হাবেলী প্রতিবেদন।২৪ সেপ্টেম্বর। আগরতলা।
পুজো প্রাকলগ্নে অকাল বর্ষণে উদ্যোত্তা বাড়ছে উদ্ধেগ।মূক্তি তৈরির কারিগরদের বাড়ছে দুশ্চিন্তা।
বৃষ্টির কারণে মূর্তি তৈরি করতে চরম দুর্ভোগে পড়তে হবে।রোদের অভাবে কাঁচা মাটির তৈরি মূর্তি সময় মত না শুকাতে পারবে না।সময় মত মূর্তী না শুকালে বৈদ্যুতিক হিট দিয়ে শুকিয়ে নিতে হবে।
প্যান্ডেল তৈরি করতে বিলম্ব হচ্ছে। বৃষ্টির কারণে প্যান্ডের বাইরে কাজ করতে অসুবিধা সৃষ্টি হচ্ছে।
রাজ্যে মহারাজা কৃষ্ণকিশোর মানিক্য আমলে ঊনবিংশ শতাব্দীতে আগরতলাস্থিত দুর্গা পূজা শুরু হয়। এই দুর্গা বাড়ির পুজো ত্রিপুরার রাজন্য আমলের। তখন থেকেই এই দুর্গা ঠাকুর দুই হাত সামনে থাকে।বাকি আট হাত পেছনে লুকিয়ে রাখা হয়।
পুরোনো দের মতে মহারানী সুদক্ষিনা দেবী দুর্গা কে স্বপ্নে দেখেন, কি ন্ত দেবীর দশ হাত দেখে তিনি ভয় পেয়ে যান। তখন রাজাদের কুলপুরোহিত বিধান দিলেন মন্দিরে দেবীর দুই হাত দেখা যাবে।বাকী হাতগুলো পেছনে থাকবে দেখা যাবে না।আর তখন থেকেই দুর্গা দেবি দুই হাত নিয়ে পূজা হয়ে আসছে।
এই দিকে ত্রিপুরা ১৯৪৯ সালে ১৫ অক্টোবর ভারত ভূক্ত হয়। তখন ভারত সরকারের সাথে এক চুক্তি হয়েছিল রাজ আমলের সব দেবদেবীর মন্দিরে খরচ রাজ্য সরকার কে বহন করতে হবে। সেই থেকে দুর্গা বাড়ির পুজো সব খরচ সরকারি কোষাগার থেকে করা হয়ে আসছে।থেকেই । প্রতিমা তৈরি করা, হাট বাজার করা হয়। সরকারি উদ্যোগে ব্যান্ড পার্টি বাজনা সহ পুলিশের থেকে গার্ড অফ অনার দেয়া হয়।নবমী দিন মায়ের সামনে মহিষ এবং পাঠাঁ বলি দেয়া হত। এই বলি প্রথা ২০১৯ সালে ২৪ সেপ্টেম্বর ত্রিপুরা হাইকোর্ট থেকে এক নির্দেশ মোতাবেক তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সেই থেকে আর নবমীতে মহিষ এবং পাঠাঁ বলি দেয়া হয় না।
পীতাম্বর আচার্য বংশধর গন আজ ও দুর্গা প্রতিমা তৈরি করে আসছে। পুজোর সময় এই দুর্গা বাড়িতে উপচে পড়া ভিড় পরিলক্ষিত হয়।