Related News

” নাথযোগী ” বিরোধীতা: বামের পথেই রাম ও: ২৮% ভোট বদলে দিতে পারে সমতলের সব সমীকরণ

হাবেলী প্রতিবেদন।৮ নভেম্বর।
আগরতলা।

তিন মাস বাকি ।২০২৩ সালে বিধানসভা নির্বাচনের। ঢাকে কাঠি পড়ে গেছে।শাসক বিরোধী সব দলেই ময়দানে। লক্ষ্য একটাই।মসনদ চাই।
ভোট পেতে ভোটারদের কাছে বিভিন্ন উপডোকন দিয়ে মন পেতে মরিয়া চেষ্টা।
যদিও সবটাই নিজেদের স্বার্থে। ভোটারদের স্বার্থে নয়। একবার বসতে পারলে পাঁচ বছর।আর পায় কে।রাজত্ব আর রাজত্ব। জনগনের কথা শোনার মত সময় থাকে না।

এই বার নির্বাচনে লড়াই বড় কঠিন। গত বিধানসভা নির্বাচন যেভাবে হয়েছিল। এই বার বড় কঠিন।

জাতপাতের ভোট।জাত পাতের ভোট ই স্থির করবে পরবর্তীতে কে রাজ্যের ক্ষমতায় আসবে। পাহাড়ে একটি গোষ্ঠী দখলে চলে গেছে। ওরা রাজ্যে ৩১ শতাংশ। জনজাতিদের ভোট যেদিকে ক্ষমতা সেই দিকে।তার জন্য কেন্দ্র রাজ্য সব রাজনৈতিক দল জনজাতিদের নিয়েই ব্যস্ত।যেকোন মূল্যে এদের মন পেতে মরিয়া রাজনৈতিক দল গুলো।

কিন্তু রাজ্যে ” নাথযোগী ” সম্প্রদায়ের ভোট রয়েছে প্রায়
২৮ শতাংশ অধিক। এরা ইং এবারের ভোটে বিশেষ ভূমিকা গ্ৰহন করতে যাচ্ছে।
রাজ্যের বিভিন্ন গ্ৰামে গ্ৰামে ” নাথযোগী সমাজ ত্রিপুরা ” ঘরোয়া সভা , মিটিং চলছে। ২০১৯ সাল থেকে এই কাজ শুরু হয়। কিন্তু করোনা প্রভাবে সংগঠনের কাজে ভাটা পড়েছিল। গত দুই বছরের অধিক কাজ চলছে।
মূল লক্ষ্য হলো ” নাথযোগী সম্প্রদায়ের জনগনকে ঐক্যবদ্ধ করে সাংবিধানিক অধিকার আদায় করা।
রাজ্যের জনসংখ্যা ২৮ শতাংশ নাথযোগী সম্প্রদায়। এই ভোট স্থির করতে পারে একটি সরকার গঠন করতে।যদিও নাথ যোগী সমাজ এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্ৰহন করে নি।

অতিত অভিজ্ঞতায় দেখা যায় বাম আমলের মত রাম আমলেও এরকমই ।বাম আমলে নাথ যোগীদের বিরোধীতা করে এসেছে।
রাম আমলেও এক‌ইরকম চলছে।
অথচ ২০১৮ সালে বিধানসভা নির্বাচনের সময় নাথযোগীদের ভোট দরদী হিসাবে বহিরাজ্য থেকে নাথ হিতাকাঙ্খীদের এনে প্রেম দেখিয়ে ভোট আদায় করে নেয়। এইবার নাথযোগী গন বুঝতে পেরেছে ।

শাসকদল ও বি সি মোর্চা নাম করে নাথযোগী সম্প্রদায় কে ফাঁদে ফেলেছে।ও বি সি র মধ্যে সব চেয়ে বড় অংশ নাথ যোগী সমাজ। ক্ষুদ্র সমাজের লোক ও বি সি মোর্চা পরিচালিত হচ্ছে। কিন্তু নাথযোগী সমাজ বঞ্চিত।

২৮শতাংশ নাথযোগী সমাজের ভোট যেকোন সরকার কে ক্ষমতায় রাখতে ও পারে। আবার ক্ষমতায় আনার শক্তি রয়েছে। বর্তমান মন্ত্রীসভার মধ্যে নাথ যোগী সম্প্রদায়ের মন্ত্রী রয়েছেন। উনি নাথ যোগী সম্প্রদায়ের সাথে প্রতারনা করেছেন।মুখে নাথযোগীদের ভোটে জয়ী হন। কিন্তু এই সম্প্রদায়ের উন্নয়নে কোন ভূমিকাই পালন করে নি।১৯৮৭-৮৮ সালে নাথ আন্দোলনের সময় ছিলেন। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর স্বজাতি কথা বেমালুম ভুলে গেছেন। তিনি হলেন রতনলাল নাথ।নাথ যোগী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি হিসেবে দল উনাকে প্রার্থী করেন। তিনি অভিজ্ঞ। ক্ষমতা ধর একজন মন্ত্রী। তিনি এই সম্প্রদায়ের জন্য কিছু ই করেন নি।
অপরদিকে নাথযোগী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি হিসেবে প্রতিমা ভৌমিক কে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভায় স্থান দেয়া হয়েছে। দেশের ১৮ কোটি নাথযোগী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি ত্ব করতে স্থান দেয়া হয়েছে। তিনি ও দেশের বিভিন্ন নাথ যোগী সম্প্রদায়ের বিভিন্ন সংগঠনের সাথে কথা বলেন। কিন্তু রাজ্যে তিনি নাথযোগী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি বলতে ভয় পান। উনার কাছ থেকে রাজ্যের নাথযোগী সম্প্রদায়ের মানুষ অনেক কিছু আশা করেছিল। শ্রীমতী ভোমিক ও নাথসম্প্রদায়ের মনে কোন দাগ কাটতে পারেন নি।নাথযোগী সম্প্রদায়ের জনগন রতনলাল নাথ এবং প্রতিমা ভৌমিক কাজে হতাশ।সকলে আজ আশাহত হয়েছে।
আজ ভারতীয় জনতা পার্টির পলিসি মেকারের মধ্যে থেকে ও নিজ সম্প্রদায়ের জন্য উভয় নেতা কোন ধরনের কাজ করতে পারেন নি।

