হাবেলী প্রতিবেদন।১১অক্টোবর। আগরতলা।
আগামী বিধানসভা নির্বাচনে দল ক্ষমতায় ফিরে আসার পর মুখ্যমন্ত্রী পদে বসার দাবিদার যীষ্ণু দেবর্বমা।এই নিয়ে দলের অন্দরে গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব অব্যাহত রয়েছে বলে সংবাদ সূত্রে জানা গেছে। বিষয়টি দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে পৌঁছানোর পর কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের কপালে ভাঁজ পড়ে। রাজ্য রাজনীতি তে তিপরা মথার কাজ কর্ম নিয়ে চরম দুশ্চিন্তা র মধ্যে দিন কাটাচ্ছে নেতৃত্ব। মথার দাপটে পাহাড় তথা উপজাতি সংরক্ষিত আসনে বি জে পি ভাল ফল করতে পারবে না বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
যীষ্ণু দেবর্বমা ভারতীয় জনতা পার্টির পুরানো কার্যকর্তা।রাজ্যে যখন বি জে পি সাইনবোর্ড সর্বস্ব ছিল। তখন থেকেই তিনি দলের হয়ে কাজ করে আসছেন।
দলের বিভিন্ন সাংগঠনিক স্তরে বিভিন্ন পর্যায়ের পদাধিকারে থেকে কাজ করেছেন। রাজ্য থেকে কেন্দ্রীয় স্তরের সকল পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের সাথে উনার সুসম্পর্ক বজায় রয়েছে। এছাড়া রাজ্যেও দল এবং দলের বাইরে অন্যন্যদলের সাথেও সুসম্পর্ক রয়েছে। উচ্চ শিক্ষিত। মিষ্টি ভাষী। সকলের সাথে মানিয়ে চলতে পারেন তিনি।
দীর্ঘদিনের কার্যকর্তা হবার পর ও উনাকে দলের রাজ্য সভাপতি পদে বসানো হয় নি। অন্যদিকে যোগ্যতা থাকার পর ও উপমুখ্যমন্ত্রী পদ দিয়ে দাবীয়ে রাখা হয়েছে বলে দলের অন্দরে কথা উঠতে শুরু করেছে। দলের অন্দরে একাংশ দাবি তুলেছেন পুনরায় ক্ষমতায় ফিরে আসার পর মুখ্যমন্ত্রী পদে যীষ্ণু দেবর্বমাকে বসাতে হবে। নতুন করে এই আওয়াজ উঠতে থাকায় রাজ্য দলের মধ্যে তিন চার গোষ্ঠীর সৃষ্টি হয়েছে। বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই দ্বন্দ মেটানো সম্ভব না হলে তার প্রভাব দলেরঅন্ধরে গিয়ে পৌঁছাবে।
অন্যদিকে রামপ্রসাদ পাল নির্বাচন কমিটি গঠন নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খোলায় কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ পড়ছেন আরও চরম বিপাকে। দলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব থামাতে দেওয়ালী পূজার আগে রাজ্যে ছুটে আসতে বাধ্য হচ্ছে।
বি জে পি সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বি এল সন্তোষ, রাজ্য প্রভারী ডা মহেশ শর্মা, উত্তর পূর্বাঞ্চলের কোডিনেটর সম্বিত পাত্র, সংগঠন মহামন্ত্রী ফনীন্দ্র নাথ শর্মা সহ অন্যান্যগন।
কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ রাজ্য সফরে আসার পেছনে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের কর্তপন্থা স্থির করাই মূল উদ্দেশ্য নয়। দলের অন্ধরে অতিতেও যীষ্ণু এবং রামপ্রসাদ জোটি যখনই বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন । তখনই কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ চরম বিপাকে পড়েছেন।যদিও আলোচনা সাপেক্ষে তা পরর্বতীতে দলের অন্ধরে মিটিয়ে ফেলা সম্ভব হয়েছে।
এবারের ইস্যু আলাদা।
যীষ্ণুবাবু মুখ্যমন্ত্রী জিগির না তোলেন তাহলে উনার চড়িলাম নির্বাচনী কেন্দ্রে তিপরা মথা উনার বিরুদ্ধে প্রচার করবে। সেই ক্ষেত্রে নির্বাচনে জয়ী হয়ে আসাটা ও দুস্কর হয়ে পড়বে বলে রাজনৈতিক অভিজ্ঞ মহলের অভিমত।