ত্রিপুরার আগরতলায় বিভিন্নদুর্গোৎসবের প্রাক প্রস্তুতি


হাবেলী ডিজিটাল ডেস্ক।১০ অক্টোবর। আগরতলা।অবৃষ্টি বন্ধ হবার সাথে সাথে আগরতলা শহরের পুজা মন্ডপের প্রস্তুতির কাজ জোর কদমে শুরু হয়েছে। চলছে মূর্তি তৈরি কাজ ও।শরদোৎসবকে ঘিরে শহরের সর্বত্র চলছে সাজানো কাজ।
আগামী শনিবার অমবশ্যা।। সেই দিন মহালয়া।পিতৃপক্ষ কাজ করে শুক্লা তিথি শুরু হবে।আশ্বিন মাসের শুক্লা তিথি ষষ্টী দিন থেকে দুর্গা পূজা শুরু হয়।দশমী তিথি পর্যন্ত পুজা হয়। এই সময়ে মাতৃপক্ষ। এই বার দুর্গা মর্তে আসবেন ঘোড়ায় করে। ফিরে যাবার সময় ও ঘোড়াতে যাবেন বলে শাস্ত্রে বলা রয়েছে।
আগরতলা এগিয়ে চলো সংঘ:- এটি মেলারমাঠ এলাকায় অবস্থিত।৭৬ তম বর্ষ পুজা। আগরতলার ছেলে জয়ন্ত দত্ত। সেই মন্ডপ একটি মন্দিরে আদলে গড়ে তুলছেন। সেই প্রতিমা মুর্তি গড়ছেন।আলোক সজ্জাতে রয়েছেন কলকাতা চন্দননগরের বিশ্বজিৎ মুখার্জি। এবছরের থিম নেশামুক্ত ত্রিপুরা ও প্লাস্টিক বর্জন। পঞ্চমী থেকে দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে মন্দির।
প্যারাডাইস সামাজিক সংস্থা:-
এই শহরের প্যারাডাইস চৌমুহনী তে অবস্থিত।৩৯ তম পুজা। আমার শৈশব ফিরিয়ে দাও এই হল থিম। এখানে মুর্তি পুজা মন্ডপের সূচনা করেন এলাকার প্রবীণ ব্যক্তি।
স্থানীয় শিল্পীদের মাধ্যমে মন্ডপ, সাজসজ্জা এবং প্রতিমা তৈরি করেছেন প্রদীপ পাল এবং নারায়ন পাল।
দশমীঘাট ক্লাব:- বটতলা দশমী ঘাট এলাকায় অবস্থিত।
থিম সুর। স্থানীয় শিল্পী গৌতম দেবনাথ মন্ডপ, সাজসজ্জা ও আলোতে রয়েছেন। প্রতিমা গড়ছেন কলকাতার কৃষ্ণনগর অসিত পাল।৭১ তম বর্ষ পুজা। এই বার ও দরিদ্রদের মধ্যে বস্ত্র বিতরণ করা হবে। থাকবে অন্নভোগের ব্যবস্থা।
নবদিগন্ত ক্লাব:- বটতলা এলাকায় অবস্থিত।৫৬ তম বর্ষ।থিম মায়ের প্রতিচ্ছবি। প্রতিমা তৈরি,আলোক সজ্জা এবং মন্ডপ সাজসজ্জা করবেন স্থানীয় কারিগরি রাহুল ঘোষ। একটি ব্লাইন্ড স্কুল পরিচালনা সহ সামাজিক বিভিন্ন কাজ করে।
যুব সমাজ:- জয়নগরের পুকুর পাড়ে অবস্থিত। এবারের থিম পর্দার আড়ালে সৃষ্টির অন্তরালে।মন্ডপ ওসাজসজ্জায় শিল্পী রাহুল ঘোষ। প্রতিমা কারিগর স্থানীয় শিল্পী উত্তম চক্রবর্তী। দর্শনার্থীদের জন্য পঞ্চম দিনে মন্ডপ খোলে দেয়া হবে।
সপ্তসিন্ধু দশদিগন্ত:- সাধারণ ভাবে পুজো করা হবে। স্থানীয় শিল্পী চন্দন ঋষিদাস প্রতিমা তৈরি করেছেন।মন্ডপ ও সাজসজ্জা করবেন মিন্টু সূত্রধর।
নিউ বয়েজ ক্লাব:- কৃষ্ণনগরে অবস্থিত।৬৭ তম বর্ষ।থিম জটাধারি মায়ের রুদ্র অবতারের রূপ। পশ্চিমবঙ্গের অমর পাল প্রতিমা নির্মাণ করেছেন।ষষ্টির দিনেই মন্ডপ দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।মহাঅষ্টমিতে থাকবে অন্নভোগের ব্যবস্থা।
মৌচাক:- শহরের দক্ষিণে অবস্থিত।থিম মনিপুরের আদিবাসীদের একটি মন্দিরে অনুকরণে মন্ডপ করা হবে।৬৫ তম বর্ষ। প্রতিমা নির্মাণ করেছেন উত্তম চক্রবর্তী স্থানীয় শিল্পী।মন্ডপ সাজসজ্জা তে থাকছেন গৌতম দাস।আলোক সজ্জাতে থাকছেন হীরালাল দেবনাথ। এবছর পুজার আয়োজন করেছেন মহিলা গন।
অরুণ উদয় সংঘ:- থিম স্বপ্ন এমন। প্রতিমা, আলোকসজ্জা এবং মন্ডপ সাজসজ্জা তে থাকছেন আশিষ সাহা স্থানীয় শিল্পী। চতুর্থ দিনে মন্ডপ দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।