না পাওয়া এবং বিদেশি অনুপ্রবেশকারীদের নাম অন্তর্ভুক্ত হওয়া-এই নিবিড় সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা তৈরি করেছে, যাতে নির্ভুল ও সুষ্ঠু ভোটার তালিকা প্রস্তুত করা যায়। এই সংশোধনের সময় বিএলও বাড়ি বাড়ি গিয়ে যাচাই করবেন।

এই বিশেষ সংশোধন কার্যক্রমে ইসিআই ভারতের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩২৬ এবং জনপ্রতিনিধিত্ব আইন, ১৯৫০-এর ধারা ১৬ অনুসারে ভোটার হওয়ার যোগ্যতা ও অযোগ্যতার আইনি বিধান কঠোরভাবে অনুসরণ করবে।জনপ্রতিনিধিত্ব আইন, ১৯৫০-এর ধারা ২৩ অনুসারে, ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য ইআরও (ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার)-এর সন্তুষ্টি প্রয়োজন। এখন আরও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ইআরও-র এই সন্তুষ্টির ভিত্তিতে যেসব নথি যাচাই করা হয়েছে সেগুলি ইসিআইএনইটি-এ আপলোড করা হবে। তবে, ব্যক্তিগত গোপনীয়তার কথা বিবেচনা করে শুধুমাত্র নির্বাচনী আধিকারিকরাই এই নথি দেখতে পারবেন। কোনও রাজনৈতিক দল বা ভোটারের পক্ষ থেকে কোনও দাবি বা আপত্তি জানালে এইআরও তদন্ত করবেন এবং তারপর ইআরও সিদ্ধান্ত নেবেন। ধারা ২৪ অনুযায়ী ইআরও-র সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে জেলাশাসক এবং প্রধান নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে আপিল করা যেতে পারে।

সিইও/ডিইও/ইআরও/বিএলও-দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যেন প্রকৃত ভোটার, বিশেষ করে বৃদ্ধ, অসুস্থ, প্রতিবন্ধী, দরিদ্র ও অন্যান্য দুর্বল শ্রেণীর মানুষকে হয়রানি না করা হয় এবং যথাসম্ভব স্বেচ্ছাসেবক মোতায়েনের মাধ্যমে সহায়তা প্রদান করা হয়। নির্বাচন কমিশন সর্বাত্মক চেষ্টা করবে যাতে সংশোধন প্রক্রিয়া মসৃণভাবে এবং ভোটারদের কোন ধরণের সমস্যা ছাড়াই এই কাজ সম্পন্ন হয়। সেইসঙ্গে সমস্ত রাজনৈতিক দলকে বুথস্তরে তাদের এজেন্ট (বিএলএ) নিযুক্ত করার মাধ্যমে সক্রিয় অংশগ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে। বিএলএ-দের সক্রিয় অংশগ্রহণের ফলে প্রস্তুতির সময়ই অসঙ্গতিগুলি দূর করা সম্ভব হবে, ফলে দাবি, আপত্তি ও আপিলের সংখ্যা কমে যাবে। মনে রাখতে হবে যে ভোটার এবং রাজনৈতিক দলই যে কোনও নির্বাচনী প্রক্রিয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার এবং তাদের পূর্ণ অংশগ্রহণের মাধ্যমেই এত বড় পরিসরের একটি কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব। ভারতের নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে এক প্রেস নোটে এই সংবাদ জানানো হয়েছে

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *