হাবেলী প্রতিবেদন। ১৫ সেপ্টেম্বর। আগরতলা।
বায়ো ভিলেজ স্থাপনে ত্রিপুরা এখন সমগ্ৰ দেশের কাছে অন্যতম মডেল হয়ে উঠছে। বহুমুখী উন্নয়ন মূলক পরিকল্পনা নিয়ে বায়ো ভিলেজ প্রকল্পটি রাজ্যে চালু করা হয়েছিল।এর প্রথম ও প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে পরিবেশের কোনো ক্ষতি না করে গ্ৰামীন মানুষের আর্থিক অবস্থার উন্নয়ন। কৃষির পাশাপাশি প্রাণী পালনের মাধ্যমে জীবিকা বিকল্প পথ বের করা। প্রচলিত বিদ্যুৎ পরিবর্তে সৌর শক্তি কে কাজে লাগানো, রাসায়নিক সার ও কিটনাশকের উপর নির্ভরশীল তা কমিয়ে জৈব পদ্ধতিতে চাষ বাসে উৎসাহিত করা। স্বাস্থ্য সন্মত কৃষি জাতপণ্য উৎপাদনে আগ্ৰহী করে তোলা।
রাজ্যে জৈবগ্ৰাম প্রকল্প ব্যাপক সাফল্য লাভ করায় প্রতি বছর নতুন নতুন গ্ৰাম অধিগ্ৰহন করা হচ্ছে এই প্রকল্পে। রাজ্য সরকারের বায়োটেকনোলজি ডিরেক্টরেট এই গ্ৰামগুলির কাজ রূপায়ণের কাজে যুক্ত রয়েছে।এই ডিরেক্টরেট ড. অজ্ঞন সেনগুপ্ত র পরিকল্পনায় রাজ্যে প্রথম বায়ো ভিলেজ প্রকল্প শুরু হয়।
তিনি জানান প্রথমে ব্রজেন্দ্রনগর গ্ৰামকে বায়ো ভিলেজ হিসেবে অধিগ্ৰহন করা হয়। অন্য সকল গ্ৰাম থেকে বায়ো ভিলেজ পার্থক্য সম্পর্কে ড. অজ্ঞন সেনগুপ্ত বলেন এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে গ্ৰামের সংসাধনকে কাজে লাগিয়ে মানুষের আয় বৃদ্ধি করা এবং জীবন যাপনের মানকে আর ও উন্নত করা। সেই সঙ্গে রাসায়নিক সার এবং কীটনাশকের উপর নির্ভর শীতলতা কমিয়ে জৈব পদ্ধতিতে কৃষি করার ওপর গুরুত্ব দেওয়া। এইসব গ্ৰামের মানুষরা মূলত কৃষির সঙ্গে জড়িত তাই তাদের কি করে চাষের খরচ কমানো যায়। সেই বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। বিশেষ করে রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের পরির্বতে বাড়ির বিভিন্ন গাছপালা পচনশীল আবর্জনা গোবর ইত্যাদি ব্যবহার করে জৈব সার তৈরি করা হয়। রাসায়নিক সার পরিবর্তে জৈব সার পদ্ধতিতে রোগ দূর করার ওষুধ তৈরি প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এছাড়া ও গ্ৰামের কৃষকদের পাশাপাশি তাদের পরিবারের সদস্যরা ও আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী হতে পারেন।তার জন্য মহিলাদের মধ্যে ঊন্নত প্রজাতির ছাগল, মোরগ, মোমমাছির বাক্স বিতরণ করা হয়। মাশরুম চাষের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
যাদের বাড়িতে গরু রয়েছে তাদের বাড়িতে গোবর থেকে জৈব তৈরা গ্যাস প্ল্যান বসানো হয় ।
যাদের বাড়িতে পুকুর রয়েছে। তাদের মধ্যে মাছের পোনা বিতরণ করা হয়। মৎস্য দপ্তর ছাড়া প্রানীবিকাশ দপ্তর থেকে ও মাছসহ অন্যান্য প্রানী দের খাবার, মাশরুম চাষের জন্য প্রয়োজনীয় এবং প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এছাড়া প্রাণী গুলো সঠিক ভাবে বৃদ্ধি পায় কিনা ।সুস্থ্য থাকে কি না তা পরীক্ষা করে দেখা হয়।
গ্ৰামের মানুষদের স্বাচ্ছন্দের কথা চিন্তা করে এল ই ডি বাল্প ,ফ্যানসহ আধুনিক প্রযুক্তির অন্যান্য গৃহ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।এর ফলে মাসিক বিদ্যুৎ বিল থেকে শুরু করে রান্নার গ্যাসের খরচ অনেক টাই কম হয়। একি ভাবে সমান গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে বাস্ততন্ত্র এবং পরিবেশের ভারসাম্য যাতে নষ্ট না হয় সেদিকে। বিশ্বজুড়ে যেভাবে পরিবেশ দূষণ বাস্ততন্ত্র নষ্ট হচ্ছে তাযাতে কমিয়ে আনা যায় জৈব গ্ৰামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের মধ্যে এটিও একটি বলে জানান তিনি।জৈব পদ্ধতিতে চাষাবাদ করেন চাষীগন তাহলে রাসায়নিক সার ব্যবহার কমিয়ে ৭৫শতাংশ আনা যাবে।এর ফলে মাটির স্বাস্থ্য অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে।ফসল ও সব্জী পরাণ সং যোগ কারি যে সকল কীটপতঙ্গ রয়েছে তার বৃদ্ধি হবে। স্বাভাবিক ভাবে উৎপাদন ও বাড়বে। যা পরিবেশর ক্ষায় বিশেষ ভূমিকা গ্ৰহন করবে।
রাজ্যে এখন পর্যন্ত ৮টি গ্ৰামকে বায়ো ভিলেজ প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে। ধীরে ধীরে এই প্রকল্পের মাধ্যমে আরও গ্ৰামকে নিয়ে আসা হবে।