নির্বাচনকে সামনে রেখে শাসকদল কে বিপাকে ফেলতে সাড়াশি আক্রমণ বিরোধী দল গুলোর

হাবেলী প্রতিবেদন।৩১ অক্টোবর। আগরতলা।

ধর্ষণকান্ডসহ বিভিন্ন ইস্যুতে বিরোধী দলগুলো রাজ্য ব্যাপি তীব্র আন্দোলন সংগঠিত করে শাসকদল কে বিপাকে ফেলতে ময়দানে।
বিপ্লবের মাস নভেম্বর।এই মাসেই রাজ্যের বিরোধী দল সি পি আই এম, কংগ্ৰেস , তৃণমূল কংগ্রেস, তিপরা মথা, এস ইউ সি আই , আমরা বাঙ্গালী সহ সব কয়টি রাজনৈতিক দল‌ই আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে জনগণের সর্মথন আদায় করতে ময়দানে নামবে।ইতি মধ্যে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।
দুর্গা পূজা, কালীপূজা, ভাইফোটাঁ মত অনুষ্ঠান সবে শেষ হয়েছে। এখন বাকি রয়েছে কার্তিক পূজা।এই ছাড়া আর কোন বড় সর্বজনীন পূজা বাকি নেই।সব কয়টি রাজনৈতিক দল‌ই পুজো র জন্য দম ধরে বসে ছিল।
কিন্তু পুজোর পর্ব শেষ হবার আগেই রাজ্যে বেশকিছু ধর্ষণ কান্ড সং ঘ টিত হয়েছে। একটি ঘটনা নয় ।পর পর পাঁচ টি ঘটনা। বিরোধী দল গুলোর অভিযোগ ধর্ষণের ঘটনা গুলোর সাথে শাসকদলের মন্ত্রী পুত্র, পঞ্চায়েত উপপ্রধান , সদস্য সহ শাসকদলের লোকজনই বেশি জড়িত রয়েছে।যদিও এই সব নারী ধর্ষণের ঘটনা ঘটনায় অভিযুক্ত দের অনেকেই পুলিশ আটক করতে সক্ষম হয়েছে। আটকদের আদালতে সোপাদ করা হয়েছে।এরা জেলে রয়েছে।ঘটনার সাথে জড়িত অনেকেই এখন ও লুকিয়ে রয়েছেন। পুলিশ আত্মগোপন কারী দের গ্ৰেপ্তার করতে তৎপরতা জারি রেখেছে।

কুমারঘাটে জনৈক কিশোরী গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন।এই ঘটনার সাথে জড়িতদের মধ্যে রাজ্যের মন্ত্রী ভগবান দাসের পুত্রের জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ এখন পর্যন্ত বেশ কয়েকজনকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে। বিরোধী দল গুলোর অভিযোগ ধর্ষণের ঘটনা ঘটনায় জড়িত মন্ত্রীপুত্র কে গ্ৰেপ্তার করতে হবে। এবং মন্ত্রীকে মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে। এই দাবিকে সামনে রেখে রাজ্য ব্যাপি তীব্র আন্দোলন সংগঠিত করতে বামপন্থী দলগুলো নীচুতলাতে আন্দোলন সংগঠিত করে তোলার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছে। নীচুতলার কর্মী সমর্থকদের সংগঠিত করার পর রাজ্য ব্যাপি তীব্র আন্দোলন সংগঠিত করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
অন্যদিকে কৈলাশহরে,কল্যাণপুর , যোগেন্দ্রনগর , ৭৯ টিলা সহ বেশকিছু এলাকায় ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। আচমকা রাজ্যের মধ্যে ধর্ষণের ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।

ডি ও য়াই এফ আই / নারী সমিতি/ কংগ্ৰেস / তৃনমুল কংগ্রেস/ তিপরা মথা/ নাগরিক মঞ্ছ ধর্ষন কান্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আন্দোলন সংগঠিত করে তোলে।
এই মাসে কংগ্ৰেস , তিপরা মথা, তৃণমূল কংগ্রেস আগরতলাতে বড় হয়ে সমাবেশ করার কথা ঘোষণা করেছেন।

অপরদিকে শাসকদল বি জে পি ও বিরোধী দলের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন সংগঠিত করতে ময়দানে রয়েছেন।কুমার ঘাট ধর্ষণ কান্ড সহ সব কয়টি ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিরোধী দলের আন্দোলন কে জবাব দিতে রাজ্যব্যাপি তৃনমুল পর্যায় থেকে আন্দোলন সংগঠিত করা হয়েছে। মহিলা কমিশনের চেয়ারম্যান শ্রীমতী বর্ণালী গোষামী কুমার ঘাটে ধর্ষণ কারীর সাথে তিনি কথা বলে বিস্তারিত জেনেছেন। তিনি বলেন ঘটনার সাথে জড়িতদের মধ্যে যদি মন্ত্রী পুত্র থেকে থাকে , আইনের উর্ধ্বে কেউ নয়। সেই ও আইনের আওতায় আনা হবে। বিষয়টি এখন পুলিশের কাছে রয়েছে।
বিরোধী দল গুলোর কাউন্টার দিতে রাজ্যে শীঘ্রই দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আসার কথা রয়েছে।
এখন দেখার বিষয় রাজ্যের বিরোধী দল গুলো বিপ্লব মাসে রাজ্য শাসকদলের বিরুদ্ধে কতটুকু তীব্র আন্দোলন সংগঠিত করতে পারেন।
উল্লেখ্য, কুমারঘাট এলাকার জনৈক মন্ত্রী নারী কেলেঙ্কারির দায়ে মন্থীত্ব হা্রাতে হয়েছিল বাম্যফ্রন্ট সরকারের আমলে। আন্দোলনের গতিপ্রকৃতি উপর নির্ভর করবে ভগবান দাসের মন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ এবং পুত্রের গ্ৰেপ্তার বিষয়টি নির্ভর করবে।

Leave a Comment

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না।