মায়ের গমন ২০ ২২ পুজো কার্নিভাল আজ অনুষ্ঠিত হয়

হাবেলী প্রতিবেদন ।৭অক্টোবর। আগরতলা।

আজ বিকেলে রাজ্য সরকারের তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে আগরতলায় মায়ের গমন ২০২২ নামে কার্নিভালের শুভ উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা।প্যারাডাইস চৌমুহনীতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেবর্বমা, তথ্য সংস্কৃতি মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী সহ মন্ত্রী সভার অন্যান্য সদস্যরা। এছাড়া রাজ্য বিজেপি সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য উপস্থিত ছিলেন।
আজ বিকেল পাঁচটা থেকে আগরতলা শহরের বিভিন্ন এলাকার ক্লাবগুলো তাদের মূর্তি টেবলু। প্রসেশন করে শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে প্যারাডাস চৌমুহনী মুল অনুষ্ঠানের মঞ্চের সামনে দিয়ে বটতলা হয়ে হাওড়ানদীর দশমী ঘাটে চলে যায়। দশমী ঘাটে মূর্তি বিসর্জনের জন্য এ বছর আগরতলা পুর পরিষদ থেকে বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।পুর পরিষদের কর্মীগন ক্যানের সাহায্য মূর্তি কে নদীতে বিসর্জনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাতে করে মূর্তি বিসর্জনের কোন অসুবিধায় পড়তে হবে না। যদিও মূর্তি বিসর্জন দেওয়ার সময় একজন পুরকর্মী মূর্তীর নীচে চাপা পড়ে আহত হয়েছে। আশঙ্কা জনক অবস্থায় তাকে জি বি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে।
এদিকে কার্নিভাল কে ঘিরে দর্শনার্থীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা পরিলক্ষিত হয়েছে। কার্নিভাল ঘিরে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা পরিস্থিতি ঘটতে না পারে সে দিকে নজর রেখে আগরতলা শহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ট্রাফিক দপ্তর থেকে আগাম ঘোষণা করে দেয়া হয় কোন পথধরে যানবাহন চলাচল করবে।
আজ এই কার্নিভাল মধ্যে দিয়ে প্রায় ৫০টি প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হতে পারে।
কার্নিভালে অংশকারি ক্লাবগুলোর মধ্যে থেকে প্রথম ,দ্বিতৃয় এবং তৃতীয় স্থান অর্জন কারিদের মধ্যে পুরুস্কার দেয়া হবে।

বি জে পি আই পি এফ টি জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রথম এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কিন্তু করোনা র কারনে গত দুই বছর ধরে এই কার্নিভাল করা হয় নি। এই বছর থেকে পুনরায় তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরে র উদ্যোগে আরম্ভ করা হয়েছে।

জনগনের অভিমত এই বারের কার্নিভাল প্রক্রিয়া দর্শনার্থীদের মধ্যে দাগ কাটতে পারে নি।হতাশ হয়ে দর্শনার্থীগন বাড়ি ফিরে গেছেন। মূর্তি নিয়ে ক্লাবগুলো এক সাথে সারিবদ্ধভাবে আসে নি।একটি মূর্তী চলে যাবার দীর্ঘ সময় পর আরেক টি মর্তী আসে। তাতে করে দর্শনার্থীদের ধৈর্য্য চুতি ঘটেছে।
এছাড়া প্যারাডাইস চৌমুহনীতে দর্শনার্থীদের উপচে ভিড় পরিলক্ষিত হয়েছে। কিন্তু সুশৃঙ্খল ভাবে দর্শনার্থীদের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার ব্যবস্থা করা হয় নি।

উল্লেখ্য তুলসীবতী স্কুলের সামনে জায়গা কার্নিভালের জন্যে সঠিক জায়গা। এখানে রাস্তার এক পাশে ক্লাবগুলো যে আগে আসবে সেই আগের নম্বর পাবে।এই ভাবে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকবে ক্লাবগুলো প্রতিমা নিয়ে। দর্শনার্থী গন একে একে প্রতিমা দেখতে পারেন। আগে করা হত প্রথমে দুর্গাবাড়ি তারপর প্রভুবাড়ি ।এর অন্যান্য ক্লাব বা সমিতির প্রতিমা বিসর্জনের জন্য এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

Leave a Comment

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না।