। হাবেলী ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা।১৫ নভেম্বর। লক্ষ্য মুখ্যমন্ত্রী চেয়ার। এই নিয়ে শাসকদল বি জে পি গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জর্জরিত।রাজ্য নেতাদের মধ্যে কংগ্রেসের মত গোষ্ঠী দ্বন্ধ আজ প্রকাশে বেরিয়ে পড়ছে। দেওয়ালী উৎসব কে কেন্দ্র করে গোষ্ঠী দ্বন্ধ আজ প্রকাশ্যে বেরিয়ে আসে। এতদিন নিজেদের মধ্যে বিরোধ থাকলেও তা প্রকাশ্যে বেরিয়ে আসে নি। সাধারণ জনগণ জানে নি।আর তা প্রকাশ্যে প্রথম মুখ্যমন্ত্রী নিয়ে আসেন বলে অভিযোগ।
বিধানসভা উপনির্বাচনের আগে থেকেই দলের মধ্যে গোষ্ঠী দ্বন্ধ চলে আসছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। তারপর ও বিরোধী কে প্রকাশ্যে বেরিয়ে আসতে দিতে চায়নি পুরানো বি জে পি রাজ্যনেতৃত্বগন । উপনির্বাচনে সময় দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রী উপনির্বাচনে নিজেকে প্রচারের কাজে সর্বদা ময়দানে পড়েছিলেন। প্রচারের সময় উনার বিরোধী গোষ্ঠীর সঙ্গে নিয়ে চলেন নি।
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বিরোধ চলছে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী,রাজ্যসভার সদস্য এবং লোকসভা পূর্ব আসনে জনজাতি সদস্য।
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একমঞ্চে বসে এখন কেউ দলীয় বা সরকারি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে দেখা যায় না। সরকারি এবং বেসরকারি যেকোন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণপত্রে নাম লেখার আগে উনাদের সন্মতি অবশ্যই নিতে হয় উদ্যোক্তাদের। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বলে সন্মতি দেবার পর অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকছেন না। সেই থেকে গোষ্ঠী দ্বন্ধ প্রকাশ্যে বেরিয়ে আসতে থাকে।
বিশেষ সূত্রে জানা গেছে দলের চাণক্য মুখ্যমন্ত্রী চেয়ার লক্ষ্য করে খুবই সন্তপনে এগিয়ে যাচ্ছে। বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর এখন উনাকে কিছুই বলতে রাজি নয়। আগামী লোকসভা নির্বাচনে আগে রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী পরিবর্তন হচ্ছে না।
পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে যায়। তখন রাজ্য রাজনীতিতে আরও অস্থিরতা সৃষ্টি হবে। শাসকের মধ্যে গোষ্ঠী দ্বন্ধ আরো তীব্র আকার ধারণ করবে।
সেই সময় বি জে পি দলের বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর বিধায়ক গনও
কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ও রাজ্যসভার সদস্যদের দিকে ভিড় করবে বলে অভিজ্ঞ মহলের অভিমত।
রাজ্য বি জে পি গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব
সহজে মিটবে না।গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে আচমকা মুখ্যমন্ত্রী চেয়ার এ মানিক সাহা বসে পড়েন ।চানক্য কে বাদ দিয়ে অন্যদের কে বসানো হতে পারে। বিশেষ নজরে রয়েছে মজলিসপু্র এবং আর কে পুর বিধানসভার বিধায়কদের প্রতি।