হাবেলী প্রতিবেদন। ১৯আগষ্ট । আগরতলা।
আজ এন এল এফ টি অতর্কিত হামলায় বি এস এফ এক জোয়ান নিহত হয়েছে। এই ঘটনার সংবাদ পেয়ে মহকুমা পুলিশ অতিরিক্ত বাহিনী নিয়ে ঘটনা স্থলে ছুটে গেছেন। ঘটনার সাথে জড়িতদের সন্ধানে ব্যাপক তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে। এখনো ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর জেলার কাঞ্চনপুর মহকুমার অন্ততগত আনন্দবাজার থানার অধীনে খাংতালাং ঢাকা পাড়ায়।এটি ত্রিপুরা মিজোরাম এবং বাংলাদেশ সীমান্তে জনজাতি অধ্যুষিত এলাকায়।জুম্পুই পাহাড়ের পাদদেশ। বি এস এফ ১৪৯ নং ব্যাটেলিয়ন জোয়ান ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে নিরাপত্তা দায়িত্বে রয়েছে। অন্যান্য দিনের মতো আজও বি এস এফ হেড কনষ্টবল গিরিশ কুমার উড্ডিন নেতৃত্বে সীমান্তে নিরাপত্তা দায়িত্বে ছিলেন। সেই সময় এন এল এফ টি সদস্য গন অতর্কিত হামলা সংগঠিত করে। হামলায় বি এস এফ এক জোয়ান গুলির আঘাতে গুরুতর ভাবে আহত হয়।বি এস এফ জোয়ান গন পাল্টা জবাব দিলে গভীর জঙ্গলে আত্তগোপন করতে পারে। পরবর্তীতে হামলার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত জোয়ান ছুটে গিয়ে আহত জোয়ানকে ঘটনা স্থল থেকে উদ্ধার করে হেলিকপ্টার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য জি বি হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে পোছার আগেই জোয়ান শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এই সংবাদ রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে সর্বত্র শোকের ছায়া নেমে আসে।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা ঘটনার সংবাদ পেয়ে সাথে সাথে পুলিশের উদ্ধতন কতৃপক্ষ কে নির্দেশ দিয়েছেন উগ্ৰপন্থী হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে।
উগ্ৰপন্থী অতর্কিত হামলায় জোয়ান মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। শোক সন্তপ্ত পরিবারবর্গের প্রতি গভীর সমবেদনা ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
বিরোধী দল নেতা মানিক সরকার ও নিহত জোয়ানের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। শোক সন্তপ্ত পরিবারবর্গের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। রাজ্যে বেশকিছু দিন যাবৎ উগ্ৰপন্থীদের আনাগোনা চলছিল। এই নিয়ে স্থানীয় সংবাদ পত্রে সংবাদ পরিবেশন হয়েছে। তারপরও রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতর থেকে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয় নি।
আসন্ন দুর্গোৎসব আগে এন এল এফ টি অতর্কিত হামলায় জনমনে নতুন করে উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। ২০১০সালের আগের সেই রক্ত ঝড়া দিন গুলো ফিরে আসবে না তো ?
সামনে এ ডি সি তে ভিলেজ কমিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের আগে ঊগ্ৰপন্থীদের হামলার ভয়ে মিশ্র বসতি এলাকার অনুপজাতি মানুষ মধ্যে চরম আতংকে মধ্যে রয়েছে।
ধারনা করা হচ্ছে রাজ্যের চারিদিকে ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেয়া হয়েছে। যদিও কিছু কিছু এলাকায় আজো কাঁটা তারের বেড়া কাজ শেষ করা হয় নি। কাঞ্চনপুর মহকুমার সীমান্তে আজো কাঁটা তারের বেড়া দেয়া কাজ শেষ হয় নি। এই ফাঁকা জায়গা কে করিডোর করে উগ্রবাদীগন রাজ্যে আসা যাওয়া করে । কাঞ্চনপুর মহকুমার একটা এলাকায় মিশ্র জনগনের বসবাস রয়েছে। নির্বাচনের আগে মিশ্র বসতি এলাকায় উগ্ৰপন্থী হামলা সংঘর্ষ হয় । তাহলে অনুপজাতি জনগন আতঙ্কে মধ্যে দিন কাটবে।অপর এক গোষ্ঠী উগ্ৰপন্থীদের মাধ্যমে নিজেদের দিকে ভোটের ফল সরিয়ে নিতে সক্ষম হবে।
রাজ্য সরকার এখন ই কঠোর হাতে উগ্ৰপন্থী কার্যকলাপ দমন না করে তাহলে আগামী দিনে এর জন্য সরকারের চরম খেসারত দিতে হবে।