। হাবেলী ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা।৫ নভেম্বর। কার্তিকের অমবশ্যায় দ্বীপান্বিতা দেওয়ালী উৎসব।
এই সময়ে উদয়পুর এ মাতা ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে বিশেষ পূজা অনুষ্ঠিত হয়।এদিন সারারাত ভর মন্দিরে পূজা হয়।তখন মন্দিরে সামনে ভক্ত, সাধুসন্ন্যাসী এবং দর্শনার্থীদের বিশাল সমাবেশ হয়। এই উপলক্ষে মেলার আয়োজন করা হয়।দেশ বিদেশের ভক্ত এবং দর্শণাথীগন আসনে মাকে দর্শন করতে।
উত্তর পূর্বাঞ্চলের মধ্যে ছোট পাহাড়ী রাজ্য ত্রিপুরা। গোমতী জেলার সদর দপ্তর উদয়পুর। আগরতলা থেকে উদয়পুরের চন্দ্রপুরে অবস্থিত ত্রিপুরেশ্বরী মাতা বাড়ি দূরত্ব ৫৫ কিমি।
ছোট একটি টিলার উপর ১৫০১ খ্রিষ্টাব্দে মন্দির স্থাপিত করেন মহারাজা ধন্যমাণিক্য।
৬.৪ একর জমি রয়েছে মন্দিরে আওতায়। মন্দিরে সামনে রয়েছে বিশাল আকারের দীঘি।তাতে রয়েছে কচ্ছপ এবং বড় বড় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ।
পৌরাণিক কাহিনী মতে সতীর
বাম পায়ের কনিষ্ঠ আঙ্গুল পড়েছে এই তীর্থক্ষেত্রে।
ত্রিপুরেশ্বরী মাতা উচ্চতা পাঁচ ফুটের মত।প্রস্থ্য ৬১ সেন্টি মিটার। মন্দিরে ভেতরে মায়ের পাশে ছোট মা দেবী চন্ডীমাতা মূর্তি ও রয়েছে।যার উচ্চতা মাত্র ২ ফুট। নারায়ন শিলা ও রয়েছে।কষ্টি পাথরের মূর্তি মাতা ত্রিপুরেশ্বরী দেবী । সকল দেবতা পূজা এক সাথে করা হয়।
প্রতিদিন ভোর ৪ টায় মঙ্গল আরতি শুরু হয়। তখন একবার ভোগ দেয়া হয়।
সকাল ৮ টায় মাকে স্নান করানো হয়। তারপর সকাল সাড়ে নয়টায় মায়ের সামনে বলি দেয়া হয়।যদিও হাইকোর্টের নির্দেশ এ বলি প্রথা বন্ধ করা হয়েছে। সন্ধ্যা ৭ টায় সন্ধ্যা আরতি করা হয়। সন্ধ্যা আরতি পর রাতের ভোগ দেয়া হয়।রাত সাড়ে নয়টায় মাকে শয়ন দেয়া হয়।
মায়ের সামনে বলি দেয়া হয় তার প্রসাদ মায়ের সাথে থাকা নাগিনী যোগিনীকে দেয়া হয়।
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের
” রাজারানী” উপন্যাসে গোবিন্দ মাণিক্য সময়ে পুরোহিত রঘুপতি সেবাইত জয়সিংহ পশুবলি বন্ধ করার কথা উল্লেখ করেছেন।
এত রক্ত কেন – মহারাজার পালিত শিশু পুত্র বলেছেন।
রাজপরিবারের সদস্য নামে আজো অর্ঘ আহুতি দেয়া হয়।রাজ্য সরকারের আর্থিক সহায়তায় মন্দির পরিচালনা করা হয়। জেলা শাসক হলেন মন্দিরে প্রধান সেবায়ত।
এদিকে ২০১৮ সালে রাজ্যে বি জে পি সরকার ক্ষমতায় আসার পর মাতা ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরকে বিশেষ ভাবে সাজিয়ে তোলার উদ্যোগ নেয়া হয়। সেই জন্য ট্রাষ্ট গঠন করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের সহায়তায় দর্শণার্থীদের জন্য প্রসাদের ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।এ বছর থেকেই তা চালু করা হবে।
ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে দেওয়ালী উপলক্ষে এতদিন দুই দিন যাবৎ মেলার আসর বসত। এই বছর মেলা তিনদিন পযন্ত চলবে।মেলা শুরু হবে ১২ নভেম্বর। চলবে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত।
এই বারে মেলায় অন্যান্য বছরের তুলনায় দর্শনার্থীদের ভিড় বাড়তে পারে বলে ধারণা করছেন আয়োজকরা। এখন ট্রেন চালু রয়েছে। শিয়ালদহ আগরতলা কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ট্রেন সাব্রুম পর্যন্ত যাবার কথা রয়েছে। দেওয়ালী আগে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ট্রেন সাব্রুম পর্যন্ত যায় তাহলে বহি:রাজ্যের দর্শনার্থীগন সহজে মন্দিরে কাছে পৌঁছে যেতে পারবেন। আগরতলা থেকে সরাসরি বাস সহ অন্যান্য গাড়ি মন্দির পযন্ত আসা যাওয়া করে।
**””””