🎀 শাসক দলের আরো এক বিধায়কের পদত্যাগ 🎀

হাবেলী প্রতিবেদন।২৩সেপ্টেম্বর । আগরতলা।

শাসক বি জে পি আরো এক বিধায়ক বুরবমোহন ত্রিপুরা আজ বিধায়ক পদে ইস্তফা দিলেন। আজ কে ত্রিপুরা বিধানসভা অধ্যক্ষ রতন চক্রবর্তী অফিসে পদত্যাগ জমা দিয়েছেন।কি কারণে পদত্যাগ করেছেন কিছুই তিনি চিঠিতে উল্লেখ করেন নি।
২০১৮ সালে রাজ্যে বি জে পি সরকার প্রতিষ্ঠা হয়। সেই থেকে এখন পর্যন্ত শাসক দলের কেন্দ্র এবং রাজ্য নেতৃত্ব কাজে বীতিশ্রদ্ধ হয়ে চারজন বিধায়ক পদ ছেড়েছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন বিধায়ক সুদীপ রায়বর্মন, আশীষ সাহা, আশীষ দাস ।আজ পদত্যাগ করলেন বুরবমোহন ত্রিপুরা।শ্রী ত্রিপুরা ৪৩নং এস টি সংরক্ষিত আসন করবুক থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন।

উল্লেখ্য তিনি অনেক আগেই বি জে পি ছাড়তে আগ্ৰহী ছিলেন। কিন্তু শাসকদল বি জে পি দলের বিধায়কদের আটকে রাখার জন্য মরিয়া হয়ে বিধায়কদের মেয়াদকাল সাড়ে চার বছর করেন। এই মেয়াদ কাল ঊর্তীন্ন না করেন তাহলে বিধায়কের সমস্ত সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন। সেই জন্য অনেক নবনির্বাচিত বিধায়ক গন এতদিন অপেক্ষা করে ছিলেন।
জানাগেছে শাসকদলের আরও অনেক বিধায়ক সহসাই বিধায়ক পদে ইস্তফা দিতে পারেন। পদত্যাগ করে সেই সব বিধায়ক গন কংগ্রেস দলে যোগদান করতে পারেন ?

শাসকদল প্রথম রাজ্যের ক্ষমতায় বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মতামত নিয়ে এসেছিল। ক্ষমতায় আসার পর থেকে দলের রাজ্য নেতৃত্ব কাজে বিধায়কদের একাংশ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে ছিল।সমস্ত বিষয় কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ অবগত আছেন। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ রাজ্যের নেতৃত্বে অবাধ বিশ্বাস নিয়ে চলছে।
জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে বিধায়ক হতে সকলে যেখানে হন্যে হয়ে পড়েন। সেখানে সব সুবিধা বাদ দিয়ে এক এক করে চারজন বিধায়ক বিধানসভা সদস্য পদ ছেড়ে দিয়ে চলে গেছেন।
বি জে পি সহযোগী দল আই পি এফ টি এক বিধায়ক বৃষকেতু দের্ববমা ও বিধায়ক পদে ছেড়েছেন। অধ্যক্ষ
বৃষকেতু দের্ববমা কে কি কারণে পদত্যাগ করেছেন তা জানতে দীর্ঘদিন অপেক্ষা করেছিলেন। কিন্তু বিধায়ক বৃষকেত বিধানসভা ভবন মুখি আর হন নি।

দেশের মধ্যে দেখা যায় দলত্যাগ করতে বিধায়কদের। ত্রিপুরাতে উল্টো পথে বিধায়ক গন। বিধানসভা সভার সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। রাজ্যের ইতিহাসে এই প্রথম ঘটনা ঘটেছে।

বি জে পি সংগঠন কে শক্তিশালী করতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের প্রতিনিধিদ্বয় রাজ্যে অবস্থান করছিলেন ।গত দুই দিন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ রাজ্যের বিধায়ক সহ রাজ্য সংগঠন নেতৃত্ব দের মিটিং করেছেন। প্রশ্ন উঠছে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বুরবমোহন ত্রিপুরা বিষয়ে আগাম কোন কিছু অনুভব করতে পারেন নি।

Leave a Comment

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না।