others

ত্রিপুরার ভ্রমন গাইড (মানচিত্র সহ পথনির্দেশ) দেয়া হয়েছে। আপনি যেকোন সময় বেড়াতে গেলে আপনার চলার পথে সহায়ক হবে।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে সকলে চায়।সুযোগ পেলে সকলে বেড়িয়ে পড়ে। ত্রিপুরার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য কম সময়ে উপভোগ করতে পারবেন।যদি আপনার কাছে ত্রিপুরার পূর্নাঙ্গ তথ্য সমৃদ্ধ নির্দশিকা থাকে।
ত্রিপুরা তে ভ্রমণ পিপাসু গন সহজে আসতে পারে। সেই দিকে নজর রেখে আমি এই “ভ্রমন গাইড” তৈরি করেছি।যার সাহায্যে অতি সহজেই ত্রিপুরা র বিভিন্ন জায়গা ঘুরতে পারবেন।
এই রাজ্যে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বহুবার এসেছে। এখানে থেকেই তিনি রার্জর্ষী এবং বিসর্জন লেখেছেন।
শান্ত পরিবেশ আর কোথাও পাওয়া যাবে না।মনোরম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।যার কারণে বার বার ভ্রমণ পিপাসু গন এখানে ঘুরতে আসে।
জাতি উপজাতি অংশের মানুষ ঘুরতে আসা ভ্রমন পিপাসুদের সহজে আপন করে নিতে পারে।
ভ্রমন পিপাসুদের নিয়ে আসতে রাজ্য সরকার ত্রিপুরার পর্যটন জায়গাগুলো কে আর্কষনীয় করে তোলার লক্ষ্যে পর্যটক ব্যান্ড এ্যম্বাসেডর হিসেবে বিশ্বমানের খেলোয়াড় সৌরভ গাঙ্গুলী কে দায়িত্ব দিয়েছেন। আগামী দিনে রাজ্যে ভ্রমন পিপাসুদের ভিড় বাড়বে।
ভ্রমন পিপাসু গন এখানে বিভিন্ন জায়গার তথ্য সহজে জেনে নিতে পারবেন। সেই দিকে নজর রেখে এই লেখা টি তৈরি করছি।
ত্রিপুরার আয়তন – ১০.৪৯২ বর্গ কিলোমিটার। এই রাজ্যকে তিন দিক থেকে ঘিরে রেখেছে। আন্তর্জাতিক সামানা হয়েছে ৮৫৬ কিমি।
ভারতের সাথে ত্রিপুরার যোগাযোগ করতে হয় আসাম রাজ্যের ভেতরে দিয়ে। এছাড়া আর রাস্তা নেই।
২০১১ সালের জন গননা অনুযায়ী প্রায় ৩৬ লাখ ৭১ হাজার ৩২ জন। ২০২১ সালে জনগননা হয় নি।অনুমান করা হয় এখন জনসংখ্যা বেড়ে প্রায় ৪০ লাখ হবে।
রাজ্যের এক তৃতীয়াংশ এলাকা নিয়ে ত্রিপুরা উপজাতি এলাকা স্বশাসিত জেলা পরিষদ গঠন করা হয়েছে।
৮ জেলা। মহকুমা -২৩ ।ব্লক – ৫৮.।
গ্ৰাম পঞ্চায়েত – ১০৭৭ টি।
পুর নিগম -১।পুর পরিষদ -১৫।
ত্রিপুরা উপজাতি এলাকা স্বশাসিত জেলা পরিষদ – ১টি।
ভাষা:- বাংলা, ককবরক, ইংরেজি, হিন্দী ,চাকমা, লুসাই, মনিপুরী,মগ সহ স্থানীয় ভাষায় কথা বলেন।
রাজ্যের ৬০ শতাংশ এলাকা নিয়ে পাহাড় এবং টিলালুঙ্গা জমিতে ভরপুর।
জলবায়ু মনোরন।
গরম এই বছর ৪২ ডিগ্ৰী হয়েছে।শীত কালে ঠান্ডা ৩ ডিগ্ৰী হতে পারে।হাড় কাঁপানো শীত পড়ে না।
চাকুরী জীবি সং খ্যা কম। শ্রমজীবি মানুষের সংখ্যা বেশি।
কৃষি কাজের উপর নির্ভর করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করেন।
ধান,আনারস, কমলালেবু, রাবার চাষ বেশি হয়। বাঁশ,বেতের ও চাষ করা হয়।
বাঁশ ও বেতের সামগ্ৰী দেশ বিদেশে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
আনারস ও কমলা লেবু বিশ্ব বিখ্যাত হওয়ার কারণে বাজারে চাহিদা রয়েছে।
শীতকালীন সবজি ও ভাল হয়।
রাজ্যে চারটি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এছাড়া সাধারণ ডিগ্ৰী কলেজ ২৫ টি
ল কলেজ ২ টি। মেডিকেল কলেজ ২ টি।ডেন্টাল কলেজ ও রয়েছে।প্রযুক্তি কলেজ ও গড়ে উঠেছে।
বিমান,সড়ক ও রেল পথের সুব্যবস্থা রয়েছে।
জেলা হয়েছে:- উত্তর জেলা।ঊনকোটি জেলা।
ধলাই জেলা।
খোয়াই জেলা।
পশ্চিম জেলা।
সিপাহীজলা জেলা।
গোমতী জেলা।
এবং
দক্ষিণ জেলা।
মহকুমা হয়েছে:-
ধর্মনগর, কাঞ্চনপুর, পানিসাগর, কৈলাশহর কমলপুর, মোহনপুর, খোয়াই,লংতরাইভ্যালী,
কুমার ঘাট, আমবাসা, তেলিয়ামুড়া, জিরানিয়া, আগরতলা, বিশালগড়, সোনামুড়া,জম্পুইজলা ,
উদয়পুর, করবুক, অমরপুর,গন্ডছড়া,
শান্তির বাজার,
বিলোনীয়া
এবং সাব্রুম।
জেলা সদর দপ্তর:-
উত্তর জেলা -ধর্মনগর।
ঊনকোটি জেলা:-কৈলাশহর।
ধলাই জেলা:- আমবাসা।
খোয়াই জেলা:- খোয়াই।পশ্চিম জেলা:- আগরতলা।
সিপাহী জলা জেলা:- বিশ্রামগঞ্জ।
গোমতী জেলা:- উদয়পুর।
দক্ষিণ জেলা:- বিলোনীয়া।

।। নীরমহল ।।


মহারাজা বীরবিক্রম কিশোর মানিক্য বাহাদুর ১৯৩০ সালে স্থাপন করেছেন। আগরতলা থেকে দক্ষিণ দিকে ৫৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।গ্ৰীষ্মকালে মহারাজা অবসর বিনোদন করতে যেতেন নীরমহলে । নীরমহল রুদ্রসাগর জলাশয়ের মধ্যে অবস্থিত। নীরমহল হিন্দু এবং মুসলিম স্থাপত্যের অন্যতম নিদর্শন। ভারতের মধ্যে রাজস্থানের জলমহলের সাথে এর সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায়।
মহারাজা বীরবিক্রম কিশোর মানিক্য বাহাদুর ১৯২১ সালে বৃটিশ কোম্পানি মার্টিন এন্ড র্বাণ দিয়ে নির্মাণ করেছেন। দীর্ঘ ৯ বছর সময় লাগে এই কাজ শেষ করতে।
নীরমহল মধ্যে ২৪ টি কক্ষ রয়েছে।একটি অংশে রাজদরবার হল ছিল।অপরাংশে সঙ্গীত নাটক চর্চা আসর বসার ব্যবস্থা ছিল। জলাশয়ের আয়তন ৫.৩ স্কয়ার বর্গ কিলোমিটার। জলাশয়ের মধ্যে নৌকা বিহার করার সুযোগ রয়েছে।প্রতি বছর জুলাই – আগষ্ট মাসে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় জেলে সম্প্রদায়ের ছেলে মেয়ে গন এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। শীতের সময় দেশ বিদেশের বিভিন্ন প্রজাতির পাখি এসে ভিড় করতে থাকে।
রাজ ঘাট থেকে নৌকা করে নীরমহলে যেতে হয়। বৈদ্যুতিক নৌকা করেও যাওয়া যায়। নৌকা যাত্রী পূর্ণ হবার পর মাঝি এসে নৌকা নিয়ে নীরমহল যাবে। সেখান থেকে নির্দিষ্ট সময়ের নৌকা আবার ফিরে আসে ঘাটে। সেখান থেকে ফিরে আসার পথে আপনি জগন্নাথ মন্দির,চন্ডীছড়া লেক এবং পাগলীমাসী সমাধিস্বল পরির্দশন করতে পারেন।
অবস্থান: –
সিপাহী জলা জেলা। সোনামুড়া মহকুমার মধ্যে মেলাঘর নগর পঞ্চায়েতে নীরমহল।
বিশ্রামগঞ্জ থেকে সোনামুড়া যাবার পথে মেলাঘর পড়ে। মেলাঘর বাজারে নেমে নীরমহল যাওয়া যায়। মেলাঘর মোটরস্ট্যান্ড এ নেমে অটোরিকশা নিয়েও যেতে পারেন।

