আচমকা আমরণ অনশনে ১০৩২৩ চাকরি চ্যুত শিক্ষকদের একাংশ

হাবেলী প্রতিবেদন। আগরতলা

আচমকা আমরণ অনশনে ১০৩২৩ চাকরি চ্যুত শিক্ষকদের একাংশ

আজ থেকে ১০৩২৩ জন চাকরি চ্যুত শিক্ষকদের একাংশ স্থানীয় রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবন প্রাঙ্গণে পুনরায় নিয়োগের দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করেছে। আজকের আমরণ অনশন কর্মসূচিতে অংশ গ্ৰহনকারিগন শাসক দলের সমর্থনে ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকেই ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছিল। এই গোষ্ঠীর নেতৃত্বে ছিলেন প্রদীপ বনিক ।আজ আচমকা শাসকদলের সর্মথনকারি গোষ্ঠী রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর সিদ্ধান্ত যেতে বাধ্য হয়েছে। এই নিয়ে জনমনে বিভিন্ন প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে।
অপর দিকে চাকরিচ্যুত দের কমল, ডালিয়া গোষ্ঠী আমরণ অনশনের বিরোধীতা করেছেন। তাদের প্রশ্ন ১০৩২৩ জন শিক্ষকদের চাকরি চ্যুত হবার পর থেকে চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে দীর্ঘদিন যাবৎ আন্দোলন সংগঠিত করে যাচ্ছেন।
সম্প্রতি গতমাসে সর্বশেষ আন্দোলনের ডাক দিয়েছিল বিধানসভা অভিযানের। বিধানসভা অভিযানের দিন আগরতলা সার্কিট হাউস এলাকায় আন্দোলন কারী দের উপর পুলিশ জল কামান ছুঁড়েছে। লাঠিচার্জ করে ছিল। লাঠিচার্জ করাতে বেশ কয়েকজন শিক্ষক শিক্ষিকা আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিল। তখন বিধানসভা অধিবেশন চলছিল।
বিধানসভা অধিবেশনে বিরোধী দলের সদস্য সদস্যাগন চাকরি চ্যুত দের সাথে কথা বলতে মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। বিরোধী দলের সদস্য দের চাপে পড়ে মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা চাকরি চ্যুত দের এক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে কথা বলতে আগ্ৰহী হন।
তখন কমল, ডালিয়া গোষ্ঠীদের এক প্রতিনিধি দল যেদিন মুখ্যমন্ত্রী শ্রীসাহার সাথে মহাকরণে মিলিত হন। সেই দিন এই প্রতিনিধি দলের সাথে মুখ্যমন্ত্রী শ্রীসাহা সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা করেন। আলোচনা কালে সরকারি আইনজীবী সহ উচ্চ পদস্থ অফিসার গন ও উপস্থিত ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী শ্রীসাহা প্রতিনিধিদের জানিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ বাইরে তিনি কোন কাজ করতে পারবেন না। তারপর ও যদি কোন ধরনের সুযোগ থেকে থাকে। বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রীসভার অন্যান্য সদস্যদের সাথে আলোচনা করবেন। এই জন্য কিছু সময় উনাকে দিতে হবে। আবার তিনি তাদের বলেন , বিধানসভা নির্বাচন সামনে। এই স্বল্প সময়ের মধ্যে কতটুকু কি করতে পারবেন।তা সঠিক করে কিছু বলতে পারবেন না মুখ্যমন্ত্রী শ্রীসাহা দেওয়ালীর মধ্যে ডালিয়া গোষ্ঠী কে ভালো সংবাদ দিতে পারবেন বলে চাকরি চ্যুত শিক্ষকগন অপেক্ষায় রয়েছে ন‌ ।

অপরদিকে প্রদীপ বনিকগোষ্টী মুখ্যমন্ত্রী শ্রীসাহার সাথে মহাকরণে মিলিত হন। চাকরিচ্যুতদের পক্ষ থেকে ও পুনরায় নিয়োগের দাবিতে অনাঢ়ম্বর পরিবিশের মধ্যে ও শ্রীবণিক চাকরিরাও মুখ্যমন্ত্রীর সাথে মিলিত হন। সেখান থেকে ফিরে এসে আমরণ অনশনে বসে পড়েন।

চাকরি চ্যুত শিক্ষকদের দাবি তাদের কে বেআইনি ভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী যাত্রীভাড়া ১০৩২৩ জনের মধ্যে সকলের চাকরি যায় নি। কিন্তু চাকরি চ্যুতদেরকে অন্যান্য স্থানীয় দের সাথে জোর করে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এখন দেখার আমরণ অনশনকারীদের আন্দোলন কতখানি সফল হয় ?

Leave a Comment

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না।