হাভেলী প্রতিবেদন। ৭ নভেম্বর। আগরতলা।
আগরতলাসহ রাজ্যের রেল পরিষেবা খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে। সুচারুভাবে রেল পরিষেবা চালু করার উদ্যোগ নেই।বাড়ছে যাত্রী দুর্ভোগ। রেল মন্ত্রক নীরব। পরিষেবা উন্নয়নে নেই উদ্যোগ।বাড়ছে রেলের সংখ্যা। আগরতলা রেল কর্তৃপক্ষ কে পড়তে হচ্ছে সমস্যায়।
যোগেন্দ্রনগর রেল স্টেশন। ডেমু সহ বেশকিছু ট্রেনের যাত্রী এই স্টেশন থেকে উঠানামা করেন। আগরতলা ধর্মনগর ডেমু ট্রেন এখানে দাড়ায়।যোগেন্দ্রনগর স্টেশন থেকে প্রচুর যাত্রী সকাল সন্ধা ট্রেনে চাপেন। স্টেশন রেল টিকেট কাউন্টার দপ্তর পরিচালনা করেন না। ঠিকাদারদের মাধ্যম ষ্টেশন টি চালু করা হয়েছে।আগাম ঘোষণা ছাড়াই অনেক সময় টিকেট কাউন্টার টি বন্ধ করে দেয়া হয়। তখন যাত্রীদের কে বিনা টিকিটে ট্রেনে চাপতে হয়।রাস্তায় ট্রেনে সব সময় টি টি থাকে না।বিনা ট্রেনের যাত্রীগন টি টি না থাকায় টিকেট না কেটে যেতে বাধ্য হয়। ফলে রেল মন্ত্রক আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই আর্থিক ক্ষতির জন্য রাজ্যের রেল যাত্রিগন নয়। যোগেন্দ্রনগর রেল স্টেশন কাউন্টার বন্ধ থাকার বিষয়ে কতৃপক্ষ আগাম কোন ধরনের ঘোষণা করেন না।তার জন্য যাত্রীদের পড়তে হয় ফেসাদে।
ডেমু ট্রেন গুলো চলাচলের অযোগ্য। কিন্তু কতৃপক্ষ জোর করে অকেজু ট্রেনকে দিয়ে যাত্রী পরিষেবা দিচ্ছে। আগরতলা তে ডেমু ট্রেন সংস্কার করার জন্য একটি প্রস্তুতি নেয়া হয়েছিল। কিন্তু এখানে কোন কর্মী নেই।ফলে এটি মুখ থুবড়ে পড়ে রয়েছে।
ডেমু ট্রেন সংস্কার করতে হলে বংগাইগাও নিয়ে যেতে হবে।
অকেজো ইজ্ঞিন হ ওয়ায় প্রায় সময় মুখ থুবড়ে পড়ে ডেমু।
আগরতলা ষ্টেশনে টিকেট কাউন্টার বৃদ্ধি করা খুবই জরুরি। কাউন্টার বৃদ্ধি না করাতে সর্বদা কাউন্টারে ভীড় থাকে। এই সুযোগ কে কাজে লাগিয়ে একাংশ টি টি বাঁকা পথে ছাত্রীদের টিকেট নিতে উৎসাহিত করে। আগরতলা থেকে আপনি যেখানে যাবেন সেখানে মন্ত্রকের নির্ধারিত ভাড়া থেকে সামান্য কিছু টাকা বেশি দিলে আপনে অনায়াসে গন্তব্য স্থলে যেতে পারবেন।পুরো অর্থ হাফিজ করে দিচ্ছে বলে অভিযোগ। রাজ্যের সৎ যাত্রীদের টিকেট না কেটে বিনা টিকিটে চলাচলে উৎসাহিত হচ্ছে
রাজ্যের ষ্টেশন গুলো নরক গুলজার হয়ে রয়েছে। পানীয় জলের পাইপ এবং টেপগুলো রক্ষনাবেক্ষনের কারনে মুখথুবড়ে পড়ে রয়েছে। সেগুলো মেরামতের কোন উদ্যোগ আজ পর্যন্ত নেয়া হয় নি।