যাতায়াতের সুযোগ:-
ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে বিমানে আসনে। আগরতলা মহারাজা বীরবিক্রম বিমান বন্দরে আসবেন। সেখান থেকে অটোরিকশাতে নাগেরজলা আসতে হবে। নাগেরজলা থেকে সোনামুড়া, বিলোনীয়া, রাজনগর যাত্রীবাস যাতায়াত করে। সেই সব বাসেকরে গিয়ে আপনি মেলাঘর বাজারে নামতে হবে।সেখান থেকে অটোরিকশাতে নীরমহল যাবেন।
এছাড়া আগরতলা থেকে ছোট গাড়ি রির্জাভ করেও যেতে পারেন।গাড়ি নেয়ার আগে ভাড়া পুড়িয়ে নেবেন। কিলোমিটার হিসেবে গাড়ি ভাড়া করতে পারবেন।
অপরদিকে ত্রিপুরা সরকার পরিচালিত পর্যটন নিগম থেকে ও গাড়ি নিয়ে যেতে পারেন।
দূরত্ব :- আগরতলা বিমানবন্দর থেকে নীরমহল ৫৭ কিমি।
বিশ্রামগঞ্জ থেকে নীরমহল ১৫ কিমি।
রেল পথে:-দূরপাল্লার ট্রেন আগরতলা বাধারঘাট স্টেশন আসবেন। সেখান থেকে অটোরিকশাতে নাগেরজলা আসতে পারেন।বা ষ্টেশন থেকে অটোরিকশাতে সিদ্ধিআশ্রম আসবেন। সেখান থেকে সোনামুড়া গামি যেকোন যাত্রীবাহী বাসে করে ও মেলাগর বাজারে নামুন।
নতুবা রেল ষ্টেশন থেকে ছোট গাড়ি রির্জাভ করে যেতে পারবেন।
অনুমতি:- এখানে যেতে সরকারি কোন ধরনের অনুমতির প্রয়োজন নেই।
রাত্রীযাপন :- রুদ্রসাগরের পাশে পর্যটন নিগমের অধীনে
সাগরমহল পর্যটন নিবাস রয়েছে।
কল – ০৩৮১-২৫২৪৪১৮.
এছাড়া মেলাঘর বাজারে বেসরকারি হোটেল পাবেন।
জরুরী যোগাযোগ:- জেলা শাসক অফিস, বিশ্রামগঞ্জ। সিপাহী জলা জেলা।
কল -০৩৮১-২৮৬৭৩৭৩.
সোনামুড়া মহকুমা অফিস:-
কল -০৩৮১-২৭৫০২২২.
পুলিশ সুপার:- ০২৩১-২৮৬৭৩১৪.
এস ডি পি ও:- ০৩৮১-২৭৫০২২৫.
মেলাঘর থানা :-০৩৮১-২৫২৪২৩২.
মেলাঘর হাসপাতাল:- ৯৮৬২৬৭১৩৪২.

।। ভূবেনেশ্বরী মন্দির।।

এটি উদয়পুর গোমতী নদীর তীরে গড়ে তুলেন মহারাজা গোবিন্দ মানিক্য বাহাদুর।১৬৬০ থেকে ১৬৭৬ খ্রীষ্টাব্দে। চায়না নির্দশনের সামঞ্জস্য রেখে মন্দির নির্মাণ করা হয়েছে।
বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই মন্দির কে নিয়ে দুই টি ঐতিহাসিক বিখ্যাত কবিতা লেখেছেন। সেগুলো হলো ” বিসর্জন” এবং ” রার্জর্ষী” ।

অবস্থান:– আগরতলা থেকে ৫৪ কিমি দূরে উদয়পুর শহর।এর পাশ দিয়ে গোমতী নদী বেয়েঁ গেছে। শহরের পাশে মন্দির অবস্থিত।
আগরতলা বিমানবন্দর থেকে উদয়পুর শহরে সরাসরি যাওয়া যায়। সেখান থেকে অটোরিকশাতে রাজনগর পঞ্চায়েতে গিয়ে পৌঁছে আপনি মন্দির পাবেন। উদয়পুর শহর থেকে দেড় কিমি দূরে মন্দির।
রেল পথে:- বহিরাজ্য থেকে এসে বাধারঘাট রেল ষ্টেশন এ নামতে হবে। সেখান থেকে অটোরিকশাতে সিদ্ধিআশ্রম বা নাগেরজলা বাস ষ্ট্যান্ড এ আসবেন। আগরতলা থেকে উদয়পুর গামী বাসে করে গিয়ে আপনি উদয়পুর রাজারবাগ মোটরস্ট্যান্ড এ নেমে যাবেন। সেখান থেকে অটোরিকশাতে বা যেকোনো গাড়ি নিয়ে ভূবনেশ্বরী মন্দিরে যেতে পারেন।
এছাড়া বাধারঘাট থেকে সাব্রুম গামী ডেমু ট্রেনে করে গিয়ে উদয়পুর ষ্টেশনে নামতে হবে।ষ্টেশন থেকে অটোরিকশাতে মন্দিরে যেতে পারেন।
আগরতলা থেকে বেসরকারি গাড়ি ভাড়া নিয়ে নিরাপদে মন্দির ঘুরে আসতে পারেন।
আগরতলা থেকে উদয়পুর শহর মাত্র দেড় ঘণ্টা পথ।রাস্তা খুব ভালো।
ভূবেনেশ্বরী মন্দির থেকে আপনি উদয়পুর শহর ত্রিপুরা সুন্দরী মন্দির,শ্রীব্বারি,গুনবতী এবং জগন্নাথ মন্দির পরিদর্শন করতে পারেন। এছাড়া শহরে বড় বেশ কিছু জলাশয় রয়েছে রাজ আমলের। একমাত্র
উদয়পুর শহর রয়েছে যার কাছে বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকা নেই।উদয়পুর আরেক নাম হল রাঙ্গামাটি।এখানে থেকে মহারাজা আমলে ত্রিপুরা পরিচালনা করেছেন।


অনুমতি:- প্রয়োজন নেই।
রাত্রিবাস :- উদয়পুর শহরে পর্যটন নিগমের অধীনে গোমতী যাত্রীনিবাস,কল – ০৩৮২১-২৬৭৯৩৯.
এবং
গোমতী টুরিষ্ট লজ – মাতাবাড়িতে।
জরুরী যোগাযোগ করবেন:-
গোমতী জেলা শাসক অফিস। উদয়পুর।কল করুন:- ০৩৮১-২২২২০২.
উদয়পুর মহকুমা শাসক অফিস। কল করুন:- ০৩৮২১-২২৩৫৭৩.
বি ডি ও – মাতারবাড়ী – কল – ০৩৮২১-২২৩৫২০.
পুলিশ ষ্টেশন ,এস পি গোমতী জেলা ।কল- ০৩৮২১-২২৩৫৪০.
এস ডি পি ও উদয়পুর।কল – ০৩৮২১-২২২৩২৩.
উদয়পুর থানা – ০৩৮২১- ২২৩৫১৭.
হাসপাতাল:- গোমতী জেলা হাসপাতাল টেপানীয়া।সি এম ও ০৩৮২১-২২২২২১.

|| কমলাসাগর কালি মন্দির ( কসবা ) ||


ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে অবস্থিত কমলাসাগর কালি মন্দির। মহারাজা কল্যাণ মানিক্য বাহাদুর কাজ শুরু করেছিলেন। তিনি কাজ শেষ করতে পারেন নি।পরে মহারাজা ধন্যমানিক্য বাহাদুর আমলে মন্দির কাজ করে তার পূজা চরনা শুরু হয়েছিল। কালির সাথে শিব দূর্গা পূজা করা হয় ।
মন্দিরের সামনে বিশাল দীঘি রয়েছে।
ধন্যমানিক্য আমলে ( ১৯৪০-১৫২০) খ্রীষ্টাব্দের কথা।দীঘি খনন করার পর তাতে জল পাওয়া যায় নি। একদিন মহারাণী কমলা দেবী স্বপ্নে দেখেছেন। তিনি দীঘি তে নামের তাহলে দীঘিতে জল উঠবে। পরদিন মহারানী দীঘিতে নেমে একেবারে মধ্যে চলে যায়। সেখান থেকে ফিরে আসার পথে দেখতে পান।জল উঠতে শুরু করেছে। তিনি দীঘির ঘাটে ফিরে আসার আগেই জলে তা ভরাট হয়ে যায়।জল থেকে ওঠতে না পেরে জলে ডুবে মৃত্যু হয়। সেই থেকে এই দীঘির নাম হয় কমলাসাগর।


