তিপরা মথা রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের নির্নায়ক শক্তি: বিপাকে শাসকদল : জোট গড়তে উদগ্ৰীব বিরোধী দল

হাবেলী প্রতিবেদন।২০ নভেম্বর। আগরতলা।

আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের নির্নায়ক শক্তি এবারে তিপরা মথা দল। এই দলের উত্থানে বি জে পি এবং আই পি এফ টি জোট সরকারকে পুনরায় রাজ্যের ক্ষমতায় ফিরে আসা নিয়ে দেখা দিয়েছে বিরাট প্রশ্নচিহ্ন মুখে । শাসক বি জে পি থেকে সর্মথক এবং কর্মীগণের অনেকেই মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছেন। এই কারণে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশে বহি:রাজ্যের কার্যকর্তাদের পুর্ণ সময়ের জন্য রাজ্যে এসে মাটি কামড়ে পড়ে থাকতে হচ্ছে। তারপরও রাজ্যের জনজাতি জনগনের মুখ শাসকদলের পক্ষে ঘুরিয়ে নিয়ে আসা সম্ভব হবে না বলে অভিজ্ঞ মহলের অভিমত। জনজাতিদের বিশাল অংশের জনগন মথায় ভীড়ে গেছে। শুধু তাই নয় সি পি আই এম ক্যাডার গন ও মথাতে চলে গেছে। এরা ও এই নির্বাচনে পুনরায় পুরানো ঘরে ফিরে আসবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে । ফলে পাহাড়ে ২০ টি আসনে বি জেপি, বামফ্রন্ট এবং কংগ্ৰেস কোন দলের প্রার্থী ভাল ভোট পাবে না। অনেকেই প্রার্থী নিজের জামানত ধরে রাখতে পারবে বলে অনেকের অভিমত।
জনজাতিদের অধিকাংশ অভিমত রাজ্যের সব দলকে দেখা হয়েছে। কিন্তু কেউ জনজাতিদের উন্নয়নে এগিয়ে আসে নি। মহারাজার প্রতি অকুণ্ঠ ভালো বাসা এবং বিশ্বাস রয়েছে। জনজাতিদের মধ্যে আনুগত্য রয়েছে । মহারাজা কে ঠাকুর মত দেখেন।
জনজাতিদের মধ্যে এই প্রবনতা রয়েছে একজনের পিছনে পেছনে সকলে মেতে থাকে। কংগ্রেস, বামফ্রন্ট, আই পি এফ টি, এবং ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার কাজ কর্ম দেখেছেন।এখন মহারাজা প্রদ্যু ৎ নেতৃত্বে সরকার দে এরা আর

গ্ৰেটার তিপরাল্যান্ড ইস্যুকে সামনে নিয়ে মহারাজার বংশধর প্রদ্যুৎ কিশোর মানিক্য দেবর্বমা স্বল্প সময়ের মধ্যে জনজাতিদের নয়নের মনি হয়ে হ্রদয়ে স্থান করে নিতে সক্ষম হয়েছে।তার কারনে রাজ্যের পাহাড়ি এলাকা তথা জনজাতিদের বসতি অঞ্চল।এই অঞ্চলগুলোতে অনুপজাতি অংশের জনগন থাকে না। সেই জায়গায় জনজাতিদের বসতি।২০ টি বিধায়ক সভা রয়েছে।সব কয়টি উপজাতি সংরক্ষিত আসন। এছাড়া আরো ১৫ টি আসন রয়েছে সাধারণ। সেই সব আসনে ও জনজাতি অংশের ভোটার গন নির্ণায়ক শক্তি। এদের ভোট যেদিকে যাবে । সেই দলের প্রার্থী নির্বাচনে জয়ী হবে।
বর্তমান সময়ের উপর দাঁড়িয়ে বলা যেতে পারে ২০ টি আসনের মধ্যে একটি আসনও শাসক বি জে পি তো পাবে না। এছাড়া অন্য দলগুলোর পাওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার মধ্যে বি জে পি প্রার্থী ২০ টি আসনের মধ্যে অনেক গুলো তে জামানত ধরে রাখতে সক্ষম হবে না বলে রাজনৈতিক অভিজ্ঞ মহলের অভিমত।দীর্ঘ দিন ক্ষমতায় থাকা দলকেও এবার বিপাকে পড়তে হচ্ছে।
সমতলে বি জে পি নির্বাচনে বুথে র্র্যাগিং করে । তাহলে জনজাতি অধ্যুষিত এলাকা বিধানসভা আসনগুলোতে মথা এককভাবে দখল করে নিতে ঊদোগ নেবে বলে অভিযোগ উঠেছে
অন্যদিকে বি জে পি কে ক্ষমতা চ্যুত করতে নির্বাচনী আঁতাত করার উদ্যোগ চলছে।যদি কোন কারণে নির্বাচনী আঁতাত না গড়ে ওঠে তাহলে নির্বাচনের পরে বি জে পি কে আটকাতে সি পি আই এম বাইরে থেকে কংগ্ৰেস এবং তিপরা মথা দলের জোট কে সমর্থন করতে পারে বলে সংবাদ। সি পি আই এম, কংগ্ৰেস এবং তিপরা মথা দলের লক্ষ্য বি জে পি কে ক্ষমতা থেকে দূরে সরিয়ে ফেলা।

যদি কোন কারণে সঠিকভাবে ভোট দেয়ার সুযোগ জনগন পেয়ে যায়। তাহলে নির্বাচনের ফলাফল অন্যদিকে মোড় নেয়। তাতে আশ্চর্য হবার কিছু থাকবে না।সে ক্ষেত্রে বামফ্রন্ট এগিয়ে যেতে পারে। কেননা সমতলে বি জে পি র বাড়বাড়ন্ত মধ্যে এগিয়ে রয়েছে তার মধ্যে সি পি আই এম ভোটার রয়েছে। সঠিক ভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করার সুযোগ পেলেই তা কার্যকর করবে।
এক ই ভাবে পাহাড়ে তিপরা মথা দলের উত্থানের পেছনে সি পি আই এমের অবদান বেশি।২০১৮ সালেবি জে পি র মদতে আই পি এফ টি ক্ষমতায় আসার পর পাহাড়ে জনজাতি সি পি আই এম কর্মী সমর্থকদের উপর নির্যাতন , হামলা হুজুতি ভয়ভীতি প্রদর্শন দেখাতে শুরু করে। তখন আই পি এফ টি নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা করতে সি পি আই এম কর্মী সর্মথক গন মথাতে যোগ দিয়েছে। শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে তখনই দেখা যাবে সি পি আই এম ঘুরে দাঁড়িয়েছে।।

রাজ্যে এখন সি পি আই এম নিজস্ব ভোট ব্যাঙ্ক রয়েছে। পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকার পর ও বি জে পি নিজস্ব ভোট ১০ শতাংশ উপরে যায় নি। এখন বি জে পি মিছিল মিটিং যে জনসভায় উপচে পড়া ভীড় পরিলক্ষিত হয়। সেখানে শাসকদলের হামলা হুজুতি ভয়ভীতি, নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা পেতে গা ঘেঁষে আত্মরক্ষা করতে সক্ষম হয়েছে। এখন ও নির্বাচনের অনেক সময় বাকি রয়েছে। এই সময়ের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতাবলে কিছু করে নেন।তাহলে অনেক কিছু পরিবর্তন হয়ে যেতে সময় লাগবে না।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *