। হাবেলী ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা।৪ ফেব্রুয়ারি।
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে আগেই এ ডি সি টেরিটোরিয়েল কাউন্সিলে ঊন্নিত হচ্ছে ? মহারাজ প্রদ্যুৎ কিশোর মানিক্য দেবর্বমা দাবি পূরণ হতে যাচ্ছে বলে বিশেষ সূত্রে জানা গেছে।
গ্ৰেটার তিপ্রাল্যান্ড গঠন, ত্রিপুরা উপজাতি এলাকা স্বশাসিত জেলা পরিষদে সরাসরি অর্থ প্রদান , রোমান হরফ চালু সহ বিভিন্ন দাবিতে
প্রদ্যুৎ কিশোর মানিক্য জনজাতিদের সাংবিধানিক অধিকার আদায়ে সোচ্চার হয়। তীব্র আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন। উনার আহ্বানে সাড়া দিয়ে গত বিধানসভা নির্বাচনে প্রথম নির্বাচনে অংশ নিয়ে ১৩ আসন দখল করে রাজ্য বিধানসভাতে বিরোধী দলের মর্যাদা লাভ করেন।
তার আগে এ ডি সিতে ও ক্ষমতা দখল করে উনার দল।
ইন্টারলকেটর এ কে মিশ্রকে রাজ্যে পাঠাতে কেন্দ্রীয় সরকার বাধ্য হয়।শ্রীমিশ্র রাজ্যে এসে জনজাতিদের সমস্যা সমাধানের জন্য সাংবিধানিক অধিকার বিষয়ে আলোচনা করে মতামত জেনেছেন।
দিল্লীতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর মাধ্যমে ইন্টারলকেটর এ কে মিশ্র, আসামের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মা এবং মহারাজা প্রদ্যুৎ কিশোর দেবর্বমন মধ্যে সমস্যা সমাধানের জন্য আলোচনা সংগঠিত হয়। সেই সভার শেষে সংবাদ সূত্রে জানা গেছে কেন্দ্রীয় সরকার মথার অনেক দাবি মেনে নিতে সন্মত হয়েছে।
গ্ৰেটার তিপ্রাল্যান্ড পরিবর্তন করে টি টি এ ডি সি নাম এবং ক্ষমতার পরিবর্তন হচ্ছে । ত্রিপুরা টেরিটোরিয়েল কাউন্সিল এবং ৩০ টি আসন থেকে বেড়ে ৫০ টি আসন করা হবে।
যার মাধ্যমে সকল জনজাতি সম্প্রদায়ের জনপ্রতিনিধি থাকতে পারে সেই লক্ষ্যে আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করার প্রস্তাব রয়েছে।২০১৮ সালে রাজ্যে বি জে পি সরকার ক্ষমতায় আসার পরপরই এডিসি ক্ষমতা এবং আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করার প্রস্তাব কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠিয়ে দেয়।
ক্ষমতা বৃদ্ধির সাথে সাথে কেন্দ্রীয় সরকার সরাসরি এ ডি সি কে অর্থ প্রদান করতে পারবে। এই দাবি গুলো আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে আগে মিটাতে হলে লোকসভা চলতি অধিবেশনেই বিল উত্থাপন করতে হবে। এই জন্য সংবিধান সংশোধন করতে হবে।
তারপর রাজ্যসভায় বিল পাস করার রাস্ট্রপতি অনুমোদন দেবার পর তার কার্যকারিতা আরম্ভ হবে। এখন দেখার চলতি অধিবেশনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বিল পেশ করেন কিনা।
রাজ্যের লোকসভা দুই টি আসন বি জে পি জন্য গুরুত্বপূর্ণ। পশ্চিম আসনে বি জে পি জয়ী হবে। কিন্তু পূর্ব আসন সম্পর্কে বি জে পি এখনো অনিশ্চতার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। দলের মর্যাদা বাঁচিয়ে রাখতে মথার সাথে বিজেপিকে সমঝোতায় যেতে হবে বলে অভিজ্ঞ মহলের অভিমত।