কল্যাণমানিক্য আমলে বাংলার নবাব হোশেন শাহ ত্রিপুরাতে আক্রমণ করেছেন।
আক্রমনের হাত থেকে বাঁচতে তিনি এখানে এই দীঘি খনন করেছিলেন বলে প্রবাদ রয়েছে।
এই মন্দিরে প্রতি বছর এপ্রিল মাসে মেলা বসে।ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় মন্দির হ‌ওয়াতে উভয় দিকের দর্শনার্থীদের ভিড় পরিলক্ষিত হয়। এছাড়া প্রতি দিন এখানে পূজা অনুষ্ঠিত হয়।
বর্তমানে সিপাহী জলা জেলার অন্তর্গত বিশালগড় মহকুমা তে অবস্থিত।
যাতায়াত:- আগরতলা থেকে মন্দির দুরত্ব মাত্র ৩১ কিমি।
আগরতলা বিমানবন্দর থেকে সরাসরি ছোট গাড়ি রির্জাভ করেও মন্দির প্রাঙ্গনে যাওয়া যায়। আবার বিমান বন্দরে নেমে অটোরিকশা করে নাগেরজলা আসতে হবে। সেখান থেকে বাস বা ছোট গাড়ি করে ও আপনি যেতে পারবেন।
রেল পথে যারা আসবেন তারা বাধারঘাট ষ্টেশনে নামবেন। সেখান থেকে ছোট গাড়ি রির্জাভ করেও কমলা সাগর বা কসবা কালি মন্দিরে যেতে পারবেন। যোগাযোগ সুব্যবস্থা রয়েছে। আগরতলা থেকে মাত্র ৪৫ মিনিটে আপনি অনায়াসে পৌঁছে যাবেন।
কোন ধরনের সরকারি অনুমতির প্রয়োজন নেই।
দর্শনীয় বলতে মন্দিরে পাশে ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে দাড়িয়ে বাংলাদেশ পরিবেশ সহ রেল যাতায়াত উপভোগ করতে পারবেন। বাংলাদেশ কসবা রেল ষ্টেশন ঐপাশে রয়েছে।
এছাড়া ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে কসবা হাট বসে। সেখান থেকে আপনি বাংলাদেশের সামগ্ৰী কিনে নিয়ে যেতে পারবেন।
বিশ্রামাগার:- কুমিল্লা টুরিষ্ট লজ ভিউ রয়েছে।কল -০৩৮১-২৯১৬০১৪.
জরুরী পরিষেবা:-
সিপাহী জলা জেলা শাসক অফিস.কল-০৩৮১-২৮৬৭৩৭৩.
বিশালগড় মহকুমা অফিস -কল-০৩৮১-২৩৬১২৯৪.
বিশালগড় ব্লক অফিস।কল-০৩৮১২৩৬১২৫০.
পুলিশ সুপার।কল- ০৩৮১-২৮৬৭৩১৪.
এস ডি পি ও বিশালগড়।কল-০৩৮১-২৩৬০২১৫.
বিশালগড় থানা ।কল -০৩৮১-২৩৬১২৪৪.
চিকিৎসা:-
বিশালগড় মহকুমা হাসপাতাল।কল -০৩৮১-৯৮৬২৭২৪৪৭৮.
এছাড়া ও রাজ্য সরকার পরিচালিত পর্যটন নিগম কতৃপক্ষের সাথে ও যোগাযোগ করতে পারেন।

|| মহামুনি বুদ্ধ মন্দির ||

ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত শহর সাব্রুম। এই শহরে মধ্যে মনুবনকুল গ্ৰাম। এখানে গড়ে তোলা হয়েছে বুদ্ধ মন্দির। অপূর্ব সৌন্দর্যের শান্ত পরিবেশ।বুদ্ধমূর্তি ও স্থাপত্য শিল্প দৃষ্টি নন্দন যোগ্য।
প্রতি বছর বুদ্ধ পূর্ণিমা সময়ে এখানে তিনদিনের মেলা বসে।দূর দূরান্ত থেকে মেলাতে লোক সমাগম ঘটে।
এছাড়া মন্দিরে উদ্বোধন করেছেন দলাই লামা।
থাইল্যান্ড, বাংলাদেশ, মায়ানমার, শ্রীলঙ্কা সহ বিভিন্ন দেশের বুদ্ধ ধর্মালম্বীদের ধর্মগুরু এখানে আসেন।
এই মহকুমাতে মগ সম্প্রদায়দের জনগন বেশি বসবাস করে।


অনুমতি – কোন অনুমতি প্রয়োজন নেই।
কিভাবে যাবেন –
আগরতলা বিমানবন্দর থেকে নাগেরজলা আসতে হবে। সেখান থেকে সাব্রুম বা মনুবনকুল পয্যন্ত সরাসরি বাস চলাচল করে।
ছোট গাড়ি রির্জাভ করেও যাওয়া যায়।
রেল পথে যারা আসবেন তারা বাধারঘাট রেল ষ্টেশন এ নামতে হবে। সেখান থেকে অটোরিকশাতে নাগেরজলা আসতে হবে। নাগেরজলা থেকে বাসে আপনাকে মুনবনকুল যেতে হবে।
আগরতলা থেকে সাব্রুম পর্যন্ত ডেমু ট্রেন চলাচল করে।ট্রেনে যেতে পারেন।
দূরত্ব:- আগরতলা থেকে ১৩৪ কিমি।
এছাড়া আরো যেতে পারেন -:
সাব্রুম আন্তর্জাতিক সীমান্ত এলাকায়।এখান থেকে আপনি বাংলাদেশের রামগড় সহ বিভিন্ন এলাকার দৃশ্য দেখে আসতে পারেন।
রয়েছে কালাছড়া ইকোপার্ক। খুব সুন্দর। পিকনিক স্পট রয়েছে। সাব্রুম শহরে ও ঘুরতে পারবেন। শহরের পাশে দিয়ে বয়ে গেছে ফেনী নদী। নদীর ঐ তীরে বাংলাদেশ।
রাত্রিবাস:- মহামুনি টুরিষ্ট লজ ,। মনুবনকুল। সাব্রুম।
মনুযাত্রিনিবাস। সাব্রুম।
কল -: ০৩৮২৩-২৬৬৭৪৩।
দক্ষিণায়ন ষ্টুরিট লজ -সাব্রুম। মোঃ -৯৮৬২৯০৫১০৮.

|| পিলাক ||

শান্তির বাজার মহকুমা। দক্ষিণ জেলা অন্তর্গত। জোলাইবাড়ি ব্লকে ঐতিহাসিক বিখ্যাত স্থান পিলাক। সম্পূর্ণ গ্ৰামীন এলাকায় এ জায়গা।
হিন্দু এবং বুদ্ধদের নির্দশন রয়েছে।প্রত্নত্তত্ত্ব বিশাল ভান্ডার। মাটির নিচে আজো বহু অনাবিষ্কৃত বিগ্ৰহ পাওয়া যায়। এখানে ১৯৮৫ সাল থেকে মাটিতে খনন কাজ শুরু করা হয়েছে।অবলোকিতেশ্বর মস্তকবিহীন বুদ্ধবিগ্ৰহ ,ব্রোঞ্জ বুদ্ধ মূর্তি,মহিষামর্দিনী,,শিব,সূর্যমূর্তী,সহ নানা মূর্তি উদ্ধার করা হয়।স্বর্ণ,রূপা মূদ্রা পাওয়া যায়।পাশে রয়েছে চতুর্দশ দেবত মন্দির।
ধারনা করা হয় বাংলার সেন বংশের রাজত্ব কালের এই নির্দশন।শ্যামসুন্দরটিলা,দেববাড়ি ,ঠাকুররাণীটিলা ,বিলের পাথর , বাসুদেব বাড়িসহ অনেক জায়গায় যেতে পারেন।পর্যটকদের কাছে বিশেষ আকর্ষণীয় স্থান।

