হাবেলী প্রতিবেদন। ১১ অক্টোবর। আগরতলা।
জমিতে ধানের গাছ কেটে ফেলছে ইঁদুর। ইঁদুরের হাত থেকে ধান গাছ রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না। এই অবস্থায় চাষী পড়েছে চরম বিপাকে।পাকা ধান ঘরে তুলতে না পারলে সারা বছর লোনের বোঝা টানতে হবে চাষী কে । পরিবার পরিজনদের নিয়ে বেঁচে থাকা দায় হবে বলে জানিয়েছেন চাষী। কৃষি দফতরের কাছে আশানুরূপ সাড়া না পাওয়ায় চাষিরা কৃষি অফিসে ঘটনা জানাতে রাজি নয়।
আগরতলা পূর পরিষদের ৮ নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত নোয়ানীয়ামুড়া ,লাডুচৌমুহনীসহ পাশ্ববর্তী কৃষি এলাকায় আমন ধানের জমিতে ইঁদুরের ব্যাপক উৎপাত বৃদ্ধি পেয়েছে।
আমন ধানের গাছে ফুল আসার সময় থেকে জমিতে ধানের গাছ মাটির থেকে দুই ইঞ্চি উপরে কেটে ফেলে দেয়।
ধানের গাছে ফুল আসার সময় গাছ ইঁদুর কেটে ফেলে। তারপর সেই গাছে পুনরায় ধানের গাছ জন্মে আবার বড় হয়ে ধানের ফুল আসবে। তারপর সেই ধান পাকার পর ঘরে তোলা সম্ভব নয়।ফলে
আমন ধানের গাছে ফুল আসার সময় থেকে পাকা ধান কেটে তোলা পর্যন্ত সম্ভব নয়।ফলে আমন ধান ক্ষেত থেকে বাড়িতে নিয়ে যেতে পারবে না চাষী। ইঁদুর যে জমিতে আক্রমণ করে সেই জমিতে কাঁচি নিয়ে জমিতে যেতে পারবে না।এই বহু জমির ধানের গাছ কেটে ফেলছে।
জমিতে জল দাঁড়িয়ে আছে। ইঁদুরের গর্তে ওষুধ দিয়ে কিছু হবে না। ধানের গাছে ওষুধ দিয়ে কিছু হয় না।ফলে চাষীরা দিশেহারা।
চাষীদের অভিযোগ নোয়ানীয়ামুড়া কৃষি অফিস থেকে গত ফসলের সময় ইঁদুরে আক্রমনে পাকা ধান ক্ষেত নষ্ট করেছিল। সেই সব জমিতে এসে কৃষি কর্মকর্তা চাষীর ক্ষতিহওয়া জমির ছবি তুলে নিয়ে যায়। এবং আঁধার কার্ড,ব্যাঙ্ক একাউন্ট নং এবং ইন্সুরেন্স জন্য টাকা সহ সবকিছু নিয়ে যায়। কিন্তু চাষী আজ পর্যন্ত কোন আর্থিক সহায়তা পায় নি।
চাষীদের অভিযোগ ইঁদুরের আক্রমণ তো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মধ্যে পড়ে। কৃষি দপ্তর থেকে সর্বদা প্রচার করা হচ্ছে চাষীদের ইন্স্যুরেন্স আওতায় আনা হয়েছে।যদি ইন্সুরেন্স আওতায় এসে থাকে তবে ক্ষতিগ্রস্ত চাষী আর্থিক সহায়তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
প্রতিটি ফসলের সময় ইঁদুরে আক্রমনে ধান গাছ কেটে নষ্ট করে ফেলছে। ইঁদুরের হাত থেকে ধান গাছ রক্ষা করতে না পারে তাহলে আগামী দিনে কেউ ধান চাষ করবে না।এক কানি ধান চাষ করতে এখন প্রায় ১০ হাজার টাকা খরচ হয়। তারপর কৃষি অফিস থেকে সার ওষুধ পাওয়া যায় না। খোলা বাজার থেকে সার ওষুধ চড়াধামে কিনতে হয় বলে চাষীদের অভিযোগ।