পেকিছড়া উদ্বাস্তুদের সীমাহীন দুর্ভোগ: প্রশাসন নীরব: বিরোধী বিধায়ক দ্বয়েরএলাকা সফর

। হাবেলী ডিজিটাল ডেস্ক প্রতিনিধি পেতিছড়া থেকে ফিরে।১৭ মে।

তীব্র তাপদাহে মধ্যে দুর্বিসহ
পরিবেশে উদ্বাস্ত ভূমি হীন ৭৮ পরিবার পরিজন নিয়ে গভীর জঙ্গলে জীবন যাপন করছে। এখন পর্যন্ত রাজ্য সরকার থেকে প্রশাসনিক ভাবে সাহায্য সহায়তা করা হয় নি। যার জন্য এদের মধ্যে তীব্র চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। শাসকদলের স্থানীয় বিধায়ক সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এলাকায় ছুটে যায় নি। প্রথম দিন
বন বিভাগের কর্মীগন উদ্বাস্তু পরিবার গুলোর নির্যাতন চালিয়ে ছিল। পরবর্তীতে এখন পর্যন্ত বনদপ্তর থেকে আর কোনো ধরনের নির্যাতন চালানো হয় নি বলে জানানো হয়।
আজ বিরোধী দল তথা সি পি আই এম বিধায়ক ইসলাম উদ্দিন এবং শেলেন্দ্র নাথ, প্রাক্তন এম ডি সি ললিত দেবনাথ, কাঞ্চনপুর ডিভিশন সেক্রেটারি আশিষ নাথসহ এক প্রতিনিধি দল এলাকা পরিদর্শন করেন। প্রতিনিধি দলের নেতৃবৃন্দ উদ্বাস্তু পরিবার পরিজনদের সাথে কথা বলেন। তাদেরকে পুনরায় এলাকায় চলে যাবার পরামর্শ দেন। তবে বিষয়টি পানিসাগর মহকুমা শাসকের কাছে তুলে ধরার আশ্বাস দেন প্রতিনিধি দল।

এদিকে ত্রিপুরা নাথযোগী ফোরাম রাজ্য সভাপতি হরিহর দেবনাথ এবং সাধারণ সম্পাদক অমরেশ দেবনাথ নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল এলাকা পরিদর্শন করেন। রাজ্য সভাপতি হরিহর দেবনাথ পরিবার পরিজনদের সাথে কথা বলে বিভিন্ন বিষয় বিস্তারিত জেনেছেন। হরিহর দেবনাথ দাবি করেন ভূমি হীন পরিবার গুলোকে ভূমি বন্দোবস্ত দেয়া হোক।
এলাকায় দ্রুত একটি মেডিকেল দল পাঠানোর জন্য রাজ্য সরকার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

পেকিছড়া উদ্বাস্তুদের মধ্যে বেসরকারি পর্যায়ে ৭৮ পরিবার রয়েছে। প্রথম দিন পেকিছড়া বন দফতরের সং রক্ষিত এলাকায় বেআইনি ভাবে বসতি ঘরে তুলে ছিল ৩৬ পরিবার। এদেরকে তুলে দিতে বন দফতরের থেকে নির্যাতন চালানো হয়। সেই সময় দপ্তরের কাছে এই ৩৬ পরিবার লিষ্ট ছিল। পরবর্তী সময়ে কাঞ্চনপুর মহকুমা বিভিন্ন জায়গা থেকে এসে পেকিছড়া বন দফতরে জমিতে বসতি গড়ে তুলতে থাকে। গতকাল ও ৫ টি পরিবার এসে আশ্রয় নিয়েছে।

মূলত কাঞ্চনপুর মহকুমা আনন্দ বাজার, গছিরাম, বলছড়া, কাশীরাম , লক্ষিপুর, পাতিছড়া , সুকান্ত পাড়া বিভিন্ন এলাকা থেকে ভূমিহীন উদ্বাস্তু পরিবার পানি সাগরের পকিছড়া সংরক্ষিত বনাঞ্চলে এসে বসতি গড়ে তোলেছে।

গভীর জঙ্গলে ভেতরে পলিথিনের ত্রিপাল টাঙ্গিয়ে ঘর বানিয়ে সেখানে বাস করতেছে।ঝড় বৃষ্টি আসলে এখানে বাস করা সম্ভব নয়।
পানিয় জলের কোন সুব্যবস্থা নেই। দুই মাইল দূরে থেকে ছড়ার জল সংগ্ৰহ করে অপরিশোধিত জল খেতে হয়। নেই বিদ্যুৎ সহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা। প্রচন্ড এক অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে বসতি করতে হচ্ছে।
ত্রিপালের নীচে মাত্র ছয় মাসের শিশু কে মাম্পি দেবনাথ থাকছেন। গরমের প্রভাবে শিশুটি অসুস্থ হয়ে পডছে

অথচ এই পেকিছড়া বন দফতরের সং রক্ষিত এলাকায় জনজাতি এবং সংখ্যালঘু প্রায় ৭০ পরিবার দীর্ঘদিন যাবৎ বসবাস করছেন। কিন্তু বন দফত এবং রাজ্য সরকার বেআইনী ভাবে দখল কৃত জমি ফেরত দিতে কোন ধরনের চাপ সৃষ্টি করছে না। কিন্তু একি জায়গায় দুই নিয়ম প্রয়োগ করায় উদ্বাস্তু পরিবার গুলোর মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
উদ্বাস্তু পরিবার পরিজনদের দাবি তাদের এখানে বসতি স্থাপন করতে ভূমি বন্দোবস্ত দিতে হবে।নয় তো এরা এখান থেকে সরে যেতে রাজী নয়।