হাবেলী ডিজিটাল ডেস্ক।
১২ ফেব্রুয়ারি। আগরতলা।
গ্ৰেটার তিপরাল্যান্ড গঠন দাবিতে জনজাতি জনগন আজ ঐক্যবদ্ধ। এই দাবিকে সামনে রেখে রাজ্য রাজনীতি এখন উত্তাল ।দাবির সৃষ্টি কর্তা মহারাজা প্রদ্যুৎ বিক্রম কিশোর মানিক্য দেবর্বমা।
কেন এই দাবি কে সামনে রেখে প্রদ্যুৎ জনজাতিদের ঐক্যবদ্ধ করতে সমর্থ হয়েছেন।
প্রদ্যুৎ বিক্রম কিশোর মানিক্য দেবর্বমা রাজ্য কংগ্রেস দলের সভাপতি পদ ছেড়ে প্রথমে ঘরে বসে যান। সেখান থেকে তিনি সামাজিক কাজে মনোযোগ দেন। রাজ্যের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের কাছে ছুটে গেছেন। তাদের কে ঔষধ, খাবার সহ বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করতে থাকেন। বিভিন্ন বিষয়ে জনজাতি অংশের জনগন উনার বাড়িতে ছুটে আসতে থাকে। এই থেকে ধীরে ধীরে প্রদ্যুৎ জনজাতিদের মধ্যে অন্তরঙ্গ হয়ে ওঠেন।
জনজাতিদের ঐক্যবদ্ধ করতে শ্লোগান তুলেন “আগে জাতি,পরে পার্টি”।
তখন রাজ্যে ভারতীয় জনতা পার্টি এবং আই পি এফ টি জোট ক্ষমতায় বসেছে।
বি জে পি সরকার ক্ষমতায় আসার কিছু দিন পর খুমুলুঙ এলাকায় জনজাতিদের পক্ষ থেকে বনধ আহ্বান করা হয়েছিল।
রাজ্য সরকার এই বন্ধের বিরোধীতা করেছে।বনধের দিন বনধকে কেন্দ্রকরে আহ্বান কারিদের সাথে বিরোধ বেঁধে ছিল পুলিশের। পুলিশ বনধ আহ্বান কারিদের সাথে যুক্তিদিয়ে তাদের কে হটিয়ে দিতে ব্যর্থ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে
আচমকা পুলিশ বনধ আহ্বান কারিদের উপর গুলি ছুড়তে শুরু করেছে। সেদিন গুলিতে অনেকেই আহত হয়েছে। করেছে বাড়িঘরে ঢুকে নিরীহ মানুষের ওপর লাঠিচার্জ। কিন্তু ঘটনার সাথে জড়িত পুলিশ দের বিরুদ্ধে কোন আইন গত ব্যাবস্থা নেন নি সেই সময় রাজ্য সরকার।তাতে জনজাতি জনগনের একাংশের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
ঐক্ষুদ্ধদের একাংশ তৎকালীন উপজাতি যুব সমিতির ছাত্রনেতা এবং যুব সমিতির কর্মচারীনেতাগন মহারাজা প্রদ্যুৎ কাছে স্বরনাপর্ণ হয়েছিল।সমস্ত বিষয় সম্পর্কে মহারাজাকে অবহিত করা হয়েছিলো। তারপর থেকেই মহারাজা জনজাতিদের কাছে ছুটে যেতে গেছেন। সামাজিক কাজের মধ্যে দিয়ে প্রদ্যুৎ জনজাতিদের কাছে পৌঁছাতে ছুটে গেছেন। তাদের মন জয় করতে শুরু করেছেন।
রাজ্য সরকার এই সব কাজে প্রদ্যুৎকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করতে থাকেন। তখন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বর্তমান সাংসদ বিপ্লব দেব।
রাজ্য সরকার আশা করেছিল প্রদ্যুৎকে মদত দিয়ে জনজাতি এলাকায় আই পি এফ টি কে কোনঠাসা করে ফেলা সম্ভব হবে।২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনে প্রদ্যুৎসাথে নির্বাচনে আঁতাত করতে সক্ষম হবে।
কিন্তু প্রদ্যুৎ জনজাতিদের সংগঠিত করে আগামী দিনে বি জে পি পথের কাঁটা হবে। সেই কথা ঘুনাক্ষরেও বুঝতে পারে নি।
প্রতিবেদক রাজ্য বিজেপি প্রথম সারির কর্মপন্থা নির্ধারণ কারির সাথে আলোচনা কালে জানতে চেয়েছেন। মহারাজা প্রদ্যুৎ সংগঠন কে কোন দৃষ্টিতে দেখছেন।
জবাবে তিনি জানিয়েছিলেন অতিতের মত প্রদ্যুৎকে বিভিন্ন প্রলোভন মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হবে।
ত্রিপুরা উপজাতি এলাকা স্বশাসিত জেলা পরিষদ এলাকায় নির্ধারিত সময়ে রাজ্য সরকার নির্বাচন করে নি। বামফ্রন্ট দলকে ক্ষমতা চ্যুত করে ।এ ডি সিতে প্রশাসক বসিয়ে দিয়ে দেয় রাজ্য সরকার।
এ ডি সি সাংবিধানিক আইন মতে একজন জনজাতি ব্যক্তিকে প্রশাসক পদে নিয়োগ করতে হয় । তা না করাতে এতে করে জনজাতি দের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করতে থাকে।শুধু কি তাই ।
ত্রিপুরা উপজাতি এলাকা স্বশাসিত জেলা পরিচালিত ভিলেজ কমিটি (গ্ৰাম পঞ্চায়েত) নির্বাচনে মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যায়।রাজ্য সরকার আই পি এফ টি সলাপরামর্শে ভিলেজ কমিটি নির্বাচন আজো করে নি।
এ ডি সিতে উন্নয়ন কাজ একাংশ ব্লক অফিসার দিয়ে রাজ্য সরকার মনোনীত বি জে পি এবং আই পি এফ টি ভিলেজ কমিটি মাধ্যম উন্নয়ন কাজ করতে থাকে।
এ ডি সিতে এক বছর প্রশাসক মাধ্যমে প্রশাসন পরিচালনা পর নির্বাচনের ঘোষণা দিলেন রাজ্য সরকার।
সেই নির্বাচনে রাজ্য সরকার তথা বি জেপি জোট সঙ্গী আই পি এফ টি র কথা মত প্রদ্যুৎকে দূরে সরিয়ে রাখতে থাকে।
তাতে ক্ষুব্ধ প্রদ্যুৎ নেতৃত্বে একাংশ জনজাতি অংশের জনগন নতুন আঞ্চলিক দল গঠন করতে উৎসাহিত করতে থাকেন। সেই সময়েও যে পাহাড়ে জনজাতি এলাকায় আই পি এফ টি এবং বি জে পি জনজাতিদের সংগঠন দূর্বল থেকে দূরবল হতে থাকে। সেই বিষয়ে ক্ষমতা লোভী অনভিজ্ঞ রাজনৈতিক নেতাদের হদিশ ছিল না।
তাদের লক্ষ্য ছিল লোকসভা, পুর পরিষদ এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনের মত জবর দখল করে এ ডি সিতে ক্ষমতা দখল করতে সক্ষম হবে। সেই চিন্তায় যে গুড়ে বালি তা ভাবতেও পারে নি।
এ ডি সি নির্বাচনে সামান্য কিছু দিন আগে প্রদ্যুৎ বিক্রম কিশোর মানিক্য দেবর্বমা নেতৃত্বে ” তিপ্রা মথা” দলের আত্ম প্রকাশ করেন।
স্বল্প সময়ের মধ্যে রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘটিয়ে এ ডি সিতে এককভাবে নির্বাচনে অংশ গ্ৰহন করেছে।
নির্বাচনে একক ভাবে লড়াই করে বিপুল সংখ্যক আসন নিয়ে ক্ষমতায় প্রথমবারের মতো এ ডি সি পরিচালনা হাতে নিয়েছিল তিপ্রা মথা দল।
তারপর ও রাজ্য সরকার তথা বি জেপি আশঙ্কা করে চলেছিল মথার এম ডি সি কে ভেঙ্গে বি জে পিতে সামিল করতে সক্ষম হবে।বি জে পি অনভিজ্ঞ নেতাদের দিয়ে সেই চেষ্টা করে ছিল বলে অভিযোগ।
প্রদ্যূৎবাবু বিষয়টি অনুমান করতে পারেন। সাথে সাথে তাদের কে শিলং ডেকে নিয়ে কড়া দাওয়াই দিয়েছেন। সেই কারণে নতুন করে দল ভেঙে যেতে সাহস পায়নি। আগামী দিনে ও কোন এম ডি সি যেমন যাবে না। সেই রকম নতুন কোন বিধায়ক দল ছেড়ে বি জে পি তে সামিল হতে পারবে না।
মহারাজা প্রদ্যুৎ কিশোর মানিক্য দেবর্বমা নেতৃত্বে পুরো দল এখন নারী ও যুবকদের মাধ্যম নিয়ন্ত্রীত হচ্ছে।
প্রতিটি পাড়ায় পাড়ায় মহিলা মাধ্যমে দল নিয়ন্ত্রীত হওয়াতে কোন পুরুষ দলবিরোধী কাজে সামিল হতে সাহস পাচ্ছে না।যদি দলটি পুরুষ নিয়ন্ত্রীত দল হলে এতদিনে দলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা ছিল।
১৯৫২ সাল থেকে আজ পর্যন্ত যতগুলো আঞ্চলিক দল গঠন হয়েছে। কোন আঞ্চলিক দল জনজাতি মহিলাদের সন্মান দিতে রাজি ছিল না। কখনো এদের কে প্রার্থী করা হয় নি। এই বারের বিধানসভা নির্বাচনে তিপ্রা মথা দল ছয় জন জনজাতি মহিলাকে প্রার্থী করেছে।
মহিলাদের সন্মান দেওয়াতে মহিলাগন প্রদ্যুৎ প্রতি আরো বেশি আকৃষ্ট হয়ে পড়েন।
ত্রিপুরা গনতান্ত্রিক রাজ্য হবার পর ও
জনজাতিদের মধ্যে প্রদ্যুৎ আজো মহারাজার আসনে অধিষ্ঠিত হয়ে রয়েছে।উনাকে আবাল বৃদ্ধ সকলে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করে রেখেছেন ।আজো জনজাতি জনগনের মধ্যে যখন তিনি ছুটে যান।আবাল বৃদ্ধ সকলে সষ্টাঙ্গে উনাকে প্রনাম করতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
মহারাজা প্রদ্যুৎ এ ডি সি নির্বাচনে অংশ নিয়ে চড়িলামে এক জনসমাবেশে ভাষণ দান কালে তিনি কেঁদে ছিলেন। সেই দিন থেকে জনজাতীদের জনগন আরো বেশি করে মহারাজা প্রদ্যুৎ তের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েন।
জনজাতিদের মধ্যে প্রচলিত প্রবাদ আছে ” মহারাজা যদি কাঁদে , তাহলে দেশে অমঙ্গল আসে।” কাঁদে যখন সেই চোখের জল স্বর্ণের থালায় তুলে রাখতে হয়। চোখের জল মাটিতে পড়তে নেই। এই বিষয়টি রাজ্যের জনজাতিদের হ্রদয়কে ভীষণ ভাবে নাড়িয়ে তুলেছে।
২০০৯ সালে তিপরাল্যান্ড
প্রয়াত এন সি দেবর্বমা নেতৃত্বে তিপরা ল্যান্ডের দাবিতে জনজাতিদের ঐক্যবদ্ধ করতে থাকেন। তখন পাহাড়ে আই এন টি প্রভাবশালী দল ছিল। সেই আঞ্চলিক দল কে দূর্বল করতে এন সি দেবর্বমা কে মদত দিতে থাকে। এতে গনমুক্তি পরিষদ তথা সি পি আই এম সফল ও হয়েছিল।কেননা আই এন পি টি দূর্বল হতে হতে সাইনবোর্ড সর্বস্ব হয়ে পড়েছিল।
২০১৭ সালে রাজ্যে ভারতীয় জনতা পার্টি বাড়তে থাকে। কেন্দ্রীয় সরকার তথা বি জেপি রাজ্যদলকে মদৎ দিতে থাকেন। তখন ই আই পি এফ টি পাহাড়ে সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি পেয়েছে। তখন এন সি দেবর্বমা এবং মেবার কুমার জমাতিয়াকে পেছন থেকে বি জে পি মদত দিয়ে পাহাড়ে শক্তিশালী করে তোলে। তখন ই এদের কে প্রলোভনের ফাঁদে ফেলে দেয়া হয়। তখন সি পি আই এম ত্যাগ করে এন সি দেবর্বমা এবং মেবার কুমার জমাতিয়া বি জে পি পেছনে ছুটতে থাকে।২০১৮ সালে বি জে পি এবং আই পি আই টি জোট ক্ষমতায় আসে।
ক্ষমতায় আসার পর আই পি এফ টি একাংশ তিপরা ল্যান্ডের দাবিতে সময়ে সময়ে রাজ্য সরকার কে বিব্রত করতে থাকে। কোন প্রলোভনের কাছে এদের নিয়ন্ত্রনে রাখা সম্ভব হচ্ছিল না। তখন থেকেই বি জে পি রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ মহারাজা প্রদ্যুৎ কে ভাগে নিয়ে আসতে চেষ্টা করতে থাকেন। সেই সুযোগ কে কাজে লাগিয়ে প্রদ্যুৎ নিজেকে জনজাতিদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে শুরু করে।
কেন গ্ৰেটার তিপরাল্যান্ড ?
কথায় আছে কামান দাবি করা হলে বন্দুক মেলে ।
সেই দৃষ্টান্ত কে সামনে রেখে গ্ৰেটার তিপরাল্যান্ড দাবিকে সামনে রেখে জনজাতিদের ঐক্যবদ্ধ করা হয়েছে।
রাজ্য ভাগ করে গ্ৰেটার তিপ্রাল্যান্ড গঠন নয়।
আবার , বাংলাদেশ এবং আসাম, মিজোরাম ভেঙ্গে গ্ৰেটার তিপরাল্যান্ড গঠনও সম্ভব নয়।
একমাত্র জনজাতিদের নিয়ে গ্ৰেটার তিপরাল্যান্ড গঠন করা হয়।তাহলে অনুপজাতি, মনিপুরী এবং মুসলিম অংশের জনগন যাবে কোথায় ? তাহলে কিভাবে গ্ৰেটার তিপরাল্যান্ড কিভাবে গঠন করা হবে। এই নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল গুলো বিভিন্ন ভাবে বিশ্লেষণ করেছেন। আবার রাজ্যের বুদ্ধিজীবী মহল একভাবে বিশ্লেষণ করছেন।
মহারাজা প্রদ্যুৎ কিশোর দেবর্বমা বলেছেন ভারতের সংবিধান অনুযায়ী রাজনৈতিক ভাবে গ্ৰেটার তিপরাল্যান্ড সমস্যা সমাধান করতে হবে। ভারত সরকার লিখিত বক্তব্যে মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা করতে হবে। মৌখিক কোন প্রতিশ্রুতি মাধ্যমে ভারত সরকার সাথে আলোচনা করে গ্ৰেটার তিপরাল্যান্ড সমস্যা সমাধানে যাবেন না।
কেন কোন রাজনৈতিক দল বা ভারত সরকারের মৌখিক প্রতিশ্রুতি কে বিশ্বাস করেন না কেন? রহস্য কোথায় লুকায়িত আছে।
দেশের সংবিধান মধ্যে থেকে গ্ৰেটার তিপরাল্যান্ড সমস্যা সমাধান সম্ভব।
১৯৮৪ সালে ত্রিপুরা উপজাতি এলাকা স্বশাসিত জেলা পরিষদ গঠন করা হয়েছে।আজ প্রায় দীর্ঘ ৪০ বছর অতিক্রান্ত হবার পথে। কিন্তু সাংবিধানিক ক্ষমতা মত এ ডি সি কে সুযোগ-সুবিধা রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে পাবার কথা । সেই সব সুযোগ-সুবিধা আজো এ ডি সি কে দেয়া হয় নি।
সেই দিন এ ডি সি গঠন করা হয়েছে জনজাতিদের ভাষা,জমি এবং কৃষ্টি ও সংস্কৃতি রক্ষা অধিকার দেয়া হবে। এই সব বিষয়ে আজো কিছু করা হয় নি।
