ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ফসল এন আই টি তে সং রক্ষণ : জগদীশ দেবর্বমা

হাবেলী ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা।১০ আগষ্ট। আঞ্চলিক দলের ঐক্যবদ্ধ চাপে কেন্দ্রীয় সরকার এন আই টি তে জনজাতিদের জন্য সংরক্ষণ চালু করতে বাধ্য হয়ে ছিল।এ ডি সি চেয়ারম্যান জগদীশ দেবর্বমা একথা বলেছেন। গত কাল বিশ্ব আদিবাসী দিবস পালন করা হয়। এই উপলক্ষে এ ডি সি সি উদ্যোগে নুউআই হলে আয়োজিত এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। ইন্ডিজিনিয়াস ইয়ুথ এজ এজেন্ট অফ চ্যাঞ্জ ফর সেলফ ডিটারনিনেশন বিষয়ে আলোচনা হয়। আলোচনায় অংশ নিয়ে জগদীশ দেবর্বমা বলেছেন ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ফসল আজ এন আই টি তে জনজাতিদের ছেলে মেয়ে ভর্তি হতে গিয়ে এর সু ফল পাচ্ছে।
তিনি বলেছেন ১৯৬৫সালে জিরানিয়া অদূরে আজকের এন আই টি স্থাপন করা হয়। রাজ্য সরকারের আইন মোতাবেক ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে সংরক্ষণ নিয়ম অনুযায়ী ছাত্র ভর্তি করতে পারে।
কিন্ত ২০০৬ সালে ইন্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে এন আই টি তে উন্নীত করা হয়। তখন থেকেই রাজ্যের এন আই টি তে জনজাতিদের সংরক্ষণ ৩১ শতাংশ কমিয়ে ৭.৫ শতাংশ কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি চালু করা হয়।এন আই টি জিরানিয়া মহকুমার যেখানে স্থাপন করা হয়েছে। সেই এলাকা উপজাতি এলাকা স্বসাশিত জেলা পরিষদের অন্তর্গত। কিন্তু রাজ্য সরকার আগরতলায় স্থাপন করা হয়েছে বলে প্রচার করেছে।যার জন্য সংরক্ষণ সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হয়।
তিনি বলেন ষড়যন্ত্র করে জনজাতিদের সংরক্ষণ থেকে বঞ্চিত করা হয়।
রাজ্য সরকার সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল গুলো এনিয়ে কোন প্রতিবাদ করে নি সেই দিন। জনজাতিদের আঞ্চলিক দলগুলো সেদিন চুপ ছিল।
কিন্ত ২০০৮ সালের ১৭ জুন আগরতলায় গান্ধীমূরতী পাদদেশে মাত্র ৩৫ জন জনজাতি ৩২ শতাংশ সংরক্ষণ চালু করার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছিল। সেই দিন কেউ এগিয়ে আসে নি বলে তিনি মন্তব্য করেন। সেই আন্দোলনের একজন সৈনিক হিসেবে তিনি ও উপস্থিত ছিলেন। সেই দিনের আন্দোলন শক্তি উপলব্ধি করতে পেরে পরবর্তী সময়ে জনজাতি সং গঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা বসতে বাধ্য হয়কেন্দ্রীয় সরকার।
পরবর্তী সময়ে কেন্দ্রীয় সরকার জিরানিয়া এন আই টি তে রাজ্যের নিয়ম অনুযায়ী ৩২ শতাংশ সংরক্ষণ চালু করতে বাধ্য হয়।এখন এই সুযোগ সকলে ভোগ করচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন।
তিনি আরো বলেন ২০০৬ সালে বন আইন চালু করা হয়েছে। সেই আইন অনুযায়ী একটি জনজাতি পরিবার ৪ হেক্টর জমি ‌র অধিকার পাবে।কিন্ত আজো জনজাতি পরিবার সেই সুযোগ পায়নি বলে তিনি মন্তব্য করেন।
বরং বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারের আমলে বন আইন সংশোধন করা হয়েছে।তাতে করে জনজাতিদের জঙ্গলের অধিকার ক্ষুন্ন হবে বলে মন্তব্য করেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *