হাবেলী প্রতিবেদন। ১৩ সেপ্টেম্বর। আগরতলা।
চাকরি ইস্যুতে শাসক তিপরা মথা দলকে বিরোধী দল এ ডি সি অধিবেশনে নাস্তানাবুদ করে ছাড়ল। আত্মরক্ষার্থে দপ্তর নির্বাহী সদস্য কে বাঁচাতে নামতে হলো ডেপুটি সি ই এম অনিমেষ দেবর্বমা কে। তারপর ও বিরোধী দলের সদস্য পদ্মলোচন ত্রিপুরার কাছ থেকে শাসকদল কে বাঁচাতে চেয়ারম্যান জগদীশ দেবর্বমা কে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে। চেয়ারম্যান হস্তক্ষেপ করায় পদ্মলোচনবাবু উস্মা প্রকাশ করেন।
এ ডি সি পরিচালিত খুমুলুঙ একাডেমিতে সম্প্রতি শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। শিক্ষক নিয়োগ করার ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ।
এছাড়া ২০০৯ শিক্ষা আইনের নির্দেশিকা মত চাকরিতে নিয়োগ করা হয় নি বলে দপ্তরের নির্বাহী সদস্য চিত্তরঞ্জন দেবর্বমা একথা বলেন।
চুক্তির ভিত্তিতে শিক্ষকের পরিবর্তে চুক্তির ভিত্তিতে টিউটরদের ১১ মাসের জন্য নিয়োগ করা হয়েছে। চাকরি ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ ডি সির দুইজন কর্মচারী কে কেন বরখাস্ত করা হয়েছে । চাকরি যদি সুষ্ঠুভাবে হয়ে থাকে। তাহলে কর্মচারী দ্বয়ের চাকরি যায় কিভাবে ? এই নিয়ে দীর্ঘ সময় বাকবিতন্ডা চলতে থাকে। কিছুতেই বিরোধী সদস্যকে আয়ত্তে আনতে পারছিলেন না চিত্তরঞ্জন দেবর্বমা।
পরে চেয়ারম্যান জগদীশ দেবর্বমা ডেপুটি সি ই এম অনিমেষ দেবর্বমা কে হস্তক্ষেপ করতে বলেন। তখন শ্রীদেবর্বমা জানান চাকরি নিয়োগ পত্র ছেড়ে দেওয়ার আগেই কিভাবে তা ফাঁস হয়ে যায়।সরকারি কর্মচারী গোপনীয়তা বজায় রাখতে হয়। গোপনীয়তা ফাঁস হয়ে যায় তখন দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মচারী বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত চলছে।
গতকাল একদিনের অধিবেশন এ ডি সি সদর দপ্তর খুমুলুঙ স্থিত পরিষদীয় ভবনে অনুষ্ঠিত হয়।
কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে এ ডি সি এলাকায় অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে এ ডি সি প্তশাসন চিঠি পাঠাবে। দৃষ্টি আকর্ষণ উত্থাপন করেন সদাগর কল ই।
এছাড়া এ ডি সি তে ১১৯৪ কি মি রাস্তা রয়েছে। এই রাস্তা রক্ষনাবেক্ষন করার জন্য এ ডি সি মাত্র বাজেট বরাদ্দ ৪৭৫ কোটি টাকা করা হয়। এই স্বল্প বরাদ্দ দিয়ে রাস্তাঘাট সংস্কার করা সম্ভব নয়। রাজ্য সরকার এ ডি সি চাহিদা মত অর্থ না দেওয়াতে উন্নয়ন কাজ ব্যাহত হয়।
চলতি অধিবেশনে এবার ও চারটি বিল মুখ্যনির্বাহী সদস্য পূর্ণ চন্দ্র জমাতিয়া পেশ করেন।১) দ্য টি টি এ এ ডি সি পুলিশ সার্ভিস রুলস ২০২১ ।
২) টি টি এ এ ডি সি ভিলেজ কমিটি ( কন্ডাক্ট অফ ইলেকশন) ( ৪ র্থ এমেন্ডমেন্ট ) রুলস ২০২২.
৩) ত্রিপুরা ট্রাইবেল এরিয়াস অটোনোমাস ডিস্ট্রিক। ভিলেজ কমিটি ( এডমিনিষ্ট্রেশন ) (সেকন্ড এমেন্ডমেন্ট ) রুলস ২০২২.
৪) টি টি এ এ ডি সি ভিলেজ কমিটি ( মেন্টেনেন্স অফ রেজিষ্ট্রার অফ ওর্ডিনারি রেসিডেন্টস ) রুলস ২০২২.
এই বিলগুলোর উপর আলোচনায় অংশ নেন বিরোধী দল নেতা বিমল চাকমা , শৈলেন্দ্র নাথ, সনজিৎ রিয়াং।রাজ্যপাল মনোনীত সদস্য বিদ্যুৎ দের্ববমা। শাসকদলের সদস্য রবীন্দ্র দেবর্বমা, ডেপুটি সি ই এম অনিমেষ দেবর্বমা এবং সি ই এম পূর্ণ চন্দ্র জমাতিয়া বিলের উপর আলোচনা করেন। এই বিলগুলোর উপর দশ দিন অধিবেশনে আলোচনা করতে হবে।দশদিন আলোচনা শেষ হবার পর বিলগুলো সভায় পেশ করবেন চেয়ারম্যান। তখন অধিবেশন থেকে বিলগুলো সভায় গ্ৰহন করতে হবে।