আজ যদি পাশ্ববর্তী রাষ্ট্র থেকে জনগন রাজ্যে এসে পুনরায় এ ডি সিতে বসতি গড়ে তুলতে থাকে। সেই ক্ষেত্রে এ ডি সি কতৃপক্ষ কিছু ই করতে পারবে না।কারণ বিষয়টি রাজ্য সরকারের অধীনে আইন রয়েছে।
এ ডিসিতে বসবাস কারি জনজাতিদের সামাজিক আইন বিল দীর্ঘ ৪০ বছর পর তিপ্রামথা প্রশাসন প্রায় তেরটি সম্প্রদায়দের পাশ করে রাজ্য সরকারের কাছে অনুমোদন জন্য পাঠিয়েছে। ২০০২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত রাজ্য সরকারের কাছে ৩৬ টি বিল আজো অনুমোদন জন্য পড়ে রয়েছে।
রাজ্যের বৃহৎতম অংশ নিয়ে এ ডি সি এলাকা ।৩৫ শতাংশ অধিক মানুষ বসবাস করে।তাতে জনজাতি জনগন ছাড়া অন্য অংশের জনগন বসবাস করেন। বাজেট বরাদ্দ করা হয় আগরতলা পুর পরিষদ থেকে ও কম।
৪০ বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পথে এসে আজো ত্রিপুরা উপজাতি এলাকা স্বশাসিত জেলা পরিষদের সীমান্ত এলাকা চুড়ান্ত পায় নি।একাংশ জনগন না পাচ্ছে জেনারেল এলাকার ব্লকের সুযোগ আবার না পাচ্ছে এ ডি সি এলাকার প্রশাসনিক সুযোগ।
গ্ৰেটার তিপ্রাল্যান্ডের সমাধান করতে হবে বর্তমান এ ডি সি এলাকার সীমানা পুনর্নির্ধারণ, ।২০২৬ সালে বিধানসভা আসন সীমান্ত এলাকা পুনঃনির্ধারণ করা হবে। তখন জনজাতিদের জন্য আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে। বর্তমান আগরতলা বিধানসভা নির্বাচন ক্ষেত্রসহ বিভিন্ন এলাকা সমন্ময়ে নতুন করে একটি জনজাতি সংরক্ষিত আসন সৃষ্টি করতে হবে।
আমরা অতিতে দেখতে পাই কেন্দ্রীয় সরকার শান্তি স্থাপনের জন্য বহু সুযোগ সুবিধা জনজাতিদের দেয়ার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল। দীর্ঘদিন অতিক্রান্ত হয়ে যাবার পর ও রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকার সেসব চুক্তি বাস্তবায়ন করতে গড়িমসি করতে থাকে। সেই জন্য আজ জনজাতি সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করে লিখিত প্রতিশ্রুতি মাধ্যমে সাংবিধানিক সমস্যাগুলো সমাধান করার ডাক দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকার বিষয়টি সমাধানে এগিয়ে এসে সমাধানে উদ্যোগী হলে সহজেই মিটে যাবে। বিধানসভা নির্বাচনের পর নতুন সরকার কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন সেই দিকে সকলের নজর।
কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনে তিপ্রামথাদল এই বার ফ্যাক্টর।
কোন দলের পক্ষে এককভাবে ক্ষমতায় আসা সম্ভব নয় বলে মনে হচ্ছে। তাহলে প্রদ্যুৎ লিখিত প্রতিশ্রুতি ছাড়া কোন দলের সাথে আঁতাত করে সরকার গঠন করতে রাজি নয়।মথা দল সংখ্যা গরিষ্ঠ আসন না ফেলে বিরোধী আসনে বসবেন বলে আগাম জানিয়ে দিয়েছেন।