নয়াদিল্লিতে কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎমন্ত্রীর সাথে বিদ্যুৎমন্ত্রীর আলোচনা | বিদ্যুৎ পরিষেবার উন্নয়নে সরকার রাজ্যে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি উৎপাদনে আগ্রহী : বিদ্যুৎমন্ত্রী

রাজ্য সরকার বিদ্যুৎ পরিষেবার উন্নয়নে রাজ্যে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি উৎপাদনে আগ্রহী। গতকাল নয়াদিল্লিতে কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ ও পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি মন্ত্রী আর কে সিং-এর সাথে বিদ্যুৎমন্ত্রী রতনলাল নাথের আলোচনা হয়। আজ সচিবালয়ে নিজ অফিস কক্ষে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বিদ্যুৎমন্ত্রী রতনলাল নাথ একথা জানান। সাংবাদিক সম্মেলনে বিদ্যুৎমন্ত্রী জানান, নয়াদিল্লিতে কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎমন্ত্রীর সাথে রাজ্যে গত পাঁচ বছরে বিদ্যুৎ দপ্তরের সাফল্যের ক্ষতিয়ান এবং আগামী দিনের দপ্তরের পরিকল্পনা নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়। বিদ্যুৎমন্ত্রী জানান, বর্তমান রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার ক্লিন এনার্জি এবং গ্রিন এনার্জি-র দিকে এগোচ্ছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সাথে আলোচনায় রাজ্যে ক্লিন ও গ্রিন এনার্জি বিষয়টিও প্রাধান্য পেয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্যে পুনর্নবীকরণ শক্তি সঞ্চয় কেন্দ্র স্থাপনে কেন্দ্ৰীয় সরকার সহায়তা করবে। এই বিষয়টি পর্যালোচনা করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধিদল রাজ্যে আসবে।
সাংবাদিক সম্মেলনে বিদ্যুৎমন্ত্রী জানান, রাজ্য সরকার রাজ্যের জলসম্পদকে কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনে আগ্রহী। রাজ্যে গ্রিন হাউড্রোজেন প্রযুক্তি ব্যবহারের বিষয়েও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সাথে আলোচনা হয়েছে। এই বিষয়টি পর্যালোচনা করার জন্যও কেন্দ্রীয় সরকারের বিদ্যুৎ মন্ত্রকের একটি প্রতিনিধিদল রাজ্যে আসবে। তিনি জানান, রাজ্য থেকে বাংলাদেশকে এনটিপিসি বিদ্যুৎ ব্যাপার নিগম লিমিটেডের মাধ্যমে প্রায় ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। এনটিপিসি বিদ্যুৎ ব্যাপার নিগম লিমিটেডের কাছ থেকে ত্রিপুরা রাজ্য বিদ্যুৎ নিগমের অর্থ পাওনা রয়েছে। এই বকেয়া অর্থ পাওয়ার বিষয়েও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সাথে আলোচনা হয়৷
সাংবাদিক সম্মেলনে বিদ্যুৎমন্ত্রী জানান, রাজ্য বিদ্যুৎ নিগম সৌভাগ্য যোজনায় কেন্দ্ৰীয় সরকারের কাছে কিছু পরিমাণ অর্থ পাওনা রয়েছে। সেই অর্থ রাশিও যাতে রাজ্য সরকার দ্রুত পেতে পারে সেই বিষয়েও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। সাংবাদিক সম্মেলনে মন্ত্রী গত পাঁচ বছরে দপ্তরের সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরে জানান, গত পাঁচ বছরে ৩টি নতুন ১৩২ কেভি সাব স্টেশন তৈরী করা হয়েছে। এতে ব্যয় হয়েছে ৮০ কোটি টাকা। গত পাঁচ বছরে নতুন ১৩২ কেভি লাইন সম্প্রসারিত হয়েছে ১৫৪ কিলোমিটার। এজন্য ব্যয় হয়েছে ৩৯ কোটি টাকা। পাঁচ বছরে ২২টি নতুন ৩৩ কেভি সাব স্টেশন তৈরী করা হয়েছে। পাঁচ বছরে ৩ হাজার ৯৯৩ কিলোমিটার নতুন এইচটি লাইন সম্প্রসারিত হয়েছে। ৯ হাজার ১২৭ কিমি নতুন এলটি লাইন সম্প্রসারিত হয়েছে। ২১৮ কিমি নতুন আন্ডার গ্রাউন্ড ক্যাবল লাইন তৈরী হয়েছে। গত পাঁচ বছরে বিনামূল্যে ১ লক্ষ ৩৬ হাজার ২৩২টি পরিবারে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও রেভিনিউ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, স্মার্ট মিটার বসানো হয়েছে। বিদ্যুৎমন্ত্রী জানান, গত পাঁচ বছরে বিদ্যুৎ মাশুল কিছুই বাড়ানো হয়নি৷

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *