Habely Patrika | Read Latest Bengali News, Bangla News, বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর from Tripura's Leading Newspaper

চন্দ্রপুর আন্তর্জাতিক বাসস্ট্যান্ডে নেশা সামগ্ৰী রমরমা বাজার

হাবেলী প্রতিবেদন।৩০ অক্টোবর। আগরতলা।

চন্দ্রপুর আন্তর্জাতিক বাসস্ট্যান্ড এলাকায় নেশা সামগ্ৰী প্রকাশ্যে রমরমা ব্যবসা কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। প্রকাশ্যে নেশা সামগ্ৰী বিক্রয় হলে ও আরক্ষা প্রশাসনের নজরে পড়ে না। আরক্ষা প্রশাসনের সাথে গোপন বোঝাপড়ার মাধ্যমে শাসকদলের স্থানীয় একাংশ নেতার মাধ্যমে এই নেশা সামগ্ৰী বিক্রয় হচ্ছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। ড্রাগ এবং নেশা সামগ্ৰী বিক্রয় সাথে স্থানীয় মন্ডল নেতা জড়িত থাকায় পুলিশ অন্ধ ধৃতরাষ্ট্রের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। ফলে আন্তর্জাতিক বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বসবাসকারী জনগনসহ ব্যবসায়ীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।

এক নেতার অধীনে নয় জন দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে শ্রমিক রয়েছে।একজন শ্রমিক কে ৯ শত টাকা করে মজুরি দেয়া হয়। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বাসস্ট্যান্ড এলাকায় প্রকাশ্যে নেশার কোটা বিক্রী করা হয়।এইসব সামগ্ৰী যুবকরা সাইকেল, বাইক, গাড়ী, রিক্সা করে এসে হাতে হাতে তুলে নিয়ে যায় । যাত্রীদের মাধ্যমে ও গাড়ীতে করে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে যাচ্ছে।
সংবাদ সূত্রে জানা গেছে স্থানীয় থানা এবং অন্যান্য আরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের সাথে গোপন বোঝাপড়ার মাধ্যমে এই কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। জনৈক মন্ডল নেতা স্বল্প সময়ের মধ্যে তিন টি গাড়ির মালিক বনে গেছেন। গাড়িগুলো বাসস্ট্যন্ড এলাকায় রাখেন তিনি।

এই নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ছে উঠতি বয়সের যুবকরা। নেশার কবলে একবার জড়িয়ে পড়ছেন । সেই সব যুবককে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে নিয়ে আসা সম্ভব নয়। অকালে সেই সব যুবক মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন।
রাজ্যে বি জে পি জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর ড্রাগ এবং নেশা মুক্ত রাজ্য গঠনের ডাক দিয়েছে। রাজ্য সরকারের তৎপরতা ড্রাগ এবং নেশার বড়িতে লাগাম টানতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু শাসক দলের একাংশ নেতার গোপন বোঝাপড়ার মাধ্যমে সর্বত্র নেশার টেবলেট সহ অন্যান্য সামগ্রী বিক্রী হয়। মন্ডলের একাংশ এই সব বিষয়ে সহযোগিতা করতে থাকায় স্থানীয় জনগণের মধ্যে বি জে পি সরকারের প্রতি ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।সরকার ক্ষমতায় এসে ড্রাগ ও নেশার বিরুদ্ধে লাগাম টানতে ময়দানে দৌড় ঝাঁপ শুরু করে ছিল। তখন জনগণের মধ্যে সরকারের প্রতি স্বস্তি এসেছিল। এই বার হয়তো যুব সমাজ কে নেশার কবল থেকে রক্ষা করতে পারবে। কিন্তু কিছু দিন যাবার পর দেখতে পান শাসকদলের একাংশ এই সব বিষয়ে মদত জুগিয়ে যাচ্ছে। তখন ই সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা হারিয়ে যেতে থাকে।

আন্তর্জাতিক বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পুলিশ থাকে।তার মধ্যেই নেশার সামগ্ৰী রমরমিয়ে বিক্রী হচ্ছে।তাই দেখে পথচলতি মানুষ হতভাগ বনে যাচ্ছে।

Leave a Comment

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না।