ঊনকোটি সংস্কার উদ্যোগ নেই

। হাবেলী ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা।৮ জুলাই।

জাতীয় পর্যটন কেন্দ্র ঊনকোটি। প্রতি দিন দেশ বিদেশের পর্যটক গন এই স্থানটি ঘুরতে আসেন। সেই টি এখন রক্ষনা বেক্ষনের অভাবে জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে। ঊনকোটি স্থানটি এখন‌ই সংস্কার করা প্রয়োজন বলে পর্যটকদের অভিমত।

চতুর্মুখী শিবমন্দির যাবার আগে একটি ছড়ার উপর পাকা সেতু আছে। সেতুর উপর দিয়ে পাহাড়ে জল গড়িয়ে পড়ে নীচের দিকে চলে যায়।জলের সাথে কাঁদা মাটি এসে পাকা সেতুর উপর জমে রয়েছে। পর্যটকদের এই কাদামাটি উপর দিয়ে চলতে হয়।বহুদূর দূরান্ত থেকে পর্যটক গন সুন্দর জামা কাপড় এটি ঘুরতে আসে।জলকাদা উপর দিয়ে হেঁটে যেতে অনেকেই কাপড়ে জলকাদামাটি পড়ে নষ্ট হয় বলে অভিযোগ। এই পথে পাকা সিঁড়ি রয়েছে। সেই সিঁড়ি দুই দিকে পাশের জঙ্গলে এসে অনেক জায়গা দখল করে নিয়েছে।পাকা সিঁড়ির উপর ঘাস, গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ ঠেলে চলতে হয়।
পথের দু’পাশে ঘাস এবং গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ পরিস্কার করে দেয়া হয়। তাহলে পর্যটক গন সাচ্ছেন্দে চলাফেরা করতে পারে।

অন্যদিকে একবারে পাহাড়ে উপরে বিশাল আকৃতির বটগাছ রয়েছে।চারপাশে বেশকিছু দুর্গা,শিব, গণেশের মূর্তি একটি ঘরের মধ্যে রাখা হয়েছে। সেই ঘর থেকে নীচে নেমে আসার রাস্তা রয়েছে। সেই পথধরে চলে আসা যায় দুর্গা মূর্তির কাছে। এই পাকা রাস্তা সিঁড়ি একাংশ ইট খসে পড়ে গেছে। সিঁড়ি গুলো ভেঙ্গে এবড়োখেবড়ো ভাবে পড়ে রয়েছে। এই পথ দিয়ে চলতে গিয়ে উপর থেকে নিচে দিকে বা নীচ থেকে উপর দিকে সিঁড়ি বেয়ে উঠতে পর্যটক দের ভীষণ অসুবিধা পড়তে হয়। বিশেষ করে মহিলা এবং একটু বয়স্কদের এই ভাঙ্গা সিঁড়ির উপর দিয়ে চলাচল ভীষণ অসুবিধা হয়।কোন কারণে পা ফসকে পড়ে তাহলে সেই পথচারি পর্যটক সুস্থ্য ভাবে ঘটনা স্থল থেকে ফিরতে পারবে না।

ঊনকোটিত প্রবেশ দ্বারে একটি বিশাল আকৃতির বটগাছ ও শিব মন্দির রয়েছে। সেই খানে দুর্গা মূর্তি ভেঙে রয়েছে। সেই ভেঙ্গে পড়া দুর্গা মূর্তি টি সংস্কার করার কোন ধরনের তৎপরতা নেই।

ধর্ম নগর কৈলাস শহর রাস্তা থেকে ঊনকোটি পর্যটন স্থানের দূরত্ব প্রায় ৯০০ মিটার। এই রাস্তা টি শরু।রাস্তাটি চ‌ওঢ়া করা বিশেষ প্রয়োজন।রাস্তার দুই পাশে জঙ্গলে ঢেকে রয়েছে। পাশের জঙ্গল পরিষ্কার করে দেয়া হয়।তাহলে দেখতে সুন্দর দেখা যাবে।পথ চলতি পথচারি নিরাপদে চলতে পারে।

ধর্মনগর কৈলাস শহর যে স্থান থেকে ঊনকোটি পর্যটন কেন্দ্র যাবার রাস্তা সেই রাস্তায় কোন ধরণের বড় হোডিং নেই। আকর্ষণীয় হোডিং থাকে।তাহলে ধর্মনগর কৈলাস শহর হয়ে যারা এপথ ধরে যাতায়াত করেন। তাদেরকে আরও বেশী আকৃষ্ট করত বলে স্থানীয় জনগণের অভিমত। প্রতিনিধি বিভিন্ন জায়গার পর্যটক এখানে আসে।তাতে যেমন সরকারের রাজস্ব আয় হবে। সাথে এলাকা সহ বিভিন্ন পেশায় যুক্ত লোক দের আয়ের পথ খোলবে।

ঊনকোটি মেলার পর এই এলাকা ঊন্নয়ন এ সরকারের কোনো ধরনের তৎপরতা থাকে না।যার কারণে এটি রক্ষনাবেক্ষন হীন অবহেলা পড়ে থাকে।