অনুমতি -: প্রয়োজন নেই।
দূরত্ব:- আগরতলা থেকে ১১৪ কিমি । উদয়পুর থেকে শান্তির বাজার পর্যন্ত ১৪ কিমি। শান্তির বাজার থেকে জোলাইবাড়ি পিলাক ৩ কিমি।
আগরতলা বিমানবন্দর থেকে পিলাক দুরত্ব ১২৪ কিমি।
যাতায়াত :- বিমানে যারা আসবেন তারা বিমান বন্দর থেকে ছোট গাড়ি করে নাগেরজলা আসতে হবে। নাগেরজলা থেকে সাব্রুম, জোলাইবাড়ি, শান্তিরবাজার, মনুবনকুল বাসে করে জোলাইবাড়ি গিয়ে নামতে হবে।
ট্রেন:- আগরতলা বাধারঘাট রেল ষ্টেশন এ নামতে হবে।
আগরতলা থেকে সাব্রুম গামী ডেমু ট্রেনে করে জোলাইবাড়ি ষ্টেশনে নামতে হবে। ষ্টেশন থেকে অটোরিকশাতে পিলাক যেতে পারবেন।
আগরতলা বাধারঘাট স্টেশন থেকে অটোরিকশাতে নাগেরজলা যেতে হবে।
নাগেরজলা থেকে বাসে জোলাইবাড়ি গিয়ে নামতে হবে।
আপনি ইচ্ছে হলে আগরতলা থেকে ছোট গাড়ি রির্জাভ করে ও যেতে পারেন।
রাত্রিবাস:- পিলাক ষ্টুরিট লজ । জোলাইবাড়ি। মোঃ -৯৮৬২৬৪২১৩০।
মহুরি ষ্টুরিট লজ -বিলোনীয়া । মোঃ -৯৪৩৬১২৭৭৫৯।
দক্ষিণায়ন ষ্টুরিট লজ – সাব্রুম। মোঃ -৯৮৬২৯০৫১০৮.
প্রশাসন:- শান্তির বাজার মহকুমা শাসক। কল -০৩৮২৩-২৮২৬৬৮.
জোলাইবাড়ি ব্লক অফিসার।কল -০৩৮২৩-২৬৩০০৩.
পুলিশ:-.শান্তিরবাজার পুলিশ সুপার।কল -০৩৮২৩-২৭২৭৬২.
শান্তির বাজার থানা -০৩৮২৩-২৬২২৩১.
হাসপাতাল:- শান্তির বাজার হাসপাতাল। মোঃ -:৮৭৯৫৮৮০৬৪১.

|| জগন্নাথ মন্দির ||


বিলোনীয়া শহরের উপর জগন্নাথ মন্দির অবস্থিত।
মন্দিরের পূজারি সাথে আগে যোগাযোগ করলে প্রসাদের ব্যবস্থা হবে। মন্দিরের পাশে রাস্তার ঐ পাশ দিয়ে বয়ে মহুরি নদী। নদীর ঐপারে রয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ সাথে ভারতের সীমান্ত বিরোধ আজও রয়ে গেছে।
ভারত বাংলাদেশ আন্তর্জাতিকসীমান্ত চেকপোস্ট রয়েছে। এই দিক দিয়ে ভিসা মাধ্যমে আসা যাওয়া করা যায়।
এর পাশে রামঠাকুরের বিশাল মন্দির রয়েছে।রামঠাকুর এই মন্দিরে এসে ছিলেন।
শহর ঘুরে দেখতে পারেন।পাশে বিলোনীয়া রেল ষ্টেশন।

দূরত্ব:- আগরতলা থেকে বিলোনীয়া শহর ৯৮ কিমি।
যাতায়াত:- আগরতলা নাগেরজলা থেকে বিলোনীয়া পর্যন্ত সরাসরি বাস চলাচল করে।
ট্রেন:- আগরতলা রেল স্টেশন এনেমে নাগেরজলা মোটরস্ট্যান্ড আসতে হবে।এখান বিলোনীয়া শহর পর্যন্ত বাস চলাচল করে।
আগরতলা থেকে বিলোনীয়া পর্যন্ত ডেমু ট্রেন চালু রয়েছে।ট্রেনে যাওয়া যায়। ষ্টেশনে নেমে অটোরিকশা করে বিলোনীয়া শহরে যেতে পারেন।
রাত্রি বাস :- বিলোনীয়া শহর নগর পঞ্চায়েত পরিচালিত সরকারি আবাস রয়েছে।
রয়েছে বেসরকারি হোটেল।

|| তৃষ্ণা অভয়ারণ্য ||

রাজ্যের বৃহৎ অভয়ারণ্য তৃষ্ণা।১৯৪.৭০৪ বর্গ এলাকা নিয়ে ১৯৮৮ সালে রাজ্য সরকার গড়ে তুলেছে। ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত রাজনগর এলাকায় এটি রয়েছে।
সবুজ ঘাসের সমারোহে ভরপুর। রয়েছে বিশাল বিশাল জলাশয়।বাইসন হল বিশেষ আকর্ষণ। এছাড়া চশমা বানর,ভল্লুক,হরিণ, হনুমান, উল্লুক সহ নানা ধরনের পাখি রয়েছে। জঙ্গলের মধ্যে উঁচু উঁচু টাওয়ার রয়েছে। সেই টাওয়ার উপরে উঠে আপনি বাংলাদেশের সমুদ্র সৈকত দেখতে পারেন। প্রজাপতি পার্কটি আলাদা আর্কষনীয়।

অনুমতি:- প্রয়োজন নেই।
যাতায়াত:- আগরতলা নাগেরজলা থেকে রাজনগর পর্যন্ত বাস চলাচল করে।তবে এই অভয়ারন্যে যেতে রির্জাভ করে ছোটগাড়ি নিয়ে যাওয়াই ভাল।
রেল পথে যাতায়াত ভালো নয়।
আগরতলা নাগেরজলা থেকে বিলোনীয়া পর্যন্ত গিয়ে সেখান থেকে ছোট গাড়ি রির্জাভ করেও তৃষ্ণা অভয়ারণ্য যেতে পারেন।
দূরত্ব:- আগরতলা বিমানবন্দর থেকে তৃষ্ণাঅভয়ারন্য ১২০ কিমি।
সোনামুড়া শহর থেকে বিলোনীয়া শহর ১৯ কিমি।
রাত্রিবাস:- তৃষ্ণাঅভয়ারন্যে থাকতে পারবেন।
কল :- ০৩৮২৩-২৬৭৩৪০.
নয়তো আপনি বিলোনীয়া মহুরি ষ্টুরিট লজ ।

কল-০৩৮২৩-২২২০৩২.
দুপুরে খাবার খেতে পারবেন রাজনগর বাজারের হোটেল গুলোতে।
যোগাযোগ:- রাজনগর বি ডি ও – মোঃ ০৩৮২৩-২৬৪২২১.
পুলিশ:- বিলোনীয়া থানা – ০৩৮২৩-২২২২১৪.

আগরতলা শহরে কোথায় কি আছে। সহজে দেখতে পারবেন।

আন্তর্জাতিক মহারাজা বীরবিক্রম কিশোর মানিক্য দেবর্বমন বিমান বন্দর।
এটি আগরতলা থেকে ৫ কি মি দূরে বিমানগড় তথা নড়সিংগড়ে অবস্থিত।
অটোরিকশা বা যাত্রীবাহী বাসে আগরতলা শহরে আসা যায়। কি কি পরির্দশন করতে পারেন:-

|| ঊজ্জ্বয়ন্ত প্রাসাদ ||

এটি রাজ্য সরকার পরিচালিত যাদুঘর। সোমবার বন্ধ থাকে। প্রতিদিন খোলা থাকে।
১৯৭০ সালে প্রথম যাদুঘর চালু করা হয়।পরর্বতি সময়ে রাজ্য সরকার ২০১২ সালের অক্টোবরে এখানে পূর্ণাঙ্গ যাদুঘর চালু করা হয়।
এখানে রাজাদের আমলে ব্যবহ্রত গয়না,মুদ্রা,কৃষ্টি সংস্কৃতি,শতাব্দি প্রাচীন বিভিন্ন জিনিস রয়েছে।
এই প্রাসাদটি মহারাজার আমলে নির্মাণ করা হয়।অসামান্য শিল্প নির্দশন। উচ্চতা ৮৬ ফুট। সামনে দুটি বিশাল জলাশয় রয়েছে।
সামনে ৩০ ফুট উপরে জাতীয় পতাকা উড়িয়ে রাখা হয়।
এই ভবনটি মহারাজাদের বাড়ি ছিল।রাজ আমল শেষ হবার পর এই বাড়িতে রাজ্য বিধানসভার কাজ কর্ম করা হত। পরে এখান থেকে বিধানসভা কাজকর্ম সরিয়ে নিয়ে যাবার পর যাদুঘর চালু করা হয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই ভবনের নাম উজ্জ্বয়ন্ত রেখেছিলেন।

