হাবেলী ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৭ অক্টোবর। রাজ্যে অকাল বর্ষণে পুজো উদ্যোগক্তাদের ছন্দ পতন।বাড়চ্ছে দুশ্চিন্তা। আশংকা করা হচ্ছে এবারের পুজোতে ও বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টি হলে পুজো উদ্যোগক্তাদের পড়তে হবে চরম দুর্ভোগে।
গত দুই – তিন দিন রাজ্যের সর্বত্র বৃষ্টি হচ্ছে। কখন ও বৃষ্টি মষুল ধারে ।আবার কখনো ঝির ঝির করে বৃষ্টি পড়ছে।আজ সকালে ও আকাশ মেঘাচ্ছন্ন । হাল্কা ভাবে সকালেও বৃষ্টি পড়েছে।ধারনা করা হচ্ছে আগামী কাল ও রাজ্যে আরও বৃষ্টি হতে পারে।
কয়েক দিনের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন এবং বৃষ্টি পড়তে থাকায় দুর্গা প্রতিমা কারিগরদের চিন্তা বেড়েছে। তাদের কপালে পড়ছে ভাঁজ। কাঁচা মাটির প্রতিমা শুকাতে পারছেন না।কড়া রৌদ্র না হয়। তাহলে মাটির প্রতিমা শুকাবে না। মূর্তি ভালভাবে না শুকালে মূর্তির শরিরে রঙ ভালো ভাবে লাগবে না।রঙ্গের উজ্জলতা বাড়বে না।কড়া রৌদ্রে শুকানো প্রতিমা রং সুন্দর ভাবে করা যায়। রং ভালো ভাবে প্রতিমার শরীরে মিশিয়ে যায়। মূর্তির উজ্জলতা ভেড়ে যায়। দেখতে ও সুন্দর দেখায়।
বৃষ্টি এই ভাবে চলতে থাকে। তাহলে প্রতিমা বৈদ্যুতিক হিট দিয়ে শুকিয়ে নিতে হবে। এই ভাবে শুকিয়ে নেয়া ছাড়া কারিগরদের কাছে বিকল্প পথ নেই।কারণ সময় কমে আসতেছে।পরে অল্প সময়ের মধ্যে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ করা যাবে না।
অন্যদিকে প্যান্ডেল তৈরির কারিগররাও অসুবিধায় পড়েছে। বৃষ্টির মধ্যে কাজ করা হয়। সেই কাজ বেশি এগিয়ে নেয়া যায় না।যার কারণে প্যান্ডেলের কাজ ও এগিয়ে নেয়া যাচ্ছে না।লেবাররা সেই কাজ ঠিক ভাবে করতে পারছে না।তাতে করে পুজো শুরুর আগে কাজ শেষ করা অসম্ভব হয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাবে সপ্তমী অষ্টমী তে গিয়ে প্যান্ডেল তৈরির কাজ শেষ করা হয়েছে।
বৃষ্টি হয় তাহলে অনেক পুজো উদ্যোগক্তাগন চরম দুর্ভোগে পড়তে পারেন। অনেক নীচু জায়গায় জল জমে যাবে।জল কাদামাটিতে একাকার হয়ে গেছে দেখা যাবে। পুজার দর্শণার্থীগনদের জল কাদামাটির মধ্যে চলাফেরা করে প্রতিমা দর্শন করতে হবে।
যদি আগামী কিছুদিনের মধ্যে বৃষ্টি না হয় ।তাহলে পুজো উদ্যোগক্তা সহ সকলের মনে হাসি ফোটে উঠবে।
পুজো উদ্যোগক্তাদের মন্ডপ সাজাতে আগাম বৃষ্টি প্রতিরোধ করতে পারে এই রকম ব্যবস্থা গ্ৰহন করে অগ্ৰসর হতে হচ্ছে।কারণ পুজোর সময় বৃষ্টি হয়। তখন বৃষ্টির হাত থেকে মন্ডপ রক্ষা করতে বিকপ্ল ব্যবস্থা করতে হবে।
অপরদিকে বৃষ্টির কারণে ছোট বড় সকল ব্যবসার মুখ মলিন হয়ে আছে। বৃষ্টির কারণে গ্ৰামীণ এলাকার মানুষ আগরতলা শহর সহ বিভিন্ন শহরে পুজোর জামা কাপড় কিনতে এখন ও আসতে পারছে না।গ্ৰামীন এলাকার মানুষ বাজারে না আসতে পারে। তাহলে শহরের কাপড় দোকান সাজিয়ে বসেছে।এরা পড়বেন বিপাকে। আজ মাসের ৭ তারিখ হয়ে গেছে। এখনও শহরের বিভিন্ন কাপড় সহ কসমেটিক দোকানে ক্রেতাদের ভিড় পরিলক্ষিত হয় নি। কাপড়, কসমেটিক এবং জুতার দোকানগুলো ফাঁকা । ক্রেতা নেই। এই সময়ে পুজোর বাজারে ভিড় পরিলক্ষিত হয়।পুজোর আগে বাজারে বিক্রি ভাট্টা ভালো না হয়। তাহলে ব্যবসায়িগন পড়তে পারে সমস্যায়।যে সব ব্যবসায়ী ধার দেনা করে দোকানের সামগ্ৰী তুলেছেন।এরাই পড়বেন সমস্যায়।বিক্রী ভালো না হয়।দেনাদারদের অর্থ মিটিয়ে দিতে হিমসিম খেতে হবে। পুজার আগেই বাজার চাঙ্গা হয় তাহলে ব্যবসায়ীদের মুখে হাসি ফুটে উঠবে। কখন সুর্য দেবতা উঁকি মেরে বেরিয়ে আসে সেই দিকে এখন সকলে তাকিয়ে রয়েছে।
