ককবরক ভাষা লিপি নিয়ে রাজ্য সরকার দ্বিচারিতায় ক্ষুব্ধ এ ডি সি প্রশাসন

হাবেলী প্রতিবেদন।৩ সেপ্টেম্বর । আগরতলা।

ককবরক ভাষা লিপি সনাক্তকরণে রাজ্য সরকার দ্বিচারিতা পথ অবলম্বন করছেন বলে অভিযোগ ।এ ডি সি শিক্ষা দপ্তরের নির্বাহী সদস্য চিত্তরঞ্জন দেবর্বমা। আজ এ ডি সির ককবরক দপ্তর উদ্যোগে একদিবসীয় ককবরক কর্মশালা খুমুলুঙ প্রধান প্রশাসনিক ভবনে অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালার উদ্বোধন করেন চিত্তরঞ্জন দেবর্বমা। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন এস সি ই আর টি ও এস ঠিক প্রার্থপ্রতীম আচার্য , ত্রিপুরা বিশ্ব বিদ্যালয়ের ককবরক শাখার বিভাগীয় প্রধান সুখেন্দু দেবর্বমা ও ককবরক ভাষা কবি বিকাশ রায় দেবর্বমা কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ককবরক কর্মশালা
উদ্বোধনী ভাষণে শিক্ষা দপ্তরের নির্বাহী সদস্য চিত্তরঞ্জন দেবর্বমা বলেন ১৯৭৯ সালে ককবরক ভাষা কে সরকারি ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। এখনো এর ভাষা লিপি স্থির করেনি রাজ্য সরকার। রোমান না বাংলা লিপিতে ককবরক ভাষা চর্চা করা হবে।এ নিয়ে বিতর্ক আজো চলছে।
লিপি নির্ধারণ করতে দুই টি ভাষা কমিশন বসিয়ে দিল। উভয় কমিশন রোমান লিপির সপক্ষে মতামত দিয়েছিল।
বামফ্রন্ট এবং বি জে পি কোন সরকার এই লিপি সমস্যা মিটিয়ে দিতে উদ্যোগ গ্ৰহণ করা হয় নি বলে মন্তব্য করেন।
তিনি আরো জানিয়েছেন একাংশ দেবনাগরি লিপিতে ককবরক ভাষা চর্চা করার পরামর্শ দিয়েছেন।দেবনাগরীতে ককবরক লিপি চর্চা করা হয় । তাহলে সংবিধানে ৮ তফশিল অন্তর ভূ‌ক্ত করা হবে।

রাজ্য সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোতে বাংলা লিপিতে ককবরক ভাষা চর্চা করছে। ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে বিশ্ব বিদ্যালয়ে ককবরক শিক্ষা দেয়া হয় । রোমান এবং বাংলা লিপিতে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এখন পর্যন্ত ৩৩০ ককবরক ভাষায় এম এ ঊর্তীন্ন হয়েছে।
এদের সকলেই রোমান লিপির মাধ্যমে ককবরক ভাষা চর্চা করেছে।
আরও বলেন মিজোদের মাতৃভাষা রোমান লিপির মাধ্যমে চর্চা করা হয়। এদের জনসংখ্যা পাঁচ লাখ হবে।অথচ ককবরক ভাষা চর্চা জনসংখ্যা ১১লাখের অধিক।অথচ রাজ্য সরকার আজো ভাষা লিপি স্থির করেনি।
ভাষা লিপি আজো স্থির না হ ওয়াতে জনগনের মধ্যে তীব্র চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।

Leave a Comment

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না।