|| লক্ষীনারায়ন মন্দির ||

উজ্জ্বয়ন্ত প্রাসাদের সামনে গা ঘেঁষে রয়েছে এই মন্দির।এটি ও সকাল থেকে রাত পর্যন্ত খোলা থাকে। প্রতিদিন পূজা দেয়া হয়।যদিও বিয়ের মরসুম এ মন্দিরটি পরির্দশন করতে না আসাই ভালো। সেই সময়ে নববিবাহিত দম্পতিদের ভিড় পরিলক্ষিত হয়।
পাশে রয়েছে উমামহেশ্বর মন্দির ও,শ্রীআনন্দময়ী আশ্রম,।
রয়েছে মহিলা কলেজ। তার সাথে রয়েছে লোকনাথ আশ্রম। এই আশ্রমে দর্শনার্থীদের মধ্যে সকাল সন্ধা দুই বার প্রসাদ বিতরণ করা হয়।
রয়েছে রামদেবের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র। বিনামূল্যে পরিষেবা দেয়া।
গাঘেসে রয়েছে অযাচক আশ্রম।
এখান থেকে পায়ে হেঁটে যেতে পারেন শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরে। খুব সুন্দর এটি।
এখান থেকে ফিরে আপনি দুর্গা বাড়িতে আসুন।। মহারাজার আমলে নির্মাণ করা হয় এটি। এখানে রয়েছে।দুর্গা পূজার সময় এসে দেখবেন দুই হাতের দুরগা মূর্তি।দশ হাত নিয়ে দুর্গা
প্রতিমা তৈরি করা হয় না। মন্দির টি পরিচালিত হয় রাজ্য সরকার কর্তৃক।

এখান থেকে একটু সামনে এগিয়ে গিয়ে বামদিকে মোড় নিয়ে সামনে এগিয়ে গিয়ে দেখতে পাবেন জগন্নাথ মন্দির। অপূর্ব সৌন্দর্যের মন্দির। এখানে আপনি সপরিবারে ও থাকতে পারবেন।
*যোগাযোগ:- মোঃ -৯৭৭৪০৩৪৫১৭/০৩৮১-২৩২-৪৪৯৭.সময়:- সকাল ৯-৩টা এবং সন্ধ্যা:- ৫-৯টা মধ্যে কথা বলতে পারবেন।
সামনে একটু এগিয়ে গিয়ে ডানদিকে মোড় নিয়ে আপনি রাজবাড়িতে যাবেন। সেখানে মঙ্গলচন্ডী মন্দির রয়েছে।
এই বার ফিরে এসে দেখতে পাবেন রবীন্দ্রশতবার্ষিকী ভবন। এটি আগে ছিল শচীন কর্তার বাড়ি।
এখান থেকে বেরিয়ে চলে যেতে পারেন শ্রী শ্রী অনুকূল চন্দ্রের আশ্রমে।
যাবার পথে পাবেন অরবিন্দ আশ্রম।
বনমালী পুর রামঠাকুর এবং ব্রম্মাকুমারী আশ্রম ও রয়েছে।
এই বার টমটম বা অটোরিকশা নিয়ে চলে যেতে পারবেন এম বি বি কলেজে।এটি মহামহা রাজা বীরবিক্রম কিশোর মানিক্য কলেজ স্থাপন করেন। কলেজের সামনে রয়েছে বিশাল জলাশয়।
মঠচোহমনীতে রয়েছে নজরুল কলা ক্ষেত্র।
এখানে গড়ে তোলা হয়েছে চলচ্চিত্র প্রশিক্ষন কেন্দ্র।

বুদ্ধদেবের আশ্রম রয়েছে বুদ্ধমন্দির এলাকায়। মহারাজা বীরবিক্রম মায়নমার থেকে মুর্তি এনে এখানে স্থাপন করেছেন। মন্দির কে কেন্দ্র করে মনিপুর রাজ্যের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলা হয়েছে।

মরিয়মনগর গীর্জা।

আগরতলা শহরের পাশে তিন কিমি দূরে কাশিপুরে অবস্থিত।পুর্ত গীজ সম্প্রদায়দের কিছু পরিবার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ত্রিপুরা তে এসেছিল।ওরা আর দেশে ফিরে যায় নি।এরা এখানে রয়ে যায়।সকলে যীশুখ্রিষ্ট ধর্মালম্বী।মনোরম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে এখানে আসতে পারেন।।প্রতি বছর বডদিন উপলক্ষে মেলা বসে।তাতে বহু লোক সমাগম হয়।
যাবেন:- পুরানো মোটরস্ট্যান্ড থেকে অটোরিকশা পাওয়া যায়।যাতা য়াতে কোন অসুবিধা হবে না।

|| শিববাড়ি ||

আগরতলা থেকে মহারাজগঞ্জ বাজার যাবার পথে সেন্টাল রোডে শিববাড়ি মহাদেব মন্দির অবস্থিত। এখানে নিত্য পূজা হয়।আগাম পুরোহিতের সাথে যোগাযোগ করলে প্রসাদ পেতে পারেন।

|| এন আই টি ||

। জিরানিয়া মহকুমাতে অবস্থিত। সম্পূর্ণ গ্ৰামীন পরিবেশ বজায় রয়েছে।
যাবেন:- আগরতলা পুরানো মোটরস্ট্যান্ড থেকে অটোরিকশা করে এন আই টি আসা যাওয়া করতে পারেন। আগরতলা থেকে ১৫ কিমি হবে। সন্ধ্যা হবার আগে ফিরে আগরতলায় আসতে হবে।এর পরে হলে গাড়ি পেতে অসুবিধা হবে।
সেখানে থাকতে পারবেন না। আগরতলায় এসে যেকোন হোটেল এ থাকতে পারবেন।

|| বড়মুড়া ইকোপার্ক ||

।আসাম আগরতলা জাতীয় সড়কের পাশে ইকোপার্ক টি বড়মুড়াতে রয়েছে। তেলিয়ামুড়া যাবার পথে এটি পড়ে। চারিদিকে ঘন জঙ্গলে ঘেরা। বড়মুড়া পাহাড়ে উপরে এটি গড়ে তোলা হয়েছে। শীতের সময় এখানে পিকনিক পার্টির ভিড় পরিলক্ষিত হয়।এ সময়ে দীর্ঘ সময় সেখানে থাকতে পারবেন। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন।

বড়মুড়াতে অবস্থিত বনদেবতা এবং মন্দির


আগরতলা চন্দ্রপুর থেকে তেলিয়ামুড়া গামি যাত্রীবাসে করে গিয়ে আপনি ইকোপার্ক সামনে নেমে যাবেন। সেখানে নেমে আপনি টিকেট কেটে পার্কের দৃশ্য দেখতে দেখতে ভেতরে চলে যাবেন।
রাত্রিবাসের কোন ব্যবস্থা নেই। আগরতলা বা তেলিয়ামুড়াতে গিয়ে রাত্রি যাপন করতে হবে।
সরকারি কোন ধরনের অনুমতির প্রয়োজন নেই।


বড়মুড়া ইকোপার্ক যাবার সময় পথে পড়বে বনদেবতা মন্দির। এখানে নিত্যপূজিত হয় বনদেবতা। প্রতিবছর ভাদ্র মাসে বিশ্বকর্মা পূজা দিন এখানে মেলার আয়োজন করা হয়।
আগে বড়মুড়া পাহাড়ে উপরে দিয়ে যানবাহন চলাচল মত ভাল রাস্তা ছিল না। জঙ্গলে ছিল বাঘ ভাল্লুক জন্তূ যানোয়ার ।গাড়ি নিয়ে যেতে তাদের মুখে পড়তে হয়। সেই জন্য গাড়ি চালক এবং পথচারিগন এই পথ দিয়ে যাবার সময়। এই মন্দিরে সামনে বন দেবতাদের নামে গাছের পাতা ছিঁড়ে ভক্তিসহযোগে দিয়ে যায়। তাহলে রাস্তায় আর কোন ধরনের বিপদের মুখে পড়তে হয় না বলে বিশ্বাস। এই থেকে ধীরে ধীরে এখানে একটি বনদেবতা সুন্দর মন্দির গড়ে তোলা হয়েছে।
তার একটু সামনে এগিয়ে গিয়ে বামদিকে মোড় নিয়ে দেখতে পাবেন।তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র। এখানে গ্যাস পুড়িয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়।

|| এ ডি নগর গীর্জা ||

আগরতলা শহরের পাশে অরুণদোতিনগর এ এই গীর্জা টি রয়েছে।১৯৪০ সালে খৃষ্ট ধর্মাবলম্বীদের উদ্যোগ এ এটি গড়ে তোলা হয়েছে।
পাশে আরক্ষা প্রশাসনের সদর অফিস।
একটু এগিয়ে গিয়ে বামদিকে পাবেন। আগরতলা দূরদর্শন কেন্দ্র।
সামনে এক কিমি এগিয়ে যাবার পর পাবেন সিদ্ধি আশ্রম। সেখান থেকে একটু যাবার পর পাবেন আগরতলা রেল স্টেশন।
অন্যদিকে ড্রপগেইট ধরে এম ভি টিলা দিয়ে যাবার পর দেখতে পাবেন বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকা।

