মথার আহুত বনধ সবাত্মক

সাংবিধানিক অধিকার আদায় সহ বিভিন্ন দাবির সর্মথনে আজ বার ঘন্টার বনধ পালন করেছে। তিপরা মথা দল।বনধ কে কেন্দ্র করে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।যদিও রাজ্য সরকার কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা করে ছিল।দলের তরফ থেকে বনধকে সফল করে তোলার লক্ষ্যে ত্রিপুরা উপজাতি এলাকা স্বশাসিত জেলা পরিষদের বিভিন্ন জায়গায় মথার দলীয় সর্মথক গন পিকেটিং এবং পথ অবরোধ করে বসেছে।আজ আগরতলা ধর্মনগর এবং আগরতলা থেকে সাব্রুম লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল।বনধের সর্মথনে মথার সমর্মকগন রেল লাইন সকাল থেকে ট্রেকের উপর বসে ছিল।যার কারণে ট্রেন চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে পড়ে।। তার কারণে বহু দূর পাল্লার ট্রেন চলাচল করতে পারে নি। ট্রেন বন্ধ হয়ে পড়ায় বহু ট্রেন যাত্রীদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়।
অন্যদিকে সড়ক পথে ও আগরতলা চন্দ্রপুর এবং রাধানগর মোটরস্ট্যান্ড থেকে কোনো ধরনের দূরপাল্লার বাস চলাচল করে নি।
এ ডি সি এলাকার সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সব ধরনের অফিস আদালতে কোন কর্মচারী যায় নি।সব কিছু বন্ধ ছিল।খুলে নি দোকান পাট।বসে নি হাট বাজার।তবে যানবাহন এবং রেল চলাচল বন্ধ থাকায়। বিভিন্ন পরীক্ষার্থীগন পরীক্ষা কেন্দ্রে যেতে পারে নি।দিতে পারে নি পরীক্ষা। কিন্তু রাজ্য সরকার বন্ধের জন্য কোন পরীক্ষা স্থগিত করে নি।যার কারণে যারা পরীক্ষা দিতে পারে নি। সেই সব পরীক্ষার্থীগন পড়বেন এখন সমস্যায়।
সন্ধ্যা ছয়টা পর থেকে এ ডি সি এলাকার মধ্যে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। চলতে শুরু করেছে ট্রেন ও।

দলের সুপ্রিমো প্রদ্যুৎ বিক্রম মানিক্য আগেই ঘোষণা করেছিলেন বনধকে কেন্দ্র করে কোথাও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি এড়িয়ে যেতে।
জরুরী পরিষেবা চালু রাখতে।
এ ডি সির সদর দপ্তর খুমুলুঙ। মাধববাড়ি এবং জিরানিয়া এ ডি সি চৌমুহনী তে বনধ সর্মথন কারিগন সকাল থেকে পিকেটিং করতে থাকে।যার কারণে এ ডি সি সদর দপ্তর খুমুলুঙ সাথে যোগাযোগের সুযোগ ছিল না।
বনধের বিরোধীতা সি পি আই এম করেছে। কিন্তু বনধ প্রতিরোধ করতে সি পি আই এম ময়দানে নামতে দেখা যায় নি কাউকে।
অন্যদিকে কংগ্রেস বনধ নি‌য়ে নীরব ছিল।
শাসকদল বি জে পি ও আজ এ ডি সি এলাকার মধ্যে বন্ধ প্রতিরোধ করতে দেখা যায় নি। জনগনের অভিমত বি জে পি পরক্ষোভাবে বনধকে সর্মথন করেছে।তা না হলে শাসক দল বনধ বানচাল করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতেন।
বনধ সফল করায় দলের সুপ্রিমো প্রদ্যুৎ বিক্রম মানিক্য দেবর্বমন জনজাতিদের কে অভিনন্দন জানিয়েছেন।