জনজাতির ভোট কংগ্রেসের দিকে ঝুঁকবে লোকসভায়

। হাবেলী ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২০ নভেম্বর। ধর্ম পরিবর্তন নিয়ে জনজাতিদের মধ্যে তীব্র মতবিরোধ দেখা দিয়েছে । আশঙ্কা করা হচ্ছে পাহাড়ে জনজাতি জনগন নিজেদের মধ্যে ধর্মান্তকরণ বিষয় কে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ বাঁধতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
লোকসভা নির্বাচনেও তাঁর প্রভাব পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। জনজাতিদের একাংশ ভোট কংগ্রেসের দিকে ঝুঁকবে বলে রাজনৈতিক অভিজ্ঞ মহলের অভিমত।

জনজাতি সুরক্ষা মঞ্চ থেকে দাবি করা হয়েছে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে খৃষ্টান ধর্ম গ্ৰহন করেছে। তাদেরকে সাংবিধানিক অধিকার মোতাবেক উপজাতিদের সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করতে হবে। এই দাবি কে সামনে রেখে আগামী ২৫ ডিসেম্বর আগরতলাতে জনসমাবেশের ডাক দিয়েছে। সেখানে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে হিন্দু ধর্মাবলম্বী জনজাতিগন সমাবেশে অংশ নেবে। আগরতলা উমাকান্ত একাডেমী, ক্ষুদিরাম বসু ইংলিশ স্কুল এবং রাধানগর মোটরস্ট্যান্ড এ অংশকারিগন এসে জমায়েত হবে। তিনটি জায়গা থেকে মিছিল করে জনগন আস্তাবল তথা স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে দুপুর বারোটায় এসে জমায়েত হবে। সমাবেশ চলবে আড়াইটা পর্যন্ত ।
জনজাতি সুরক্ষা মঞ্চ দাবি করেছেন রাজ্যের জনজাতি জনগন খৃষ্টান ধর্ম গ্ৰহন করার সাথে সাথে হিন্দুদের সব ধরণের কৃষ্টি সংস্কৃতি ও রা ত্যাগ করেন। তারপর ও এরা ভারতের সাংবিধানিক অধিকার মতে জনজাতিদের সব ধরনের সুযোগ সুবিধা ভোগ করেন।
মঞ্চের রাজ্য সংযোজক শান্তি বিকাশ চাকমা বলেন প্রতিটি জনজাতির নিজস্ব কৃষ্টি সংস্কৃতি, রীতিনীতি, আচার আচরণ পালন করতে সংবিধানের সুবিধা রয়েছে। খৃষ্টান ধর্ম যারা গ্ৰহন করেছেন
তারা তাদের সামাজিক রীতিনীতি পালন করতে পারে।ভারত ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ।সব ধর্ম সমান মর্যাদা পাবে। ধর্মান্তরিত হবার পর কেন সাংবিধানিক অধিকার ভোগ করবে।মঞ্চের এই ঘোষণা রাজ্যের জনজাতিদের নজরে যায়। তারপর থেকে জনজাতিদের মধ্যে বিরোপ প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত
হতে শুরু করেছে।
খৃষ্টান ধর্মালম্বীদের বিশাল অংশ মানুষ গত এ ডি সি নির্বাচনে আগে থেকেই বি জে পি থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছিল। খৃষ্টাব্দ ধর্মালম্বীদের বিশাল অংশের জনগন তিপরা মথা দলের সাথে কংগ্রেস দলকে পছন্দ করেন। কংগ্রেসের প্রাক্তন সভানেত্রী সুনিয়া এবং রাহুল খৃষ্টান ধর্মালম্বী। এই থেকে ধারণা করা হচ্ছে জনজাতিদের খৃষ্টাব্দ ধর্মালম্বীগন বি জে পি থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। তাহলে লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের দিকে ঝুঁকবে।বিপাকে পড়বে শাসকদল বি জে পি।তা আগাম বলা যেতে পারে।