|| নাগিছড়া কাঠিয়াবাবা আশ্রম ||

খয়েরপুর থেকে আমতলী বাইপাস সড়কের পাশে নাগিছড়া পড়ে। এখানে গড়ে তোলা হয়েছে কাঠিয়া বাবা আশ্রম।মনোরম শান্ত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন এখানে যাবার পর।
এই সড়কে পাশে সাইবাবা আশ্রম ও গড়ে তোলা হয়েছে।

|| ভারত সেবাশ্রম ||

বাধারঘাট রেল ষ্টেশন। ষ্টেশন থেকে একটি পিচ ঢালা রাস্তা সোজা গিয়ে পড়ছে। বাইপাস।এটি হল আমতলী খয়েরপুর বাইপাস সড়ক। এখানে দেবটিলা গ্ৰাম। এই গ্ৰামীন পরিবেশে মধ্যে ভারত সেবাশ্রম সং ঘ ।যদিও এখানে রাত্রি যাপন ব্যবস্থা নেই।

|| আখাউড়া স্থলবন্দর ||

ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় অবস্থিত আখাউড়া। এখান দিয়ে ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত পারাপার জন্য রয়েছে পাসপোর্ট অফিস। এই পথে উভয় দেশের লোক জন আসাযাওয়া করেন।
এখানে গিয়ে দেখতে পারেন বাংলাদেশ সীমান্তের দৃশ্য।
বটতলা বা নাগেরজলা থেকে আখাউড়া স্থলবন্দরে অটোরিকশা সার্ভিস চালু রয়েছে।
কেনাকাটা:-
মহারাজগঞ্জ বাজার রাজ্যের বড় বাজার। এখান থেকে যোকোন জিনিস পত্র পাইকারি দরে কিনতে পারেন।
মূল শহরের উপর বিভিন্ন বহুজাতিক মল রয়েছে। সেখানে গিয়ে ঘুরে ঘুরে পছন্দ মত জিনিস কিনতে পারেন। বাঁশের সামগ্ৰী কিনতে যেতে পারেন পূর্বাশা। নয়তো ওরিয়েন্ট চৌমুহনী এলাকায় পাবেন বাঁশ বেতের সামগ্ৰী দোকান।
ভাবছেন হলে বসে সিনেমা দেখবেন।
পোস্ট চৌমুহনী তে রয়েছে মাস্ট সিটি সেন্টারে। নয়তো আপনি যেতে পারেন প্যারাডাস চৌমুহনী পাশের সিটি সেন্টারের মধ্যে। ছোট হল রয়েছে। এই ছাড়া আগরতলা শহরের মধ্যে আর হল নেই।

|| তেপানিয়া পার্ক ||

আগরতলা উদয়পুর সড়কের পাশে তেপানিয়া পার্ক গড়ে তোলা হয়েছে। উদয়পুর শহর থেকে মাত্র চার কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ভরপুর।গ্ৰামীন পরিবেশ। এখানে বিভিন্ন প্রজাতির পশুপাখি বিচরন ভূমি। রয়েছে প্রজাপতি পার্ক।অন্যতম আকর্ষণ ওয়াচ টাওয়ার এবং গাছের উপর বাড়ি।

কি যাবেন :- আগরতলা নাগেরজলা থেকে উদয়পুর সহ দক্ষিণ গামী যেকোন বাসে যেতে পারেন। ছোট গাড়ি ও ভাড়া করে যাওয়া যায়।
ট্রেন উদয়পুর স্টেশন এ নেমে। সেখান থেকে অটোরিকশাতে তেপানিয়া পার্ক এ আসা যায় ।
কোথায় থাকবেন:- তেপানিয়া পার্ক এ বাংলোয় থাকতে পারবেন। এছাড়া পাশে উদয়পুর শহরে বিভিন্ন হোটেলে থাকতে পারবেন। নয়তো আগরতলা শহরে ফিরে আসতে পারবেন।
ছুটি :- একদিন সাপ্তাহিক ছুটি থাকে।
যোগাযোগ:-৯৪৩৬১২৩০৯৮.তেপানিয়া ইকোপার্ক।লগহাট।

|| তৃষ্ণা অভয়ারণ্য ||

রাজ্যের বৃহৎ অভয়ারণ্য তৃষ্ণা।ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী গ্ৰাম রাজনগর ব্লকে অবস্থিত।১৯৮৮ সালে রাজ্য সরকার ১৯৪.৭০৪ বর্গ মাইল এলাকা জুড়ে গড়ে তোলা হয়। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার মতো। সবুজ বনে ঘেরা। চারিদিকে শুধু জঙ্গল।বড় বড় গাছ সারি সারি।বাইসন, উল্লুক, চশমা বানর নানা প্রজাতির পাখি পশু রয়েছে।বড় বড় জলাশয়।
কি ভাবে যাবেন :- আগরতলা নাগেরজলা থেকে গৌরাঙ্গ বাজারের বাসে গিয়ে পাকের সামনে নেমে যেতে হবে।
আবার আগরতলা থেকে বিলোনীয়া পর্যন্ত বাসে গিয়ে। সেখান থেকে ছোট গাড়ি রির্জাভ করেও যাওয়া যায়।তবে রির্জাভ গাড়ি নিয়ে যাওয়া ভালো। দুপুরের পর এপথে যাত্রীবাহি বাস কম চলাচল করে।
কোথায় থাকবেন :- তৃষ্ণা অভয়ারণ্য মধ্যে থাকতে পারবেন। এই জন্য আপনি তৃষ্ণা অভয়ারণ্য বন দফতরের কতৃপক্ষের সাথে কথা বলতে পারেন। যোগাযোগ :- ০৩৮২৩-২৬৭৩৪০.
নয়তো আপনাকে বিলোনীয়া শহরে যেতে হবে।পার্কের সামনে হোটেল নেই।
আগরতলা থেকে তৃষ্ণা অভয়ারণ্য দূরত্ব ৯৫ কিলোমিটার হবে।
সরকারি কোন ধরনের অনুমতির প্রয়োজন নেই।

|| জম্পুই পাহাড়ে সৌন্দর্য ||

জম্পুই পাহাড় কাঞ্চনপুর মহকুমায় অবস্থিত।পাশে ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত।এক পাশে মিজোরাম রাজ্য। অপরদিকে আসাম আগরতলা জাতীয় সড়কের অংশ রয়েছে।সুমদ্রপীঠ থেকে ৩২০০ ফুট উপরে অবস্থিত।
লুসাই সম্প্রদায়দের জনজাতিদের বসবাস।কমলার সাথে লুসাই রমনীদের সৌন্দর্য্য এক‌ই
।চির বসন্তের অনুকূল পরিবেশ। পরিস্কার পরিচ্ছন্ন এলাকায়। সকলে খৃষ্টান ধর্মের লোক। জম্পুই কমলা বিখ্যাত। শীতকালীন সময়ে এখানে ভ্রমণ আরাম দায়ক। ১৯০৩ সালে রাজা রাডং সাইলো প্রথম জম্পুই পাহাড়ের ভাংমুং এ বসতি স্থাপন করেছেন বলে শোনা যায়।বেতলিং শিপ পাহাড়ের উচ্চতায় রয়েছে। এখান থেকে সুযোদয় এবং সূর্যাস্ত দেখতে অপূর্ব।
‌কিভাবে যাবেন :- আগরতলা চন্দ্রপুর থেকে কাঞ্চনপুর মধ্যে যাত্রী বাহী বাস চলাচল করে। এছাড়া ছোট গাড়ি রির্জাভ করেও যাওয়া যাবে।
ট্রেন পথে :- আগরতলা থেকে কুমার ঘাট, পানিসাগর এবং পেচারথল স্টেশনে নামতে হবে। সেখান থেকে ছোট গাড়ি রির্জাভ করে জম্পুই পাহাড় যাওয়া যায়।বা যে কোন গাড়ি করে কাঞ্চনপুর শহরে যাবেন। সেখান থেকে ছোট গাড়ি রির্জাভ করে আপনাকে পাহাড়ে যেতে হবে।
আগরতলা থেকে জম্পুই পাহাড় দূরত্ব ২৫০ কিমি।
আগরতলা বিমানবন্দর থেকে জম্পুই পাহাড় দূরত্ব ২৫০ কিমি।ট্রেনে আগরতলা থেকে কুমার ঘাট বা পেচারথল দূরত্ব হবে ৯০ কিমি। কাঞ্চনপুর থেকে রিজার্ভ গাড়ি নিয়ে জম্পুই পাহাড় যেতে হবে।
সেখানে যেতে সরকারি কোন ধরনের অনুমতির প্রয়োজন নেই।

