পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদের সভাগৃহে গতকাল জিলা পরিষদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জিলা পরিষদের সহকারি সভাধিপতি হরি দুলাল আচার্য। সভায় উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার অতিরিক্ত জেলা শাসক তরিৎ কান্তি চাকমা, সংশ্লিষ্ট কমিটির বিভিন্ন সদস্য-সদস্যাগণ এবং বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকগণ। সভায় শিক্ষা দপ্তরের প্রতিনিধি জানান, এখন পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ৯,৯১৬ জন ছাত্রীকে বিনামূল্যে সাইকেল দেওয়া হয়েছে। সভায় জেলার ফটিকছড়া স্কুলে অতিরিক্ত ক্লাসরুম নির্মাণ, পটুনগর ও রাঙ্গুটিয়া উচ্চ বিদ্যালয়কে উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে উন্নীত করার প্রস্তাব রাখা হয়। সভায় স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রতিনিধি জানান, মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ শৈশব, সুস্থ কৈশোর ২০২৩ চতুর্থ পর্যায়ের অভিযানে জেলার ২ লক্ষ ৬০ হাজার শিশু ও কিশোর-কিশোরীকে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানো হয়েছে। এছাড়াও এই অভিযানে শিশু কিশোর কিশোরীদের মধ্যে ভিটামিন এ ট্যাবলেট, ফলিক এ্যাসিড, আয়রণ, জিংক ট্যাবলেটও বিতরণ করা হয়েছে। টিটেনাস ও ডিপথেরিয়ার টিকাও দেওয়া হয়েছে। ডায়ারিয়া রোগিদের চিকিৎসাসহ ঔষধ ও ওআরএস-এর প্যাকেটও বিতরণ করা হয়েছে। সেই সাথে বাল্যবিবাহ নিয়ে সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান এবং পোষণ অভিযানে বিভিন্ন কর্মসূচি রূপায়িত হয়েছে। সভায় জানানো হয়, স্বচ্ছ ভারত অভিযান প্রকল্পে পশ্চিম জেলার জিরানীয়া, মোহনপুর ও খুমুলুঙস্থিত খেরেংবার এই তিনটি কমিউনিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্র ২ লক্ষ টাকা করে পুরস্কার পেয়েছে। এই পুরস্কারের অর্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির উন্নয়নে ব্যয় করা হবে। সভায় সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা কার্যালয়ের প্রতিনিধি জানান, জেলার ১,৭৪৯টি অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্রের সবগুলিতেই এলপিজি গ্যাস সংযোগ দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মাত্র বন্দনা যোজনায় জেলার ২৭,৫৪৭ জন প্রসূতি মা ৫০০০ টাকা করে আর্থিক সহায়তা পেয়েছেন।
