আসন্ন পুজোতে চাঁদার জুলুম বরদাস্ত করা হবে না: মুখ্যমন্ত্রী

আসন্ন পুজোতে চাঁদার জুলুম বরদাস্ত করা হবে না: মুখ্যমন্ত্রী

স্থানীয় জনগণের সাথে আলোচনা করে চাঁদা আদায় করতে

পুজো উদ্যোক্তাদের প্রতি মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা আহ্বান জানিয়েছেন । স্থানীয় রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে পুজো উদ্যোক্তা ক্লাব, পাড়া, বাজার কমিটির সাথে নিয়ে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।এই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী, তথ্য সংস্কৃতি মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী,আগরতলা পুর নিগমের চেয়ারম্যান দীপক মজুমদার, মুখ্য সচিব জে কে সিনহা ,ডি জি অমিতাভ রজ্ঞন, বিদ্যুৎ দপ্তরের সচিব ব্রীজেশ পান্ডে, পশ্চিম জেলা শাসক দেবপ্রিয় বর্ধন,ক্লাব ফোরামের সভাপতি প্রনব সরকার, পুর নিগমের জোনাল চেয়ারম্যান গন।

মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা আরো বলেন পুজোর চাঁদা কারো উপর বোঝা না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে এলাকাবাসীর সাথে আলোচনা করে স্থির করার উপর জোর দেন। অহেতুক চাঁদার নামে যেন পুজো কালিমা লিপ্ত না হয়। সেই দিকে সকলকে খেয়াল রাখতে বলেন।চাঁদা নিয়ে কোন অভিযোগ এলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এই নিয়ে সতর্ক করে দেন।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন শারদোৎসব সদভাবনার উৎসব।উৎসবকে কেন্দ্র করে ভ্রাতৃত্ব বোধ এবং সংহতির পরিবেশ সুসংহত করার প্রয়োজন।

আত্মনির্ভর ত্রিপুরার স্লোগান বাস্তবায়ন লক্ষ্যে স্থানীয় শিল্পীদের প্রাধান্য দিতে ও পুজো আয়োজকদের প্রতি আহ্বান রাখেন।

বড় বড় পুজো উদ্যোক্তাগন স্থানীয় শিল্পীদের বাদ দিয়ে বহিরাগতদের দিয়ে কাজ করেন। রাজ্যের শ্রমিক ও শিল্পীদের দিয়ে কাজ করা হলে রাজ্যেই অর্থ থেকে যাবে।

পুজোতে উশৃঙ্খলতা সৃষ্টি না হয় সেদিকেও ক্লাব কতাদের নজর রাখতে হবে। নেশা সামগ্ৰী বর্জন করার আহ্বান জানান তিনি। সেই সাথে পুজোতে বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে অনুমোদন নিয়ে করতে নির্দেশ দেন।

তথ্য সংস্কৃতি মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন এইবার প্রথমবার বিজয়া দশমী উপলক্ষে আয়োজিত মায়ের গমন অনুষ্ঠানে অংশ গ্ৰহন করার আহ্বান জানান।সাত অক্টোবর এই অনুষ্ঠান করা হবে। এই উপলক্ষে পোস্ট অফিস চৌমুহনী এলাকায় প্যারাডাইস চৌমুহনী ,মেলার মাঠ হয়ে দশমীঘাট পযন্ত বিভিন্ন ক্লাবের দুর্গা প্রতিমা গুলিকে নিয়ে বনাঢ্য রেলি করে দশমী করা হবে।

পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ে করে আগরতলা শহরকে সাজিয়ে তোলা হবে বলে পুর নিগম চেয়ারম্যান দীপক মজুমদার জানান।

Leave a Comment

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না।