রাত্রি বাস:-
জম্পুই পাহাড়ে উপরে সরকারি ডাকবাংলো রয়েছে।ইডেন টুরিষ্ট লজ। ফোন:- ০৩৮২_৪২৯০৮৮৮.
আগরতলাস্থিত পর্যটন নিগমের অফিস থেকে বুকিং করে ভালো হবে।
এছাড়া সেখানে আর থাকার ভালো ব্যবস্থা নেই। কাঞ্চনপুর শহরে এসে হোটেল এ থাকতে পারবেন। সরকারি আবাসন আগরতলা থেকে বুকিং করে ভালো হবে।
প্রশাসনিক যোগাযোগ করতে হলে:-
কাঞ্চনপুর মহকুমা শাসক অফিস -০৩৮২৪-২৬৫২১১.
জম্পুই পাহাড় ব্লক অফিস:-০৩৮২৪-২৩৮২৮৭.
কাঞ্চনপুর থানা:- ০৩৮২৪-২৬৫২১৩.
ভাঙ্গমুঙ(জম্পুই) থানা :- ০৩৮২৪-২৯০৮৮০.
হাসপাতাল কাঞ্চনপুর:- ৯৪৩৬১৮০৫২৪/০৩৮২৪-২৬৫২৫৬.

|| ঊনকোটি ||

কৈলাশহর মহকুমার পাহাড়ে গায়ে অপূর্ব শিল্প দেখতে ঊনকোটি আসতে হবে। এই ভাস্কর্য্য ভারতের আর কোথাও দেখতে পাবেন না। পাহাড়ের গায়ে ৩০ ফুট উচ্চতার শিবমূর্তি রয়েছে।সপ্তম ও অষ্টম শতাব্দীর বিভিন্ন দেবদেবীর শিলালিপি সহ মূর্তি রয়েছে। কৈলাশহর থেকে ধর্মনগর যাবার পথে ঊনকোটি এই সব ভাকর্য্য দেখতে পাওয়া যায়।
এখানে গেলে আপনি কৈলাশহরে খাওরাবিল,সহ নানান জিনিস দেখতে পাবেন।
প্রতি বছর এপ্রিলে অশোকাষ্টমীতে ঊনকোটি তে
মেলা বসে। এই সময়ে প্রচুর লোক সমাগম ঘটে।
এখানে যেতে সরকারি কোন অনুমতি প্রয়োজন নেই।

যাবেন কিভাবে:-
আগরতলা বিমানবন্দর থেকে ঊনকোটি দূরত্ব ১৮৬ কিমি।
আগরতলা চন্দ্রপুর থেকে কৈলাশহর গামী বাসে কৈলাশহর যাবেন। সেখানে থেকে ছোট গাড়ি রির্জাভ নিয়ে ঊনকোটি তে যাবেন।গাড়ি একবারে জায়গায় পৌঁছে যাবে না।সড়ক থেকে পায়ে হেঁটে পাহাড়ের নীচে যেতে হবে। আগরতলা থেকে ছোট গাড়ি রির্জাভ নিয়ে ও যেতে পারেন।
ট্রেনে আগরতলা থেকে কুমার ঘাট ষ্টেশনে নামতে হবে। কুমার ঘাট থেকে ছোট গাড়ি নিয়ে কৈলাশহরে পৌঁছে যাবে। সেখানে থেকে ছোট গাড়ি রির্জাভ করে ঊনকোটি স্থলে পৌঁছে যাবে।
আবার ধর্মনগর থেকে ও ঊনকোটি তে যেতে পারেন।
রাত্রি যাপন:-
ঊনকোটি টুরিষ্ট লজ। কৈলাশহর। ফোন – ৮৭৮৭৮৪৫১২১.
জুরি টুরিষ্ট লজ। ধর্মনগর। মোঃ -৮৭৮৭৮৪৫১২১.
এছাড়া কৈলাশহর, কুমার ঘাট এবং ধর্মনগর শহরে বিভিন্ন হোটেলে থাকতে পারবেন।
প্রশাসন:- কৈলাশহর মহকুমা শাসক অফিস:- ০৩৮২৪-২২২২১৮.
পুলিশ ষ্টেশন কৈলাশহর:-০৩৮২৪-২২২২১৬.
হাসপাতাল কৈলাশহর:- ০৩৮২৪-২২২৪৮০.

|| ডম্বুর লেক ||

এটি অমরপুর মহকুমাতে অবস্থিত। গোমতী নদীর উৎপত্তিস্থল। এখানে নদীতে বাঁধ দিয়ে জলপ্রপাত স্থাপন করেছিল। জলবিদ্যুৎ এখান থেকে উৎপন্ন করা হয়।
গোমতী নদীর উৎপত্তিস্থল কে তীর্থমুখ বলা হয়।। এখানে পৌষ সংক্রান্তি দিলে মেলা বসে।এদিন জনজাতির জনগন পিতা মাতার শ্রাদ্ধ সহ নানান কাজকর্ম করেন। জানুয়ারি মাসে এই সময়ে মেলাকে কেন্দ্র করে প্রচুর মানুষ ভিড় পরিলক্ষিত হয়।
জল প্রপাত কে কেন্দ্র করে ব্যাপক হারে লোক সমাগম ঘটে।
নারিকেল কুঞ্জ। এটি কে কেন্দ্র করে এখানে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
ইদানিং নারকেল কুঞ্জ এলাকায় রাত্রি যাপন করতে লগ হাট তৈরি করা হয়েছে।যাহাতে থেকে রাতের অন্ধকারে ডম্বুর লেকের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন।

কিভাবে যাবেন:-
আগরতলা বিমানবন্দর থেকে সরাসরি ছোট গাড়ি রির্জাভ করে আসলে ভাল। আগরতলা বিমানবন্দর থেকে ডব্রুর পর্যন্ত দূরত্ব ১২৪ কিমি।
রেল পথে:- আগরতলা থেকে সাব্রুম ট্রেন ধরে উদয়পুর নামতে হবে। সেখান থেকে ছোট গাড়ি রির্জাভ করে ডম্বুর লেক যাবেন।
এখানে যেতে সরকারি কোন ধরনের অনুমতির প্রয়োজন নেই।
রাত্রিবাস:- রাইমা টুরিষ্ট লজ,যতনবাড়ী

ফোন:- ৯৪৩৬৯১৩৩৯
.সাইমা টুরিষ্ট লজ।গন্ডছড়া:- ৯৪৩৬৯১০৫২৩.
সাগরিকা পান্থ নিবাস! অমরপুর। ফোন:- ০৩৮২১-২৬৪০২১.
প্রশাসন:-গন্ডছড়া মহকুমা শাসক অফিস -:০৩৮২৪-২৬৪২০৬.করবুক ব্লক অফিস:-০৩৮২১-২৬৯২০২.
পুলিশ নতুন বাজার থানা :- ০৩৮২১-২৬৪২৩৬.গন্ডছড়া থানা :- ০৩৮২৬-২৬৫২৩৭.
নতুন বাজার হাসপাতাল:- ৮৯৭৪৮৪১৪৯৬.

|| ছবিমুড়া ||

এটি উদয়পুর এবং অমরপুর সড়কে পাশে ছবিমুড়া অবস্থিত। গোমতী নদী জলপথে সেখানে নৌকা দিয়ে যেতে হয়। বড়মুড়া পাহাড়ে গাঁয়ে পাথরের উপর খোদিত রয়েছে শিব,বিষ্ণু, কার্তিক, মহিষাশুরমরদিনী,, দুর্গা সহ বিভিন্ন দেবদেবীর মূর্তি।
কিভাবে যাবেন:- আগরতলা বিমানবন্দর থেকে ছবিমুড়া অমরপুর দূরত্ব ৯০ কিমি।
আগরতলা রেল ষ্টেশন থেকে উদয়পুর রেল ষ্টেশন দূরত্ব ৩৭ কিমি। উদয়পুর রেল স্টেশন থেকে ছবিমুড়া অমরপুর দূরত্ব ২০ কিমি।
আগরতলা নাগেরজলা থেকে অমরপুর শহরে প্রচুর বাস চলাচল করে। অমরপুর শহর থেকে ছোট গাড়ি রির্জাভ করে নিয়ে ছবিমুড়া যেতে হবে। এছাড়া আগরতলা থেকে ছোট গাড়ি রির্জাভ করে ও যাওয়া যায়।

