সাড়ে চার বছরে রাজ্যের পরিবহনে যাত্রী স্বাচ্ছন্দে পরিবহন মন্ত্রী ব্যার্থ

হাবেলী প্রতিবেদন।৮ অক্টোবর। আগরতলা।

গত সাড়ে চার বছরে রাজ্যের পরিবহন ব্যবস্থা ঊন্নয়নসহ যাত্রী স্বাচ্ছনতা প্রদানে পরিবহন মন্ত্রী সম্পূর্ণ ব্যর্থ। আগরতলা শহরে এখন প্রা য় দশহাজার উপর অটো রিকশা চলাচল করে। গত কিছুদিন আগে অটোতে মিটার ব্যবহার করতে পরিবহন দপ্তরের করিৎকর্মা অফিসার গন পুলিশের সাহায্য নিয়ে চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। পরিবহন দপ্তর এবং পুলিশের হস্তক্ষেপে অটোরিকশা চালকগন মিটার গাড়িতে লাগিয়ে নিতে বাধ্য হয়। ওরা মিটার লাগিয়েছে। এই মিটার বিক্রী করে স্বল্প কয়েক মিটার বিক্রেতা লাভবান হয়েছেন।এর একাংশ কমিশন উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাছে পযন্ত গেছে বলে অভিযোগ এখন সকলের বুঝতে বাকি নেই।

মিটার অটো রিকশা তৎকালীন সরকারের আমলে ও চালু করা হয়েছিল। কিন্তু তৎকালীন সরকারের আমলে ও বামফ্রন্ট অটোরিকশা চালকদের কাছে সর্বদা নতজানু হয়ে চলতে হয়েছে। তারপর ও কিছু টা নিয়ন্ত্রনে ছিল।
বর্তমান সরকারের আমলে কাগজ পত্রে অটোরিকশা সংগঠন নেই। এখন কাগজ পত্র হীন অটোরিকশা সংগঠন রয়েছে। সেই সব সংগঠন কর্তাদের নিয়ন্ত্রন করার মত স্বচ্ছ নেতৃত্বের প্রচন্ড সংকট।আগরতলসহ রাজ্যের প্রতিটি অটোরিকশা চলাচল পথে সরকারি নিয়ম মেনে যাত্রী ভাড়া আদায় করা হয় না। অটোরিকশা চালক বেআইনি সমিতির কর্মকর্তাদের নির্দেশ মত যাত্রীভাড়া আদায় করা হয়।
রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন অটোরিকশা তে মিটার ব্যবহার করার পর থেকে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী যাত্রীভাড়া আদায় করা হবে। কিন্তু আজ পর্যন্ত সরাসরি নিয়ম মেনে রাজ্যের কোন সড়কে যাত্রীভাড়া আদায় করা হয় না। আগরতলা পুর পরিষদ এলাকা কিছু সড়কে সরকারি নিয়ম মেনে তিনজন যাত্রী পরিবহন করা হয়। রাজ্যের সর্বত্র অটোরিকশাতে ৭/৮ জন যাত্রী পরিবহন করা হয়। স্থানীয় পরিবহন কর্তৃপক্ষ এবং আরক্ষা প্রশাসন সবকিছু জেনেও নীরব। অতিরিক্ত যাত্রীভাড়া আদায় করা নিয়ে চালকদের সাথে যাত্রীদের বাকবিতন্ডা সৃষ্টি হয়।

আগরতলা বিমানবন্দর থেকে প্রিপেইড অটোরিকশা চালনোর কথা ঢাক ঢোল পিটিয়ে প্রচার করা হয়।সপ্তাহ অতিক্রান্ত হবার আগেই প্রিপেইড অটোরিকশা সাভির্স মুখ থুবড়ে পড়েছে।এ থেকে পরিস্কার পরিবহন দপ্তর অটোরিকশা চালকদের নিয়ন্ত্রন করতে সম্পূর্ণ রূপে ব্যর্থ। সরকারি নির্দেশ অমান্য করে কি করে চলতে সাহস পাবার পেছনে রহস্য কোথায় লুকিয়ে রয়েছে। যাত্রীদের এই নিয়ে প্রশ্নের সম্মুখীন।
এছাড়া আগরতলা পুর পরিষদ এলাকা সহ পার্শ্ববর্তী শহরের মধ্যে যাতায়াত কারি টাউনবাস সংখ্যা দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে। চম্পকনগর থেকে নাগেরজলা মধ্যে দৈনিক ১৮ টি টাউনবাস প্রয়োজন । সেখানে মাত্র ৭/৮ টি টাউনবাস চলাচল করে।
খুমুলুঙ থেকে নাগেরজলা, মান্দাই থেকে নাগেরজলা, পাটনী থেকে নাগেরজলা, জম্পুইজলা থেকে নাগেরজলা পয্যন্ত টাউন বাস চলাচল দীর্ঘদিন আগেই বন্ধ হয়েযায়। টাউন বাসে টিকেট সরকারি নিয়ম মেনে নেয়া হয় না।
রাজ্যের ভেতরে আন্তমহকুমা পর্যায়ে বাস সার্ভিস চালু রয়েছে। সেই সব বাসেও পরিবহন দপ্তর নির্দেশ মত যাত্রীভাড়া আদায় করা হয় না। যাত্রীদের টিকেট দেওয়ার রীতি রাজ্যে কবে থেকে উধাও। পরিবহন দপ্তরে এই সব বিষয়ে কোন হেলদোল নেই।
টাউন বাস, লাইন বাস, ম্যাক্স, ম্যাজিক সহ সব গাড়ীতে অতিরিক্ত যাত্রীভাড়া আদায় করার পর যাত্রী স্বাচ্ছনতার প্রতি দপ্তর কতৃপক্ষ এবং মন্ত্রী এই বিষয়ে কোনো খোঁজ খবর নেয়ার মত প্রয়োজন মনে করেন না।এই নিয়ে যাত্রীমহলে তীব্র চাপা ক্ষোভ দীর্ঘদিন যাবৎ বিরাজ করছে।

Leave a Comment

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না।