১০৩২৩ জন চাকরি ফিরে পাবার দাবিতে শিক্ষা দপ্তর ঘেরাও ৪৮ ঘন্টা অধিক

হাবেলী প্রতিবেদন।১৫ সেপ্টেম্বর। আগরতলা।

চাকরি চ্যুত ১০৩২৩ জন শিক্ষক শিক্ষিকাগন গতকাল ( বুধবার)সকাল থেকে আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত শিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তা অফিস ঘেরাও করে রেখেছে। তাদের দাবি তাদের কে চাকরি তে নিয়োগ করতে হবে নয়তো তাদের কে চাকরি থেকে অব্যাহতি কাগজ পৃথক পৃথক ভাবে সকলকে দিতে হবে।
গতকাল শিক্ষা দপ্তর অধিকর্তা তাদের সাথে চাকরি চ্যুত বিষয় নিয়ে আলোচনা করার সময় দিয়েছে বলে চাকরি চ্যুত দের অভিযোগ।
কিন্তু সকালে অধিকর্তা অফিস এসে দেখেন অধিকর্তা অফিসে আসেন নি।শিক্ষকগন অধিকর্তার অফিসের ভেতরে বসে পড়েন। পরবর্তীতে অধিকর্তার অফিসের একাংশ অফিসার শিক্ষকদের সাথে আলোচনা বসেন। কিন্তু সুষ্ঠ সমাধান না হ‌ওয়াতে শিক্ষক গন অধিকর্তা অফিস ঘেরাও করে রাখে। গতকাল ভোররাতে শিক্ষক শিক্ষিকা দের জোর করে পুলিশ তাদের কে তুলে নিয়ে যায় এ ডি নগর পুলিশ মাঠে। সেখানে তাদেরকে নেয়ার পর পূলিশ আজ দিনে ছেড়ে দেয়।ছাড়া পাবার পর শিক্ষক শিক্ষিকা গন পুনরায় শিক্ষা অধিকর্তা অফিসে ছুটে আসে। পুনরায় শিক্ষা অধিকর্তা অফিস ঘেরাও অব্যাহত করে রেখেছে।
চাকরি চ্যুত শিক্ষকদের দাবি তাদের চাকরি যায় নি। সুপ্রীম কোর্টের কাছ থেকে আর টি আই মাধ্যমে শিক্ষকগণ জেনে ছেন। চাকরি চ্যুত দের সাথে তাদের সম্পর্ক নেই। শিক্ষকদের দাবি চাকরি গিয়ে থাকে তাহলে দপ্তর সকলকে পৃথক পৃথক ভাবে কাগজ দিয়ে বিষয়টি জানিয়ে দিক। কিন্তু দপ্তর কোন এক অজ্ঞাত কারণে তাদের কে চাকরি কর্মস্থলে যোগ দিতে দিচ্ছে না। চাকরি চ্যুত কাগজ ও দিচ্ছে না। এই অবস্থায় শিক্ষক শিক্ষিকা গন আন্দোলন কে তীব্র আকার ধারণ করতে চাইছেন। সামনে বিধানসভা নির্বাচন। নির্বাচনের আগেই রাজ্য সরকার কে এই বিষয়ে স্পষ্টিকরণ দিতে হবে। নয়তো বিধানসভা নির্বাচনে শিক্ষকদের চাকরি চ্যুত বিষয়টি রাজনৈতিক বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়াবে। এখন দেখার সরকার এবং শিক্ষকগন এই বিষয় কোথায় নিয়ে শেষ করেন। চাকরি চ্যুত শিক্ষকদের ১৪৩ জন এখন পর্যন্ত হতাশাগ্ৰস্ত হয়ে মৃত্যু কোলে ঘরে পড়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রী আগেই জানিয়েছেন সুপ্রীম কোর্টের নির্দেশ পেলে তাদের কে চাকরি দিতে অসুবিধা নেই।

Leave a Comment

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না।