আজ রাজ্যে নাথযোগী সম্প্রদায় কৃষ্টি সংস্কৃতি হারিয়ে যেতে বসেছে।তখন রাম আমলের ক্ষমতাধর নাথযোগী সমাজের ‌ মৃতদেহ সৎকার করতে সমাধিস্থলের জায়গা ব্যবস্থা করা হয় নি। বিভিন্ন জায়গায় সমাধিস্থলের জায়গা বন্দোবস্ত দেয়া হয় নি।
নাথযোগী ডেভলেপমেন্ট কর্পোরেশন গঠন করা হয় নি।অথচ দেশের বিভিন্ন রাজ্যে কর্পোরেশন অনেক আগেই গঠন করা হয়েছে।
আগরতলাসহ বিভিন্ন জায়গায় নাথছাত্রাবাস গড়ে উঠে নি।নাথযোগী সম্প্রদায়ের ছাত্র-ছাত্রীদের স্টাইপেন্ড বৃদ্ধি করা হয় নি।
নাথযোগী সম্প্রদায়ের ও বি সি ভুক্ত। কিন্তু চালু হল না স্ংরক্ষন। কিন্তু বিনা আন্দ্রোলনে উচ্চ বর্ণবাদী গন পেয়ে গেল সংরক্ষণ। এই সংরক্ষণ থেকে রাজ্যের নাথযোগী সম্প্রদায় জনগন বঞ্চিত হবে।
এখন ও সময় রয়েছে নাথযোগী সম্প্রদায়ের কৃষ্টি সংস্কৃতি রক্ষা করতে পারে।এখন দেখতে হবে রাম সরকার কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করে কিনা এর জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

খেয়াল করলে দেখা যায় পশ্চিমবঙ্গে মতুয়া এবং ত্রিপুরাতে নাথযোগী সম্প্রদায়ের জনগন সরকার কে উল্টে দিতে পারে। আবার রাখতে পারে।তাই সাধু সাবধান।পাহাড় যেমন জনজাতির হাতে।সেরকম সমতল নাথযোগীদের হাতে।নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে নাথযোগী সম্প্রদায়ের জনগন একবার ভাবুন। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কি হবে।

Habely

Recent Posts

শাসকদলের মন্ত্রী নেতা সবাই নির্বাচনে প্রচারে ব্যস্ত বঙ্গে

। হাবেলী ডিজিটাল ডেস্ক।আগরতলা।১০ মে। লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিম বঙ্গের প্রচারে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী,মন্ত্রী, বিধায়ক সহ বি…

6 days ago

বিশেষ ট্রেন আগরতলা গুয়াহাটি চলবে

। হাবেলী ডিজিটাল ডেস্ক।আগরতলা। ৩০ এপ্রিল। আগামী ১ এপ্রিল থেকে আগরতলা গুয়াহাটি মধ্যে বিশেষ ট্রেন…

2 weeks ago

গুলি করে হত্যা

।হাবেলী ডিজিটাল ডেস্ক।আগরতলা।৩০ এপ্রিল। আজ সন্ধ্যায় স্থানীয় ভারত রত্ন ক্লাবের সম্পাদক দুর্গা প্রসাদ দেবকে দুস্কৃতিকারিরা…

2 weeks ago

আগরতলা প্রেসক্লাবের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত।

আগরতলা, ২৮ এপ্রিল : আগরতলা প্রেস ক্লাবের বার্ষিক সাধারণ সভা রবিবার অনুষ্ঠিত হয়। বেলা সাড়ে…

2 weeks ago

স্কুলে ছুটি আরো তিন দিন বাড়ল

। হাবেলী ডিজিটাল ডেস্ক।আগরতলা। ২৮ এপ্রিল । তীব্র তাপদাহে কারণে রাজ্য সরকার স্কুলগুলোতে আরো তিনদিনের…

2 weeks ago

পূর্ব ত্রিপুরা আসনে ভোট শান্তি পূর্ণ: প্রথম ভোট বয়কট :৭৯%অধিক

।হাবেলী ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা।২৬ এপ্রিল। সমগ্ৰ দেশের সাথে রাজ্যেও দ্বিতীয় পর্বে পূর্ব ত্রিপুরা সংরক্ষিত আসনে…

3 weeks ago

This website uses cookies.