ত্রিপুরা নাথযোগী ফোরাম ঊদ্যোগে ২৭ মে দক্ষিণ জেলা সন্মেলন রাজাপুরে

।হাবেলী ডিজিটাল ডেস্ক।
আগরতলা।২১ মে।

সমাধিস্থলের জমি, সাংবিধানিক অধিকার সহ ১৯ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আগামী ২৭ মে দক্ষিণ জেলা ভিত্তিক প্রথম প্রতিনিধি সন্মেলন শান্তিরবাজার মহকুমা অন্তর্গত রাজাপুর পুরানো পঞ্চায়েত অফিসে হলে অনুষ্ঠিত হবে। উদ্যোক্তা ত্রিপুরা নাথযোগী ফোরাম। আজ ফোরাম রাজ্য সভাপতি হরিহর দেবনাথ এই সংবাদ জানিয়েছেন।

তিনি আরো জানান সন্মেলন কে সফল করে তোলার লক্ষ্যে প্রস্তূতি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটির আহ্বায়ক হয়েছেন বলরাম দেবনাথ এবং যুগ্ম আহ্বায়ক দিলীপ দেবনাথ।জেলার অন্তর্গত শান্তির বাজার, বিলোনিয়া,রাজনগর, জোলাইবাড়ি এবং সাব্রুম মহকুমা বিভিন্ন পাড়ায় পাড়ায় জনসংযোগ কাজ চলছে।

অন্যদিকে রাজ্যের বিভিন্ন মহকুমাতে ও ত্রিপুরা নাথযোগী ফোরামের উদ্যোগে ঘরোয়া সভা কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। শীঘ্রই উত্তর জেলা, মহকুমা এবং বিধানসভা কেন্দ্র ভিত্তিক একদিনের প্রথম প্রতিনিধি সন্মেলন করার লক্ষ্যে কাজ চলছে।পানিসাগর এবং কাঞ্চনপুর মহকুমার বিভিন্ন পাড়ায় ঘরোয়া সভা কাজ চলছে।

আগামী ১২ জুন পানিসাগর মহকুমাতে ত্রিপুরা নাথযোগী ফোরামের উদ্যোগে রাজ্য ভিত্তিক একদিনের প্রথম সন্ন্যাসী,সাধু সন্তদের সন্মেলন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই সন্মেলনে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে নাথযোগী সম্প্রদায় থেকে যোগী সন্ন্যাস জীবন যাপন করছেন। তাদেরকে উপস্থিত থাকতে আহ্বান জানানো হবে।

অন্য দিকে ধলাই জেলা ভিত্তিক প্রথম একদিনের ব্রাক্ষ্মণ সন্মেলন লক্ষ্যে কাজ চলছে।নাথযোগী সম্প্রদায়ের মধ্যে যারা পুরোহিত রয়েছেন।নাথযোগীদের কৃষ্টি সংস্কৃতি, আচার আচরণ রক্ষা করার দায়িত্ব পুরোহিতদের উপর নির্ভর করেছে।

সম্প্রতি পানিসাগর মহকুমার পেকুছড়া সংরক্ষিত বনাঞ্চলে উদ্বাস্তু পরিবার পরিজনদের নিয়ে দুর্বিসহ জীবন যাপন করছে। সেখানে পানীয় জল এবং খাবারের প্রচন্ড অভাব চলছে। নেই স্বাস্থ্য চিকিৎসা সুযোগ। ত্রিপুরা নাথযোগী ফোরাম রাজ্য সভাপতি হরিহর দেবনাথ এবং সাধারণ সম্পাদক অমরেশ দেবনাথ উদ্বাস্তু শিবির পরিদর্শন করেন। তাদের সাথে কথা বলে বিভিন্ন বিষয় খোঁজ খবর নেন।রাজ্য সভাপতি হরিহর দেবনাথ রাজ্য সরকারের কাছে উদ্বাস্তু পরিবার গুলোকে এখানেই বসতি গড়ে দিতে হবে।এক‌ই জমিতে দীর্ঘদিন যাবৎ বসবাস করে আসছে সংখ্যালঘু এবং জনজাতি পরিবার। এই সব পরিবার সেখানে থাকতে পারে।তাহলে বর্তমান এ বিভিন্ন জায়গা থেকে উদ্বাস্তু পরিবারগুলো থাকতে পারবে না। বনকর্মী এবং প্রশাসনের হয়রানি বন্ধ করতে রাজ্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।