এখানে যেতে সরকারি অনুমতির প্রয়োজন নেই।
ছবিমুড়া থেকে ফেরার পথে আপনি অমরপুর শহরে মঙ্গলচন্ডী মন্দির, রামকৃষ্ণ আশ্রম, পুরানো রাজবাড়ী, লোকনাথ আশ্রম,ইত্যাদি ইত্যাদি দেখতে পারেন।
কোথায় থাকবেন:- সাগরিকা পর্যটন নিবাস.ফটিকসাগর, অমরপুর শহরে.ফোন:- ০৩৮২১২৬৩০২১/৯৮৬২১৭৫৮৯৯.
ডাক বাংলো। অমরপুর চন্ডীবাড়ি। ফোন:-০৩৮২১-২৬৩২২৬.
প্রশাসন:- অমরপুর মহকুমা শাসক। ফোন:- ০৩৮২১-২৬৩২২৬.
অমরপুর ব্লক অফিস:- ফোন:- ০৩৮২১-২৬৩২৬৪১.
বীরগঞ্জ অমরপুর থানা:- ০৩৮২১-২৬৩২৩৬.
অমরপুর হাসপাতাল। ফোন:- ৭০০৫০৪০২৮৯.

|| সিপাহী জলা চিড়িয়াখানা ||


বিশালগড় মহকুমাতে অবস্থিত। আগরতলা উদয়পুর সড়কের পাশে এটি। বিশালগড় মহকুমা সদর থেকে ৫কিমি দূরে অবস্থিত।
১৮.৫৩ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের মধ্যে এটি ১৯৭২ সাল থেকে যাত্রা শুরু।এখন এটি জাতীয় চিড়িয়াখানা মর্যাদা লাভ করেছে। এই জন্য ৫.৪৮ জায়গা নেয়া হয়েছে।
এই চিড়িয়াখানাতে দেশ-বিদেশের ৪৬৫ টি অধিক পশু পাখি জন্ত জানোয়ারের বিচরণ হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে।
দেশের বিলুপ্ত প্রায় এক মাত্র চশমা বানর এই খানে দেখতে পাওয়া যায়। শীতকালীন সময়ে এখানে পিকনিক পার্টির ভিড় পরিলক্ষিত হয়। রয়েছে খেলনা ট্রেন।
কিভাবে যাবেন:- আগরতলা বিমানবন্দর থেকে সরাসরি বিশালগড় চিড়িয়াখানাতে যেতে ছোট গাড়ি রির্জাভ করতে হবে। নয়তো আপনি বিমানবন্দর থেকে নাগেরজলা আসতে হবে। নাগেরজলা থেকে দক্ষিণ গামী যেকোন বাসে চেপে চিড়িয়াখানা সামনে নামবেন।
সেখান থেকে পায়ে হেঁটে চিড়িয়াখানা ভেতরে চলে যাবেন।
যারা ট্রেনে আসবেন তারা বাধারঘাট রেল ষ্টেশন এ নামতে হবে। সেখান থেকে ছোট গাড়ি রির্জাভ করে যেতে হবে চিড়িয়াখানাতে। নয়তো রেল ষ্টেশন থেকে সিদ্ধি আশ্রম আসবেন।সিদ্ধি আশ্রম থেকে দক্ষিণ গামী যেকোন বাসে ধরে চিড়িয়াখানা সামনে নামবেন। বাধারঘাট রেল ষ্টেশন থেকে সাব্রুম গামী ডেমু ট্রেনে চড়ে বিশালগড় রেল ষ্টেশন এ নামতে হবে। সেখান থেকে অটোরিকশাতে চিড়িয়াখানাতে যেতে পারেন। এখানে যেতে সরকারি অনুমতির প্রয়োজন নেই।
কোথায় থাকবেন:- সিপাহী জলা লগ হাট। ফোন:- ৯৪৩৬১২৭৭৫৯/০৩৮১-২৩২৫৯৩০.
অবসারিকা ফরেষ্ট রেষ্ট হাউস। সিপাহী জলা। ফোন:- ০৩৮১-২৩৬১২২৫/২৩৬০০২৬.
বিশালগড় মহকুমা সদর ও থাকতে পারবেন। নয়তো আগরতলা শহরে চলে আসতে পারে।
একদিন সাপ্তাহিক ছুটি থাকে।চিড়য়াখানার ভেতরে যেতে হলে আপনার টিকেট কাটতে হবে।

বিশ্রাম গঞ্জ সাধারণ প্রশাসন:- ০৩৮১-২৮৬৭৩৭৩.
হাসপাতাল:- ৯৮৬২৬৭১৩৪২.

|| খুমুলুঙ পার্ক ||

জিরানিয়া মহকুমাতে অবস্থিত।আসাম আগরতলা জাতীয় সড়ক থেকে তিন কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এখানে গড়ে তোলা হয়েছে ত্রিপুরা উপজাতি এলাকা স্বশাসিত জেলা পরিষদের সদর দপ্তর।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ভরপুর মনোরম পরিবেশে এই পার্কটি ২০০৭ সালে গড়ে তোলা হয়েছে।
শীতকালীন সময়ে এই পার্কটি সৌন্দর্য উপভোগ করার মতো। এখানের পার্কে বিভিন্ন প্রজাতির গোলাপ সহ বিভিন্ন ধরনের ফুল বাগান রয়েছে।
শীতকালীন সময়ে এখানে পিকনিক পার্টির ভিড় পরিলক্ষিত হয়।
কিভাবে যাবেন:- আগরতলা চন্দ্রপুর থেকে যেকোন বাসে জিরানিয়া এ ডি সি চৌমুহনী তে নামতে হবে। সেখান থেকে অটোরিকশাতে খুমুলুঙ পার্ক সামনে গিয়ে নামতে হবে। আগরতলা থেকে ছোট গাড়ি রির্জাভ করে ও খুমুলুঙ পার্ক সহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় ঘুরে আসতে পারেন।
ট্রেনে করে যারা আসবেন তারা জিরানিয়া রেল ষ্টেশন এ নামতে হবে। সেখান থেকে অটোরিকশাতে খুমুলুঙ পার্ক যেতে হবে।
পার্কের পাশে রয়েছে উপজাতি মিউজিয়াম এবং ককবরক লাইব্রেরি। উপজাতিদের বিভিন্ন বিষয়ে জানতে লাইব্রেরীতে যেতে পারেন। ঘুরে দেখতে পারেন এ ডি সি সদর দপ্তর।
কোথায় থাকবেন:- খুমুলুঙ এ সরকারি আবাসনে থাকতে পারবেন। রয়েছে লগ হাট।
নয় তো আপনাকে আগরতলায় ফিরে আসতে হবে।
এখানে যেতে সরকারি অনুমতির প্রয়োজন নেই। রাধাপুর খুমুলুঙ থানা :-০৩৮১-২৫৩০০৩৫.
খুমুলুঙ হাসপাতাল:- ০৩৮১-২৫৩০১১৯.

Habely

Recent Posts

পেকিছড়া উদ্বাস্তুদের সীমাহীন দুর্ভোগ: প্রশাসন নীরব: বিরোধী বিধায়ক দ্বয়েরএলাকা সফর

। হাবেলী ডিজিটাল ডেস্ক প্রতিনিধি পেতিছড়া থেকে ফিরে।১৭ মে। তীব্র তাপদাহে মধ্যে দুর্বিসহপরিবেশে উদ্বাস্ত ভূমি…

21 hours ago

শাসকদলের মন্ত্রী নেতা সবাই নির্বাচনে প্রচারে ব্যস্ত বঙ্গে

। হাবেলী ডিজিটাল ডেস্ক।আগরতলা।১০ মে। লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিম বঙ্গের প্রচারে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী,মন্ত্রী, বিধায়ক সহ বি…

1 week ago

বিশেষ ট্রেন আগরতলা গুয়াহাটি চলবে

। হাবেলী ডিজিটাল ডেস্ক।আগরতলা। ৩০ এপ্রিল। আগামী ১ এপ্রিল থেকে আগরতলা গুয়াহাটি মধ্যে বিশেষ ট্রেন…

2 weeks ago

গুলি করে হত্যা

।হাবেলী ডিজিটাল ডেস্ক।আগরতলা।৩০ এপ্রিল। আজ সন্ধ্যায় স্থানীয় ভারত রত্ন ক্লাবের সম্পাদক দুর্গা প্রসাদ দেবকে দুস্কৃতিকারিরা…

2 weeks ago

আগরতলা প্রেসক্লাবের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত।

আগরতলা, ২৮ এপ্রিল : আগরতলা প্রেস ক্লাবের বার্ষিক সাধারণ সভা রবিবার অনুষ্ঠিত হয়। বেলা সাড়ে…

3 weeks ago

স্কুলে ছুটি আরো তিন দিন বাড়ল

। হাবেলী ডিজিটাল ডেস্ক।আগরতলা। ২৮ এপ্রিল । তীব্র তাপদাহে কারণে রাজ্য সরকার স্কুলগুলোতে আরো তিনদিনের…

3 weeks ago

This website uses cookies.