আগুন ঝরাচ্ছে সূর্য:আজ সকালে কুয়াশাচ্ছন্ন আকাশ : ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

হাবেলী ডিজিটাল ডেস্ক। এপ্রিল। আগরতলা। চড়া রোদ। গরমে প্রানীকুল দিশেহারা।এক অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তাপমাত্রা ৪০ কাছাকাছি। যদিও এখনো বাকি রয়েছে। কিন্তু রাজ্যে এর আগে রাজ্যের তাপমাত্রা এই রেকর্ড করেছে বলে কেউ বলতে পারে না। তাপদাহে পুড়ছে চাষের জমির ফসল।বোরো ধান চাষীর মাথায় হাত। চাষের জমির ফসল শুকিয়ে গেছে।জমি ফেটে চৌচির। জলের প্রচন্ড অভাব।আর কিছু দিন এই ভাবে থাকে তাহলে চাষী আর ধান ঘরে তুলতে পারবে না।

সকাল থেকে দিন যত বাড়তে থাকে।তত‌ই তাপমাত্রা বাড়তে থাকে।প্রচন্ড গরমে ঘর থেকে বের হ‌ওয়া দায় হয়ে পড়েছে। গরমের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শরীরে ঘামের মাত্রা। গরমের দাপটে মানুষ ঘর থেকে বের হতে চা‌ইছে না। দুপুরে দিকে রাস্তাঘাট অনেক টাই ফাঁকা হয়ে যায়।

গরমের মাত্রা গ্ৰাম শহর সব এলাকায় এক‌ই অবস্থায় রয়েছে।

এই গরমের হাত থেকে কবে রক্ষা পাওয়া যাবে। এই নিয়ে আবহাওয়া অফিস ও কিছু জানতে পারছে না।

যদিও আজ সকালে কুয়াশাচ্ছন্ন আকাশ। পড়েছে কুয়াশা ও। এই সময়ে কুয়াশা কখনো পড়ে না।প্রচন্ড তাপদাহে মধ্যে ঘরের মেঝেতে জলীয় বাষ্প বেরিয়ে ফ্লোর ভিজে উঠেছে।তা কখনো এই রকম দেখতে পাওয়া যায় নি।

বোরো ধানের জমি জলের অভাবে শুকিয়ে কাঠ।মাটি ফেটে চৌচির। আরো কিছু দিন এই ভাবে থাকে তাহলে জমির ধান গাছ রোদে পুড়ে নষ্ট হয়ে যাবে।পরে বৃষ্টি হলেও সেই ধানের গাছ রক্ষা পাবে না।

আগাম বোরো ধানের গাছে ফুল এসেছে। অনেক জমিতে ধানের ফুল বেরিয়ে পড়ছে। সেই সব জমিতে ফলন ভালো হবে না।ফুল বের হবার পর বৃষ্টি হয়।তাহলে ধানের ফলন ভালো হয়। নয়তো ধানের ফলন ভালো হয় না। ধানের পুষ্টি কম হয়।তাতে ধানে চোচা পরিমাণ বেশি হয়।চোচার পরিমাণ বেশি হয় তাহলে ফলন কম হবে। তাতে করে ধানের উৎপাদন কমবে।ক্ষতির মুখে পড়বে চাষী।বোরো ধানের ফলন কম হলে আগামীতে বাজারে চালের দাম বৃদ্ধি পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

পাহাড়ে উপরে জুম চাষ করা হয়েছে। সেই সব জুম ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে এই তাপদাহে পুড়ে।ফলে জুমিয়া পরিবার গুলো মধ্যে আর্থিক এবং খাদ্য সংকট দেখা দিবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *