ত্রিপুরা থেকে অভিনব বণিক ইসরোর ন্যাশনাল রিমোট সেন্সিং সেন্টার হায়দ্রাবাদে যুব বৈজ্ঞানিক যুবিকা শিবিরে নির্বাচিত

২৮শে মার্চ ২০২৪।।
আগরতলা।
ভারত সরকারের মহাকাশ বিজ্ঞান গবেষণা মন্ত্রকের অধীনে ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেসানের বিশেষ ছাত্র যুব বৈজ্ঞানিক কার্যক্রম – যুবিকার অঙ্গ হিসেবে হায়দ্রাবাদ স্থিত স্থিত ন্যাশনাল রিমোট সেন্সিং সেন্টারে আয়োজিত পক্ষকালীন শিবিরে আমন্ত্রিত ও নির্বাচিত হয়েছেন অভিনব বণিক। অভিনব বণিক রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যালয় বিবেক নগর আমতলির ছাত্র, এবছর দশম শ্রেণীতে উত্তীর্ন হবে। আগামী ১২ই মে থেকে গ্রীষ্ম অবকাশকালীন এই যুবিকা শিবির শুরু করতে চলেছে ইসরো। যা দীর্ঘপক্ষকাল ধরে চলার পর আগামী ২৫ শে মে সম্পূর্ণ হবে। সম্প্রতি ২৮ শে মার্চ সরকারি মন্ত্রকের এক ঘোষণায় এবং একটি ইমেইলে জানানো হয়েছে, এই পক্ষ কাল ব্যাপি শিবিরে অভিনব ইসরোর মহান বৈজ্ঞানিকদের সান্নিধ্যে ন্যাশনাল রিমোট সেন্সিং সেন্টারেই থাকবে ও বিভিন্ন মহাকাশ বিজ্ঞান গবেষণা সম্পর্কে শিক্ষা গ্রহণ করবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,
অভিনব বণিক ইতিপূর্বে সাফল্যের সঙ্গে তার বিজ্ঞান বিষয়ক কোভিড প্রটোকল সংক্রান্ত গবেষণার জন্য রাজ্য স্তরের প্রথম স্থানাধিকারী হিসেবে সম্মাননার সঙ্গে প্রতিনিধিত্ব করেছেন নাগপুরে আয়োজিত ১০৮ তম ভারতীয় জাতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসে এবং গুজরাটের আমেদাবাদে অনুষ্ঠিত ৩০ তম ন্যাশনাল চিলড্রেন সায়েন্স কংগ্রেসের অধিবেশনেও। তাছাড়াও ভারত সরকারের বিজ্ঞান প্রযুক্তি দপ্তরের অধীনে ভিপনেট কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল সারাভাই স্টুডেন্ট সায়েন্টিস্ট অ্যাওয়ার্ড ২০২০ সম্মান ত্রিপুরা থেকে প্রথমবারের মতো লাভ করেন অভিনব বণিক, যার স্মারক সম্মান আমতলী রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যালয়ের এক বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তার হাতে তুলে দেন তৎকালীন ত্রিপুরা সরকারের শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ এবং বিবেকনগর রামকৃষ্ণ মিশনের সম্পাদক স্বামী শুভকরানন্দ মহারাজ জি। কাঠ পুতুল নাচের মাধ্যমে জগদীশচন্দ্র বসুর জীবনের ঘটনার উপর আলোকপাতকে কেন্দ্র করে তার কাঠপুতুল চলচ্চিত্রের জন্যও অভিনব বণিক ভারত সরকারের বিজ্ঞান প্রযুক্তি মন্ত্রকের অধীনে ভিপনেট আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্যার জেসি বোস বিজ্ঞান গণিত কাঠপুতুল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল এওয়ার্ড সম্মান লাভ করেন । অভিনব বনিক বিদ্যালয়ের প্রতিনিধি হিসেবে ভারত বিকাশ পরিষদের জাতীয় কুইজ প্রতিযোগিতায় রাজ্য স্তরের সফল ছাত্র হিসেবে আঞ্চলিক অধিবেশনেও ইটানগরস্থিত নেরিস্ট ভবনে বিদ্যালয়ের শিক্ষক সুকান্ত শর্মার সঙ্গে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ২০২৩ সালের অমৃত কালের প্রথম জাতীয় বিজ্ঞান দিবসের জাতীয় সমারোহ যার আয়োজন করেছিল ভারত সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রক নয়াদিল্লির বিজ্ঞান ভবনে সেখানেও আমন্ত্রিত ছাত্র অতিথি হিসেবে যোগদানের সম্মান লাভ করেন অভিনব বণিক।
অভিনব বণিক ইতিপূর্বে ভারত সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রকের অধীনে সেন্টার ফর কালচারাল রিসোর্স এন্ড ট্রেনিং – সিসিআরটি আয়োজিত ২০২১ – ২০২২ সালের কালচারাল ট্যালেন্ট সার্চ স্কলারশিপ এ প্রথমবারের মতো এবং ত্রিপুরা রাজ্য থেকে একমাত্র হিসেবে ভিজুয়াল আর্ট তথা ভাস্কর্য বিভাগেও নির্বাচিত হয়েছে। অভিনব বণিকের একটি অসামান্য ভাস্কর্য “জয় মা শ্রীদুর্গা” রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যালয় আমতলীস্থিত সারদাদেবী চিত্রশালায়ও স্থায়ীভাবে প্রদর্শিত রয়েছে।
২০২৪ সালে জাতীয় যুব দিবস উদযাপন উপলক্ষে ত্রিপুরা সরকারের যুব ও ক্রীড়া দপ্তরের পক্ষ থেকে আগরতলার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে আয়োজিত এক বিশেষ সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানেও সরকারিভাবে অভিনব বণিককে সম্বর্ধনা জ্ঞাপন করা হয়। সম্বর্ধনা জ্ঞাপন করে তার হাতে সড়ক তুলে দিয়েছিলেন মাননীয় মন্ত্রী টিংকু রায় । অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী, মাননীয় যুব ক্রীড়া দপ্তরের সচিব অধিকর্তা প্রমূখ ব্যক্তিবর্গ এবং রামকৃষ্ণ মিশন বিবেক নগর শাখার অধ্যক্ষ স্বামী শুভকরানন্দ মহারাজ। তার এই সাফল্যে তার মা ধলেশ্বর রোড নং ৮ নিবাসী মমতা গোস্বামী এবং ঠাকুমা কানন বনিক, ও তার বাবা অঞ্জন বণিক আন্তরিকভাবে খুশি।
অভিনব বণিকের এই সাফল্যে আনন্দিত হয়ে তাকে গুরুজনরা এবং শিক্ষকরা সহ অন্যান্য স্বজন ব্যক্তিত্বরা আশীর্বাদ জানিয়েছেন।