হাবেলী ডিজিটাল ডেস্ক আগরতলা ১৭ আগষ্ট। বিধানসভা উপনির্বাচন ধনপুর এবং বক্সনগর কেন্দ্রে। দুই কেন্দ্রে সরাসরি হাডাহাড্ডি লড়াই হবে।
ভারতীয় জনতা পার্টি তথা এন ডি এ।বামফ্রন্ট তথা ইন্ডিয়া দল। কেন্দ্রীয় সরকার বি জে পি আগামী লোকসভা নির্বাচনে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিতে সব কয়টি বিরোধী দল ঐক্য বদ্ধ হয়ে ইন্ডিয়া নামে জোট গঠন করেছে। এই দলে সি পি আই এম, সি পি আই,আর এস পি, ফরোয়ার্ড ব্লক, এবং কংগ্রেস দল ও রয়েছে। ত্রিপুরায় ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সময় ইন্ডিয়া জোট গঠন হবার আগেই কংগ্রেস এবং সি পি আই এম জোট গঠন করে বি জে পির বিরুদ্ধে নির্বাচনে লড়াই করে ছিল। সেই নীতি উপনির্বাচনে ও বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস বজায় রেখেছে।
কংগ্রেস এবং বামফ্রন্টের কেন্দ্রীয় ও রাজ্য স্তরের নেতৃবৃন্দ জোটের পক্ষে রয়েছেন।কিন্ত নীচুতলার কংগ্রেস দলের কর্মী সমর্থকদের বিশাল অংশ আজো তা মেনে নিতে পারে নি।২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বি জে পি কে ক্ষমতা চ্যুত করতে জোট লড়াই করেছিল।কিন্ত স্বল্প আসন নিয়ে বি জে পি পুনরায় ক্ষমতায় ফিরে আসে।
উপ নির্বাচনে বিধানসভার দুই টি আসনেই সি পি আই এমের দীর্ঘ দিনের শক্তিশালী ঘাঁটি বলে পরিচিত। এই বার আসনগুলোকে সি পি আই এম ধরে রাখতে পারবে না বলে অভিজ্ঞ মহলের ধারণা।
ধনপুর এবং বক্সনগর বিধানসভা কেন্দ্রগুলো র দীর্ঘ দিনের কংগ্রেস কর্মী সমর্থকদের যারা বিভিন্ন ঘাত প্রতিঘাতের পর ও দল পরিবর্তন করেননি। সেই সব ভোটার সি পি আই এম প্রার্থীকে ভোট দিতে ভোট কেন্দ্রে যাবে না।একই ভাবে বি জে পি প্রার্থী কে ভোট দিতে ভোট কেন্দ্রে যাবে না।
অন্যদিকে একাংশ কংগ্রেস ভোটার আবার বি জে পি প্রার্থীকে ভোট দিয়ে দিবে তাতে সন্দেহ নাই। তাতে করে কংগ্রেসের একাংশ ভোট সি পি আই এমের দিকে যাবে না। কংগ্রেস সর্মথক বি জে পি কে সহজেই মেনে নিতে পারে।সি পি আই এম কে আজো মেনে নিতে পারে না।কারণ দীর্ঘ ২০ বছরের ফেলে আসা দিন গুলো সম্পর্কে কংগ্রেস এবং বিক্ষুব্ধ বি জে পি অভিজ্ঞতা রয়েছে। সেই ইতিহাস চোখের সামনে ভেসে ওঠে তখন ওরা সেখান থেকে ঘুরে পুনরায় কংগ্রেস বা বিজেপি দিকে চলে যায়।
২০০০ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত খুন সন্ত্রাস, রাহাজানি , ছিনতাই সহ অন্যান্য অপরাধের ঘটনা ঘটে ছিল। সেই সব ঘটনার বিচার বামফ্রন্ট আমলে যেমন হয় নি। সেই রকম এই আমলের ঘটনার বিচার ও জনগন পাচ্ছে না।তবু জনগন এখনো আশাবাদী। বিচার পাবে।অভিজ্ঞ মহলের ধারণা তাই বি জে পি প্রার্থী বাড়তি সুবিধা পেতে পারে।
