হাবেলী ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২ অক্টোবর। ৫ শত টাকা থেকে বেড়ে ১ হাজার টাকা বাৎসরিক কর ধার্য করেছে । আগরতলা পুর নিগম কতৃপক্ষ। করের নোটিশ পাবার পর বেকার যুবক হতাশ হয়ে পড়েন। মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়লো। এই কর কিভাবে পরিশোধ করবেন।
আগরতলা পুর নিগমের ৮ নং ওয়ার্ড। এক শিক্ষিত বেকার যুবক। চাকরি হয় নি। শেষে বাঁচাতে রেডিও এবং টিভি মেরামতের কাজ শেখে। এখন এই কাজের আয় দিয়ে পরিবার পরিচালনা করেন। এছাড়া বিকল্প পথ নেই। মানুষের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে রেডিও এবং টিভি নষ্ট হলে মেরামত করে দেন। এখন তো আগের মত রেডিও নেই।
টি ভি ই এখন মেরামত করে জীবিকা নির্বাহ করে।এখন টিভি নষ্ট হবার পর সব গুলো মেরামত করা সম্ভব নয়।সব কিছু এখন ওয়ান টাইম ব্যবহার যোগ্য।
তার মধ্যে ও টেলিভিশন মেরামত করে যা আয় হয়। সেই দিয়ে পরিবার পরিজনদের নিয়ে চলে আসছে। পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৪ জন।বাবা নেই।মা অসুস্থ অবস্থায় বেঁচে আছে। চিকিৎসা খরচ। বাচ্চার স্কুলের খরচ। তারপর পরিবারের অন্যান্য খরচ। এই থেকে যা আয় হয়।তাদিয়ে মিটিয়ে নিতে হবে।
অকেজু টি ভি বাড়িতে ঘরে বাইরে পড়ে রয়েছে। সেই টি বাসযোগ্য আবাস । দ্রোন এই ঘরকে কমার্শিয়াল বিজনেস সেন্টার হিসেবে চিহ্নিত করেছে। বিজনেস সেন্টার হিসেবে চিহ্নিত করার কারণে এখন এই বেকার যুবকের বাৎসরিক কর ধার্য করা হয়েছে ১১ হাজার টাকা। গত বছর ও এই করের হার ছিল মাত্র ৫ শত টাকা।একটি পরিবারের এক বছরের করের হার কত শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে। এই হারে আগরতলা পুর নিগম কতৃপক্ষ কর বৃদ্ধি করতে থাকেন।তাহলে সাধারণ পরিবারগুলো কি অবস্থায় বেঁচে থাকতে পারবে। এই নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।বাড়ছে পুর নিগম পরিচালন কমিটির উপর তীব্র ক্ষোভ। আগামী নির্বাচনে তার প্রভাব কিছু হলেও পড়বে। কতৃপক্ষ করের বিষয় পর্যালোচনা করা বিশেষ প্রয়োজন রয়েছে বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করেন।
