বই প্রকাশ, কবি সম্মেলন, আবৃত্তি, আলোচনাচক্র ও বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আগরতলা বইমেলা প্রাণবন্ত হয়ে উঠছে। ৪১তম আগরতলা বইমেলার আজ ছিল নবম দিন। গতকাল অষ্টমদিনে বইমেলায় মোট ৯ লক্ষ ৩৯ হাজার ৯০৭ টাকার বই বিক্রি হয়। আজ বইমেলায় কবি ও কবিতামঞ্চে বর্ণমালা প্রকাশনীর উদ্যোগে মোট ১৬টি নতুন বইয়ের আবরণ উন্মোচন করা হয়। এই ১৬টি বইয়ের আবরণ উন্মোচন করেন উচ্চশিক্ষা দপ্তরের প্রাক্তন অধিকর্তা বিপ্রদাস পালিত, আগরতলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি জয়ন্ত ভট্টাচাৰ্য, লেখক শ্যামল চৌধুরী, লেখক নকুল দাস, এমবিবি কলেজের প্রাক্তন অধ্যাপিকা ড. প্রণতি মোদক, ড. নারায়ণ ভট্টাচার্য ও বিশিষ্ট সাংবাদিক বরেণ ঘোষ। অনুষ্ঠানে বর্ণমালা প্রকাশনীর এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে বক্তব্য রাখেন উচ্চশিক্ষা দপ্তরের প্রাক্তন অধিকর্তা বিপ্রদাস পালিত, আগরতলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি জয়ন্ত ভট্টাচার্য, লেখক নকুল দাস এবং বিশিষ্ট সাংবাদিক বরেণ ঘোষ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সংগীতা দেওয়ানজী।
এই মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় কবি সম্মেলন। এতে মোট ৫৫ জন কবি বাংলা ও মণিপুরী ভাষায় স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন। সঞ্চালনা করেন কবি অশোক দেব। এছাড়া আবৃত্তিতে অংশ নেন মোট ৮ জন বাচিক শিল্পী৷ এই মঞ্চে ‘বই পড়া ও বর্তমান প্রেক্ষাপট’ নিয়ে আলোচনা করেন উদয়পুর নেতাজী সুভাষ মহাবিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি ড. প্রণব কুমার দাস, বিশিষ্ট শিক্ষক ড. রাজেশ ভট্টাচার্য এবং কবি ও গদ্যকার চিরশ্রী দেবনাথ। সঞ্চালনা করেন বিশিষ্ট লেখক ড. আশীষ কুমার বৈদ্য। এদিকে সন্ধ্যায় চতুর্দশ দেবতা মঞ্চে আজ পশ্চিম জেলার শিল্পীগণ লোকনৃত্য ও একক সংগীতে অংশ নেন। রাজ্যের শিল্পীগণ সমবেত সংগীত, সমবেত আবৃত্তি, শাস্ত্রীয় সংগীত, একক সংগীত, ভারত নাট্যম, তবলা, বেহালা বাদন, কী-বোর্ড, গিটার ও অক্টোপ্যাড-এ অংশ নেন। বাঁশী বাদনে অংশ নেন মুম্বাইয়ের আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বাঁশরি বাদক পন্ডিত রনু মজুমদার। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন শাওলী রায়। শিল্পীদের বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দর্শকদের মন জয় করে নেয়।
