হাবেলী প্রতিবেদন।৪সেপ্টেম্বর। আগরতলা।
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে শাসকদল বি জে পি কে চাপে ফেলতে। বিরোধী দল গুলো আস্তে আস্তে ঘর থেকে বেরিয়ে জনগনের মুখোমুখি হতে শুরু করেছে। পাহাড়ে তিপরা মথা দল এবং সমতলে কংগ্রেস দল নতুন ভাবে সাংগঠনিক তৎপরতা শুরু করেছে।
গত বিধানসভা নির্বাচনের সময় কংগ্রেসের জামানত বাজেয়াপ্ত হ ওয়াতে সেদিন বি জে পি রাজ্যের ক্ষমতায় এসে ছিল।এই বিধানসভা নির্বাচনে পাহাড়ে তিপরা মথা এবং সমতলে কংগ্রেস দল শক্তিশালী হ ওয়াতে শাসকদলের রাতের ঘুম হারাম হয়ে যাচ্ছে।
শাসক দলের রাজ্য নেতৃত্বের অনভিজ্ঞ তার জন্য আজ ক্ষমতায় থেকেও চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে। সেই দিন ব্যাক্তিগত ইগু লড়াই করতে গিয়ে শাসকদলের
কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ সুদীপ রায়বর্মন এবং সুবল ভৌমিকের বিরুদ্ধে আক্রোশ মূলক প্রতিশোধ নিতে যায়। সেই দিন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ অনভিজ্ঞ রাজ্য নেতৃত্ব কথায় না চলে জনগণের মতামত শুনতেন। সুদীপ এবং সুবল , আশিষ কে না তাড়িয়ে দলে রেখে দিতেন। তাহলে শাসকদলক কে পুনরায় ক্ষমতায় ফিরে আসতে কোন রকম চাপের কাছে পড়তে হতে হত না।
সুদীপ রায়বর্মন শাসকদল বি জে পি ত্যাগ করে কংগ্রেসে যোগদান করায় জনগনের বিশাল অংশের সমর্থন ও পেয়েছেন। রাজ্যের এ প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত পর্যন্ত সুদীপ রায়বর্মন নেতৃত্বে কংগ্রেস দল সাংগঠনিক শক্তি মজবুত করতে চষে বেড়াচ্ছেন। প্রতিদিন শাসকদল বি জে পি ত্যাগ করে জনগন কংগ্রেস দলে যোগদান করেছেন।
রাজ্যে এখন ও বি জে পি নির্দিষ্টভাবে ভোট ব্যাঙ্ক তৈরি হয় নি। আজ না হয় বি জে পি দশ শতাংশ ভোট ব্যাঙ্ক তৈরি হয়েছে। এখন যারা শাসক দলের চারপাশে ঘুরঘুর করছে। এদের কত শতাংশ থাকবে দল ক্ষমতা চ্যুত হলে।এক সময়ে বামফ্রন্টের সমর্থন আশানুরূপ ছিল। ক্ষমতা চ্যুত হবার পর এখন আর সেই জনসমর্থন নেই।
২০১৮ সালে বামফ্রন্টের কাজে এবং দলের একাংশ ক্যাডারবাহিনীর অত্যাচার হাত থেকে রক্ষা পেতে বি জে পিতে ভিড় করে ছিল।
আজ শাসকদলের কাজে বীতিশ্রদ্ধ হয়ে কংগ্রেস এবং বামফ্রন্টের ভোটের বিশাল অংশের সমর্থন বি জে পি থেকে সরে যাচ্ছে। সেই ক্ষেত্রে বি জে পি শাসকদলের বহু বিধায়ক পুনরায় বিধানসভাতে ফিরে আসতে পারবে না বলে অভিমত। সুদীপের নেতৃত্বে কংগ্রেস যেভাবে উইপোকার মত করে বি জে পি কে কুড়ে খাচ্ছে। সেই খান থেকে বি জে পি বিধানসভা নির্বাচনের আগে কতখানি ঘুরে দাঁড়াতে পারবে তাই এখন দেখার।
আশঙ্কা করা হচ্ছে আসন্ন দুর্গোৎসব পরে শাসকদলের ঘরে এখন কার থেকে আরও বেশি শক্তি নিয়ে কংগ্রেস ঝাঁপিয়ে পড়বে। তখনই বুঝতে পারা যাবে শাসকদল বি জে পি নিজেদের ঘর কতখানি অটুট রাখতে পারেন।
অন্যদিকে পাহাড়ে বি জে পি আর ও দুরবস্থার সন্মুখিন হবে।এ নিয়ে আর কোন যুক্তি শাসকদল জনগনের সামনে তুলে ধরতে পারেন। কিন্তু পাহাড়ের জনগন তাদের নেতা বুবাগ্ৰা তথা প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মা মহারাজার হাতকে ছেড়ে আসবে না।
সেই ক্ষেত্রে বর্তমান পরিস্থিতি বজায় রাখতে পারে মথা । তাহলে বি জে পি অনেক আসনে প্রার্থী কে জামানত বাজেয়াপ্ত হাত থেকে রক্ষা করতে পারবে না। যদিও বা শাসকদল বিষয়টি এখন সহজে মেনে নিতে রাজি হবে না। আজকে যাদের মাধ্যমে পাহাড়ে জনজাতি জনগনের মধ্যে সংগঠন করতে দায়িত্ব দিয়েছে দল। পাহাড়ে এদের
জনসমর্থন কি পর্যায়ে রয়েছে।তা আর একবার যাচাই করা হ উক। দলের সর্ব ভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডাকে খুমুলুঙ এ জনসমাবেশের আয়োজন থেকে দল বুঝতে পারে নি। তাদের দলের ভিত কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
যদিও শাসকদল নিজেদের আত্মসন্মান বাঁচাতে বিরোধী দল তিপরা মথা দলের উপর দোষারোপ করতে পিছু পা হছে না। বি জে পি এবং জনজাতি নেতাদের আত্মসমালোচনা খুব ই দরকার।
শাসক দলের বিধায়ক এবং এম ডি সি ক্ষমতার মোহ ত্যাগ করে কেন বিরোধী দলে ভীড় করছেন।তা একবার শাসকদলের রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ পর্যালোচনা করা খুবই দরকার। নয়তো আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে দল কে আগামী দিনে আরো কঠিন প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে বলে রাজনৈতিক অভিজ্ঞ মহলের অভিমত।