। হাবেলী ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা।১০ ফেব্রুয়ারি।
মাধ্যমিক পরীক্ষায় রোমান হরফে লেখা সুযোগ দেয়া দাবিতে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে রাজ্য ব্যাপী জাতীয় সড়ক এবং রেল পথ অবরোধ করার ডাক দিয়েছে
উপজাতি ছাত্র সংগঠন।
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলো স্বার্থ উদ্ধারের জন্য ঘোলাজলে মাছ ধরার ফাঁদ পেতে মরিয়া।
ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সভাপতি এই বছর ককবরক ভাষা লিপি বাংলা ব্যবহার করার নির্দেশ জারি করেছেন।
এই বিষয় প্রকাশ্যে আসার পর বিভিন্ন জনজাতি ভিত্তিক রাজনীতিক দলগুলো রাজ্য ব্যাপী তীব্র প্রতিবাদ জানাতে থাকে। দুই দিন পর্ষদ সভাপতি রোমান হরফে পক্ষে মত দেন। আবার দুই দিন পর তিনি জানিয়েছেন এস সি আর টি এবং পর্ষদ কমিটি এখন ও কোন সিদ্ধান্ত জানান নি।তাই তিনি পর্ষদ পরিচালিত বোর্ড পরীক্ষাতে ককবরক ভাষা লিপি বাংলা হরফে লিখতে হবে।
তারপর থেকে তিপ্রা মথা সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং সামাজিক সংগঠন রোমান হরফ চালু করার দাবি করতে থাকে। কিন্তু পর্ষদ সভাপতি এখনও উনার নির্দেশ স্থির রয়েছেন।
গত কাল বিভিন্ন জনজাতি ভিত্তিক সামাজিক সংগঠন ও ছাত্র সংগঠন টি আই এস এফ রাজ্য ব্যাপী তীব্র আন্দোলনের হুমকি দিয়েছে। আগামী দুই দিনের মধ্যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টি সমাধানের ব্যবস্থা করেন।
এদিকে তাহলে টি আই এস এফ জনজাতিদের ছাত্র সংগঠন রোমান হরফে দাবিতে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য রাস্তা ও রেল অবরোধ ডাক দিয়েছে।
অবরোধের আওতামুক্ত থাকবে এম্বুল্যান্স,বিয়ের গাড়ী। এছাড়া অন্য কোন ধরনের গাড়ি চলাচল করতে দেয়া হবে বলে হুমকি দিয়েছে রাজ্য নেতৃবৃন্দ।
রোমান হরফ ইস্যু কে সামনে রেখে তিপ্রা মথা দল পাহাড়ে আবার সংগঠন কে চাঙ্গা করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সামনে লোকসভা নির্বাচন। নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা ককবরক ভাষা রোমান হরফে পক্ষে রয়েছে।এই ইস্যুতে নতুন ভোটারদের কে মথা কাছে পেয়ে যায়। তাতে করে নির্বাচনে মথা লাভবান হবে। বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস এই ইস্যুতে বেশি সুবিধা করতে পারবে না। বামফ্রন্ট সরকারের আমলে রোমান হরফে ককবরক ভাষা লিপি চর্চা করার দাবি করা হয়েছিল।
এই অবস্থায় বি জে পি পাহাড়ে নিজেদের সংগঠন শক্তিশালী করতে রোমান হরফে লেখা নিয়ে ভাবতে হবে। এছাড়া বিকল্প পথ খোলা নেই।
অন্য দিকে রাজ্য সরকার রোমান ইস্যু মেনে নেন। তাহলে মথা দল রাজনৈতিক মাইলেজ পেয়ে যাবে।এখন দেখার বিষয় নির্বাচনের স্বার্থে
রাজ্য সরকার রোমান হরফে পক্ষে ঝুঁকে কিনা?