হাবেলী ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা।২ অক্টোবর। রাজ্যে বিদ্যুৎ নিগম লোকশাসনে চলছে। লোকশান কমিয়ে আনতে বিদ্যুৎ মাশুল বৃদ্ধি করা হয়েছে। অতিরিক্ত বিদ্যুৎ মাশুল বৃদ্ধি করা ছাড়া বিকল্প পথ খোলা ছিল না বলে বিদ্যুৎ মন্ত্রী সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেছেন।
তিনি আরো বলেছেন বিদ্যুৎ মাশুল বৃদ্ধি করার বিষয়ে সরকারের হাত নেই। মাশুল বৃদ্ধি করার বিষয়ে পৃথক সংস্থা রয়েছে। সেই সংস্থা মাশুল বৃদ্ধি করে থাকে।
কংগ্রেস সভাপতি আশিষ কুমার সাহা দাবি করেন রাজ্যে বি জে পি সরকার আসার আগে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বিদ্যুৎ নিগম লাভে চলেছে। পাঁচ বছরে নিগম কিভাবে লোকশানে পড়েছে। তিনি নিগমের বিষয়ে তদন্ত করার দাবি করেছেন। তদন্ত করা হলে আসল রহস্য উদঘাটন করা যাবে।
তিনি আরো বলেন ২০১৭ সালে বিদ্যুৎ নিগমের লাভ হয়েছিল ১৩ কোটি টাকা। সেই লাভ হবার পর কিকরে লোকশান হয়।
অপরদিকে রাজ্যে বিদ্যুৎ তের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। তারপর পর ও বিদ্যুৎ ঘাটতি থেকে যায়। তিনি দাবি করেন রাজ্যের উৎপাদিত বিদ্যুৎ বহিরাজ্যে বিক্রী করে দেয়া হয়।যার কারণে বিদ্যুৎ ঘাটতি রাজ্যে থাকে।
তিনি আরো বলেন রাজ্যে বিদ্যুৎ মাশুল অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় অনেক বেশি। অতিরিক্ত মাশুল ভোক্তাদের উপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছে।যেখানে অনদ্রপ্রদেশে বিদ্যুৎ মাশুল ৭৫ ইউনিট পযন্ত ১টাকা ৬৫ পয়সা, সেখানে নুন্যতম ২২৫ ইউনিট পযন্ত ধার্য রয়েছে ২টাকা ৭ পয়সা। কর্নাটকে দুশো থেকে তিনশো ইউনিট পযন্ত ৫টাকা, তামিলনাডু তে ১শো ইউনিট পযন্ত ২টাকা ৫০ পয়সা এবং ২ শো ইউনিট পযন্ত ৩টাকা ৫০ পয়সা।মহারাস্ট্র,পশ্চিমবঙ্গ,বিহার, হরিয়ানা রাজ্যে বিদ্যুৎ মাশুল ১ শো ইউনিট পযন্ত ৫টাকা ৯৮ পয়সা।তাই রাজ্যে বিদ্যুৎ নিগম লোকশানে চলছে তা তদন্ত হলে রহস্য উন্মোচন হবে বলে তিনি মন্তব্য করেছেন।
