বি জে পি এবং ইন্ডিয়া জোটের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিল আজ

। হাবেলী ডিজিটাল ডেস্ক।
২৭ মার্চ। আগরতলা।

আজ লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিম ত্রিপুরা সাধারণ আসনে ভারতীয় জনতা পার্টি প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেব এবং
৭ নং রামনগর বিধানসভা কেন্দ্র উপনির্বাচনে প্রার্থী দীপক মজুমদার মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। দেশের নির্বাচন কমিশন ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ১৯ এপ্রিল
লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচনে ভোট গ্ৰহন অনুষ্ঠিত হবে।
এক‌ই দিনে পশ্চিম ত্রিপুরা সাধারণ আসনে ইন্ডিয়া জোটের প্রার্থী ( বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস) আশীষ কুমার সাহা মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
ভারতীয় জনতা পার্টির লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেব এবং বিধানসভা উপনির্বাচনে প্রার্থী দীপক কুমার মজুমদার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগে রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবন প্রাঙ্গণে দলীয় নেতা কর্মীদের নিয়ে জমায়েত হয়। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা, এবং হরিয়ানা মুখ্যমন্ত্রী সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া রাজ্য মন্ত্রীসভার অন্যান্য সদস্য সদস্যাগন ও উপস্থিত ছিলেন। ভারতীয় জনতা পার্টির রাজ্য সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সহযোগী দল আই পি এফ টি মন্ত্রী সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও উপস্থিত ছিলেন।।
সেখানে তিপ্রামথা দলের সুপ্রিমো প্রদ্যুৎ কিশোর দেবর্বমন,সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ গন উপস্থিত ছিলেন।
রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের সামনে থেকে মিছিল বের হয়ে আগরতলা শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে জেলা শাসক অফিসে গিয়ে পৌঁছে। সেখানে পৌঁছে শ্রীদেব এবং শ্রীমজুমদার নির্বাচনে কাজে দায়িত্ব প্রাপ্ত অফিসারের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

অন্য দিকে ইন্ডিয়া জোটের প্রার্থী আশীষ কুমার সাহার সমর্থনে ও রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের সামনে কংগ্রেস ও বামফ্রন্টের কর্মীসর্মথকদের জমায়েত হয়। সেখান থেকে কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট জোটের নেতাদের নেতৃত্বে বিশাল মিছিল শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব প্রাপ্ত অফিসারের অফিসে গিয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। সেই সময় বিধায়ক সুদীপ রায়বর্মণ এবং বিরোধী দল নেতা জিতেন চৌধুরী সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। মনোনয়নপত্র দাখিলশেষ করার পর অবলাচৌমহনীতে ইন্ডিয়া জোটের কর্মীসর্মথকদের জমায়েতে বক্তব্য রাখেন নেতৃবৃন্দগন।
আজ দুই দলের মনোনয়ন পত্র দাখিল করার বিষয়কে কেন্দ্র করে সমগ্ৰ শহর এক চক্রবহুর বেড়াজালে আটকে পড়েছে। দুই দলের প্রার্থী এক দিনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াতে নিত্য অফিস যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। উভয় দল মিছিলে কর্মীসর্মথকদের আগরতলাতে নিয়ে আসতে শহরের বিভিন্ন রাস্তা থেকে যাত্রীবাহীগাড়ি গুলো তুলে নেওয়া হয়েছে।ফলে নিত্য অফিস যাত্রীদের অধিক গাড়িভাড়া দিয়ে অফিসে যেতে হ য়েছে। এছাড়া অনেক শড়কে চলাচলের মত পর্যাপ্ত ছোট গাড়ি ছিল না।যার কারণে অফিস যাত্রীসহ অন্যান্যদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়।