বি জে পি প্রত্যাবর্তনে তিপ্রা মথা কাঁটা: এগিয়ে বামগ্ৰেস

হাবেলী ডিজিটাল ডেস্ক।
১৩ ফেব্রুয়ারি। আগরতলা।
শাসকদল বি জে পি প্রত্যাবর্তন সুযোগ নেই। ভোটারদের অভিযোগ কোন ধরনের দুর্ঘটনা না হলে রাজ্যে বামফ্রন্ট কংগ্রেস জোট এবারে সরকার গঠন করতে যাচ্ছে।
আমাদের পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে বামফ্রন্ট ২৫ আসনের উপরে। কংগ্রেস ‌ ৫ আসনের অধিক এবং তিপ্রা মথা দল প্রায় ২০ আসন পেতে পারে। শাসক দল বি জে পি পক্ষে দুই সংখ্যায় পৌঁছতে পারবে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।
উত্তর জেলা তে বাগবাসা , কদমতলা, যুবরাজ নগর, পানিসাগর, পেঁচার তল , কাঞ্চনপুর আসনগুলোতে শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দল, প্রার্থী নিয়ে বিরোধের কারণে আসনগুলোতে বিরোধী দলের দিকে ঝুঁকে রয়েছে। একমাত্র ধর্মনগর আসনটি শাসকদলের অনুকূলে। কিন্তু কংগ্রেস সর্মথিত নির্দলপ্রার্থী বেশি ভোট পেয়ে যায়।তাহলে শাসকদলের সমস্যা হবে বলে অনেকে মনে করেন
উনকোটি জেলা তে কৈলাশহর, চন্ডীপুর, ফটিকছড়া এবং পাবিয়াছড়া কেন্দ্রগুলোতে বিরোধী দলের দিকে ঝুঁকে রয়েছে। গোষ্ঠী দ্ধন্দ এবং প্রার্থী নির্বাচন সঠিক হয় নি বলে স্থানীয় দের অভিযোগ।
ধলাই জেলাতে কমলপুর এবং আমবাসা শাসকদল বি জে পি দিকে ঝুঁকে রয়েছে।ছামনু, সুরমা,রাইমাভ্যালী ,করমছড়া কেন্দ্রে বিরোধী দলের দিকে ঝুঁকে রয়েছে। কংগ্রেস ‌ও বামফ্রন্ট জোট এবং তিপ্রা মথা ভোট টানাতে শাসকদল বি জে পি পেছনে চলে যাবে।
পশ্চিম জেলাতে সূর্যমনিনগর , মোহনপুর, মজলিশপুর এই আসনে বি জে পি এগ্ৰিয়ে , । বড়দোয়ালী, বনমালী পুর, আগরতলা কেন্দ্রে কংগ্রেস এগ্ৰিয়ে।
বাধারঘাটা, প্রতাপগড় , বড়জলা, বামুটিয়া,,খয়েরপুর কেন্দ্রে বামফ্রন্ট এগিয়ে।
তিপ্রা মথা দল এগিয়ে সিমনা ও মান্দাই কেন্দ্রে।
খোয়াই জেলাতে খোয়াই , রামচন্দ্রঘাট, আশারামবাড়ি, তেলিয়ামুড়া, কৃষ্ণপুর বিরোধী দলের দিকে ঝুঁকে রয়েছে। একমাত্র প্রমোদনগর কল্যানপুর কেন্দ্র শাসকদলের দিকে ঝুঁকে রয়েছে। কিন্তু মথা ভালো নিজের দিকে টেনে নিয়ে যায় ।তাহলে আসনটি বামফ্রন্টের দিকে চলে গেলে । আশ্চর্য হবার কিছু নেই।
সিপাহী জলা জেলাতে নলছড়,সোনামুড়া,বক্সনগর, কমলা সাগর, গোলাঘাটি, টাকারজলা, বিশালগড় কেন্দ্রগুলো বিরোধী দলের দিকে ঝুঁকে রয়েছে।
একমাত্র ধনপুর ও চড়িলাম কেন্দ্র কিছুটা শাসকদলের দিকে এগিয়ে রয়েছে।
গৌমতী জেলার রাধাকিশোরপুর শাসকদলের পক্ষে।
বাকি আসনগুলোতে মাতারবাড়ী, কাকড়াবন, বাগমা, অমরপুর, করবুক, অম্পিনগর, বিরোধী দলের দিকে ঝুঁকে রয়েছে।
দক্ষিণ জেলাতে একমাত্র শান্তির বাজার শাসকদলের পক্ষে।বিলোনীয়া সমানে।মনু,সাব্রুম, জোলাইবাড়ি, রাজনগর এবং হ্রষ্যমুখ কেন্দ্র বিরোধী দলের দিকে ঝুঁকে রয়েছে।
আজ আগরতলায় পুনরায় প্রচার করতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাজ্যে আসছেন। এই প্রচারাভিযানে মাধ্যমে দলের প্রার্থীদের পক্ষে জনগনকে কতটুকু টেনে নিয়ে আসতে পারেন। এই আগামী দুই দিন অপেক্ষা করতে হবে।
আগামী কাল নির্বাচনী প্রচারাভিযান শেষ হবে। তারপর যদি শাসকদলের পক্ষে জনগনের সর্মথন এসে যায়।তাহলে শেষ বেলার চমকে কি হয় তার জন্য আগামী ২ মার্চ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।