হাবেলী প্রতিবেদন।২০ সেপ্টেম্বর। আগরতলা।
দীর্ঘ দিন ঝুলে থাকার পর বিতর্কিত বৃষকেতু দের্ববমা বিধায়ক পদ খারিজ করলেন অধ্যক্ষ রতন চক্রবর্তী আজ। তিনি আই পি এফ টি দলের হয়ে সিমনা এস টি সংরক্ষিত আসন থেকে ২০১৮ সালে নির্বাচনে লড়াই করে জয়ী হয়ে বিধানসভায় প্রবেশ করে ছিলেন। বিধায়ক পদে থাকাকালীন সময়ে বৃষকেতু দের্ববমা দল ত্যাগ না করে তিপরা মথা দলে যোগ দান করেছেন।
উল্লেখ্য দলবিরোধী কার্যকলাপের জন্য সিমনার আই পি এফ টি বিধায়ক বৃষকেতু দের্ববমা র বিধায়ক পদ খারিজ করার জন্য দলের পক্ষে সভাপতি এন সি দেবর্বমা অধ্যক্ষকে চিঠি দিয়েছিলেন।সে সাথে তার বিরুদ্ধে দল বিরোধী কার্যকলাপ যাবতীয় তথ্য প্রমান ও অধ্যক্ষ কাছে জমা দিয়েছেন। তাৎপর্য বিষয় হল আইন না মেনে এবং সশরীরে হাজির না হয়ে সামাজিক মাধ্যমে একটি পদত্যাগ পত্র পাঠিয়ে দিয়েছিলেন ।যা আইনত বৈধ নয়। স্বাভাবিক ভাবে ওর পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করা হয় নি।
এরপরে থেকে বিধায়ক কে অধ্যক্ষ বেশ কয়েকবার নোটিশ পাঠিয়েছেন।বেশ কয়েকবার তাকে অধ্যক্ষ সামনে হাজির হয়ে তার বক্তব্য জানাতে বলা হয়। কিন্তু একবার ও বিধায়ক বৃষকেতু দের্ববমা অধ্যক্ষ সামনে হাজির হয় নি। রাখেন নি কোন বক্তব্য।
অন্যদিকে দলের সভাপতি এন সি দেবর্বমা প্রতিটি শুনানিতে অধ্যক্ষ সামনে হাজির ছিলেন।
সে অনুযায়ী ১৯ সেপ্টেম্বর বৃষকেতু দের্ববমা সর্বশেষ শুনানি দিন ছিল। সেই দিন ও বৃষকেতু হাজির হয় নি অধ্যক্ষ সামনে।
অপরদিকে আই পি এফ টি সভাপতি এন সি দেবর্বমা অসুস্থ থাকায় উনার পক্ষে আইনজীবী হাজির ছিলেন। সব কিছু বিবেচনা করে অধ্যক্ষ শ্রীচক্রবর্তী চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিধায়ক পদ খারিজ করা হয়েছে আজ।
বিধায়ক পদ খারিজ হলে পরর্বতী বিধানসভা নির্বাচনে বৃষকেতু সিমনা বা অন্য কোন বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হতে পারবেন কিনা ? রাজ্য নির্বাচন কমিশন অনুমতি দিলে তবেই বৃষকেতু নির্বাচনে লড়তে পারবেন।
আগামী পাঁচ মাস পর রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন।এই সময়ের মধ্যে বিধায়ক পদ খারিজ হওয়ার পর সিমনা কেন্দ্র বিধায়ক পদ শূন্য। যেহেতু ছয় মাসের কম সময় রয়েছে তাই এখন আর উপনির্বাচন করতে হবে না।
পরর্বতী সময়ে বৃষকেতু দের্ববমা আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করতে হলে উনাকে নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করে অনুমতি পেলে তবেই নির্বাচনে লড়াই করার সুযোগ পাবেন।