হাবেলী প্রতিবেদন।২৯ সেপ্টেম্বর। আগরতলা।
তিপরা মথা দলের সুপ্রিমো প্রদ্যুৎ কিশোর মানিক্য দেবর্বমাকে কাছে টানতে জনজাতিদের বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে ময়দানে নেমেছে।আর মাত্র কয়েক মাস বাকি বিধানসভা নির্বাচনের। এই সময়ের মধ্যে মথাকে কাছে টানতে না পারা যায় । তাহলে পাহাড়ের রাজনীতি তে শাসকদল বি জে পি ধাক্কা খাবে।এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।তাই মহারাজা দাবি করেছিলেন আগরতলা স্থিত মহারাজা বীরবিক্রম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যাত্রীদের উদ্দেশ্যে ককবরক ভাষায় ঘোষণা করতে হবে। বাংলা, ইংরেজি এবং হিন্দী ভাষায় ঘোষণা সাথে এখন ককবরক ভাষাতে ও যাত্রীদের উদ্দেশ্যে ঘোষণা করা হয়।
রাজ্যে বি জে পি সরকার ক্ষমতায় আসার পর পর ই আগরতলা বিমান বন্দর নাম মহারাজা বীরবিক্রম কিশোর মানিক্য দেবর্বমা নামে রাখা হয়। পরবর্তীতে পুরানো বিমান বন্দর প্রাঙ্গনে মহারাজা বীর বিক্রম স্ট্যাচু বসানো হয়েছিল। নতুন বিমানবন্দর চালু হওয়ায় পুরানো বিমান বন্দর ভবনের সামনে পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সেটিকে নতুন ভবনের সামনে বসানোর দাবি জানিয়েছেন প্রদ্যূৎ কিশোর। ধারনা করা হচ্ছে বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষ একাজ সন্মানে করে নেবেন।
উল্লেখ্য আগরতলা রেল ষ্টেশন থেকে যাত্রীদের উদ্দেশ্যে রেল আসা যাওয়া বিষয়ে ককবরক ভাষায় ঘোষণা করা হয়। রাজ্যের ভেতরে অন্যান্য রেল ষ্টেশন থেকে যাত্রীদের উদ্দেশ্যে এখন ও রেল আসা যাওয়া সম্পর্কে ককবরক ভাষায় ঘোষণা করা হয় না। দাবি তোলা হয়েছে সব ষ্টেশন থেকে ককবরক ভাষায় ঘোষণা করা হোক।
জনজাতিদের সামাজিক আচার আচরণ , কৃষ্টি সংস্কৃতি রক্ষায় মথা থেকে দাবি তোলা হয়েছে। বেশ কিছু দাবি রাজ্য সরকার এবং এ ডি সি প্রশাসন ইতিমধ্যে মেনে নিয়েছে। সামাজিক আচার আচরণ কৃষ্টি সংস্কৃতি রক্ষায় সমাজপতিদের জন্য রাজ্য সরকার সান্মানিক ভাতা চালু করবে।এ ডি সি প্রশাসন বেশকিছু জনজাতি সম্প্রদায়ভূক্ত সমাজ পতিদের মাসিক পাঁচ হাজার টাকা করে ভাতা চালু করেছে।
এ ডি সি পরিচালিত স্কুল কলেজ, অফিস কাছাড়িতে প্রতি সোমবার জনজাতিদের পোশাক পরিচ্ছদ ব্যবহার করতে নির্দেশ জারি করেছে। এখন ঐদিনে জনজাতি সরকারি কর্মচারী গন তাদের পোশাক পড়ে আসেন।
রাজ্য সরকার ককবরক ভাষা লিপি স্থির করতে পারে নি। রাজ্য সরকার স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে বাংলা লিপিতে ককবরক ভাষা শিক্ষা দিতেছে। কিন্তু এ ডি সি তে মথা দল আসার পর থেকে রোমান লিপিতে ককবরক ভাষার সমস্ত কাজকর্ম চলছে। যদিও ভাষা লিপি নিয়ে এখনও দ্ধন্দ অব্যাহত রয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে ভাষা লিপি বিরোধ মিটবে না।বি জে পি দেবনাগরী লিপিতে ককবরক ভাষা চর্চা পক্ষে মতামত পেশ করে বলে সংবাদ। এই নিয়ে জনজাতিদের মধ্যে চাপা বিরোধ অব্যাহত রয়েছে।
কাষ্টমারি ল চালু করতে রাজ্য সরকারের কাছে এ ডি সি প্রশাসন বেশকিছু প্রস্তাব পাঠিয়েছে। বি জে পি সরকার এখন পর্যন্ত কোনো কাষ্টমারি ল বিলে অনুমোদন দেয় নি। বিলগুলো অনুমোদন না দেওয়াতে জনজাতিদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।মথা দলের সুপ্রিমো প্রদ্যুৎ কিশোর মানিক্য দেবর্বমা চাপে রাজ্য সরকার বিভিন্ন দাবি সহজে মেনে নিয়েছে।আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে আরো বেশকিছু জনস্বার্থ কাজ কর্ম আদায় করে নিতে সক্ষম হবে ।