আজ আগরতলা পুর নিগমের উদ্যোগে ফুটপাত দখলমুক্ত করা হয়েছে। এদিকে বিকেলেই একাংশ ব্যবসায়ী পুনরায় পসরা সাজিয়ে ফুটপাতে বসে পড়ে।
আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার আগেই ঘোষণা করেছিলেন কামান চৌমুহনী থেকে পোস্ট অফিস চৌমুহনী পর্যন্ত এবং রবীন্দ্রশতবার্ষিকী ভবন থেকে ওরিয়েন্টে চৌমুহনী পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে জবর দখল করে ফুটপাতে পসরা সাজিয়ে বসে ব্যবসা করছে। অন্যদিকে বটতলা বাজারে পাশে বেআইনী ভাবে জবরদখলকারীদের পুর নিগম কতৃপক্ষের উদ্যোগে সরিয়ে দেয়া হবে। নিগমের আগাম ঘোষণা পরও যেসব ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী দোকান সরিয়ে নেয় নি। সেই সকল দোকান আজ সকালে ডজার দিয়ে ভেঙ্গে গুঁড়ি ফেলে পরবর্তী তে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।রাস্তার উপর বেআইনী ভাবে বাইক, সাইকেল পার্কিং করে রাখা হয়েছিল। সেই সব বাইক ,সাইকেল ট্রাফিক পুলিশ তুলে নিয়ে গেছে। সরকারি রাস্তার উপর বেআইনী ভাবে ব্যবসায়ীদের যাকিছু ছিল। সবকিছু পুরনিগমের কর্মীদের মাধ্যমে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে সামনে ফুটপাতে খাবার দোকান ছিল। সেই সব খাবার দোকান ও আজ ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
পুজোর সময় রাস্তার উপর জ্যাম হয়ে যায়।যার কারণে যানবাহনসহ পথচারীদের চলাচলে অসুবিধা হয়। পথচারীদের চলাচলের জন্য ফুটপাতে একটু জায়গা থাকে না।যার মধ্যে দিয়ে পথচারী চলাচল করতে পারে। পুজার আগেই শহরের রাজপথে অস্বাভাবিক ভিড় হয়। জনগনের সুবিধার্থে বেআইনি ফুটপাত দখলকারীদের কাছ থেকে মুক্ত করার প্রতিশ্রুতি মেয়র শ্রীমজুমদার দিয়েছিলেন।
আজ সকাল থেকে নিগম কতৃপক্ষের উদ্যোগে শহর ফুটপাত দখলমুক্ত উদ্যোগ নেয়া হয়। এই জন্য সকাল এগারোটায় দিয়ে পুর নিগম কতৃপক্ষের উদ্যোগে বিশাল পুলিশ বাহিনী,পুর নিগম নিজস্ব বাহিনী সহ শ্রমিক,বেশ কিছু ডজার গাড়ি,লরি,ক্রেন গাড়ি,বড় হাতুড়ি,হাম্বুর সহ বিভিন্ন কাটার যন্ত্র পাতি নিয়ে শকুন্তলা রোড়ের উপর হাজির করা হয়। আগাম মাকিং করে যার যার সামগ্ৰী সরিয়ে নেয়ার সুযোগ দেয়া হয়েছে।যারা সরিয়ে নিয়ে যায় নি। তাদের সামগ্ৰী দোকান তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
কিন্তু বিকেলে দেখা যায় শকুন্তলা রোড়ের উপর ফুল,পিঠাপুলি সহ নানা ধরনের দোকান পুনরায় বসে পড়ে। আগামী কাল রবিবার। পুজোর মরসুম।তাই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের একাংশ পুনরায় ফুটপাতে দোকান সাজিয়ে বসে পড়বে। ফুটপাতে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের একাংশ সত্যি কারে এদের আর্থিক অবস্থা খুবই শোচনীয়। ফুটপাতে ব্যবসা করে যা আয় হয়।তাই দিয়ে এরা পরিবারের ছেলে মেয়ে স্ত্রী নিয়ে বেঁচে থাকার জন্য লড়াই করে চলেছে।
অন্যদিকে একাংশ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ফুটপাতে বসতে উৎসাহিত করেন বলে অভিযোগ স্থায়ী বনেদি ব্যবসায়ীগন। অপরদিকে আরেক অংশ ফুটপাত ব্যবসায়ী রয়েছে।যাদের কে বিভিন্ন সময়ে রাজ্য সরকার পুর নিগমের মাধ্যমে ব্যবসার জন্য ঘর দিয়েছে। এদের একাংশ ঘর ছেড়ে ফুটপাত দখল করে পুনরায় ব্যবসা করে যাচ্ছে। আরেক অংশ সরকারি ঘর ভাড়া দিয়ে রেখেছে। এরা আবার ফুটপাত দখল করে ব্যবসা খুলে পুনরায় বসে।
বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর পুর নিগম এলাকায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য ভেন্ডার লাইসেন্স প্রদান করেছে।ভেন্ডার লাইসেন্স প্রাপকগন ফুটপাতে দোকান সাজিয়ে বসে ব্যবসা করতে পারবে।তার জন্য নির্ধারিত জায়গা ব্যবস্থা পুর নিগম কতৃপক্ষের তরফ থেকে দেয়া হয়েছে। সকালে ভেন্ডার লাইসেন্স প্রাপকগন ফুটপাতে ব্যবসা করে রাতে জায়গা থেকে দোকান সরিয়ে নিয়ে যাবে। কিন্তু তা না করে ভেন্ডার লাইসেন্স প্রাপকগন ফুটপাতে র নিদিষ্ট জায়গা থেকে আরো বেশী জায়গা দখল করে নিয়েছে। তাতে করে পথচারী এবং যানবাহনের চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সেই কারণে আজ ভেন্ডারগনের দোকান ও উচ্ছেদ করে দেয়া হয়েছে।
এখন দেখার নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার উনার সিদ্ধান্তে স্থির থাকতে পারবেন কিনা।না দলের পরোক্ষ মদতে পুনরায় পুজোর আগেই ফুটপাত দখল হতে থাকে। সেই দিকে এখন পুরবাসীর নজর।
