হাবেলী প্রতিবেদন। আগরতলা।৯ আগষ্ট।
ভারতীয় জনতা পার্টি ত্রিপুরা পরর্বতী রাজ্য সভাপতি তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরে মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী হচ্ছেন ? এই নিয়ে চলছে দলের অন্দরে নতুন করে জল্পনার দানা বাঁধতে শুরু করেছে। নয়তো কি জন্য আচমকা জরুরি ভিত্তিতে রাজ্য থেকে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় দিল্লীতে।
সুশান্ত চৌধুরী দিল্লীতে দলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সংগঠন বি এল সন্তোষ সাথে একান্তে মিলিত হন। এছাড়া দলের রাজ্যের দায়িত্ব প্রাপ্ত সংগঠনের নেতাদের সাথে ও মিলিত হন বলে সংবাদ।
ভারতীয় জনতা পার্টির সর্ব ভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা সাথে এখনো দেখা হয় নি।
যদিও শ্রীচোধুরী কেন্দ্রীয় ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ মন্ত্রীসহ অনেকের সাথে দেখা করেছেন।
রাজ্য বিজেপি প্রশিক্ষণ শিবির কুমার ঘাটে অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে শ্রীচৌধুরী তিনি নিজেও উপস্থিত ছিলেন। প্রশিক্ষণ শিবির থেকে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নিদের্শে প্রশিক্ষণ শিবির ত্যাগ করে তিনি দিল্লীতে ছুটে গেছেন।
তখন দিল্লীতে অবস্থান করছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা দলের সভাপতি ডাক্তার মানিক সাহা। পরবর্তী সময়ে রাজ্য থেকে দিল্লী ছুটে গেছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা দলের সভাপতি বিপ্লব কুমার দেব ।
রাজ্য বিজেপি সাংগঠনিক অবস্থা যে পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে। শাসকদল বি জে পি মাত্র চার বছরের মধ্যে রাজ্যের জনগনের মনে সরকারের কাজকর্ম নিয়ে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। বিধানসভা নির্বাচন আর কয়েক মাস বাকি সেখান থেকে দলকে ঘুরে দাঁড়াতে কেন্দ্রীয় কমিটি নেতৃবৃন্দ চেষ্টা কম করছেন না।
রাজ্য সভাপতি এবং মুখ্যমন্ত্রী পদে মানিক সাহা। একসাথে দুই পদে কাজ করা সম্ভব নয়।
রাজ্য সভাপতি পদে একজন কে দায়িত্ব দিতে হবে।
সভাপতি পদের দাবি দার হলেন মন্ত্রী রামপ্রসাদ পাল এবং তাপস ভট্টাচার্য।
এছাড়া বর্তমান সহ-সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য সহ আরও বেশ কয়েকজন লাইনে রয়েছেন। দলের অন্যতম আর এস এস ঘরানার ব্যক্তিত্ত্ব কিশোর বর্মন রাজ্যের সাংগঠনিক সম্পাদক কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নজরে ছিলেন।
বর্তমান রাজ্য রাজনীতির যা হালচাল সে অবস্থা থেকে দলকে ২০১৮ সালের পর্যায়ে তুলে দাঁড় করাতে ভাল সংগঠক প্রয়োজন। বর্তমান তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী আগে জাতীয় কংগ্রেসের যুবশাখার ত্রিপুরা সভাপতি ছিলেন। সেই সময় রাজ্যে বামফ্রন্টের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলতে সক্ষম হন তিনি।
এছাড়া সুদীপ রায়বর্মন বি জে পি ছেড়ে কংগ্রেস দলে যাবার পর থেকে রাজ্যে কংগ্রেস দল গুড়ে দাঁড়াতে শুরু করেছে।এই অবস্থা চলতে থাকে তাহলে আগামী নির্বাচনে বি জে পি তীব্র চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হতে পারে।
কংগ্রেস এবং সুদীপ রায়বর্মন কে মোকাবিলা করতে বি জে পি কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার পথ খুঁজতে শুরু করেছে।
এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ সুশান্ত চৌধুরী কে রাজ্য সভাপতি পদে বসিয়ে দেন।তাহলে রাজ্য রাজনীতি তে বি জে পি ঘুরে দাঁড়াতে পারবে বলে রাজনৈতিক অভিজ্ঞ মহলের ধারণা।শ্রীচৌধুরীর রাজ্যব্যাপি সংগঠন গড়ে তোলার অভিজ্ঞতা রয়েছে।
রাজ্য সভাপতি নির্বাচন করার আগে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ প্রাক্তন সভাপতি এবং বর্তমান সভাপতি মতামত শুনবেন। উভয় সভাপতি সাথে শ্রীচৌধুরীর সুসম্পর্ক রয়েছে। সেই দিক দিয়ে শ্রীচৌধুরী অনেক এগিয়ে রয়েছেন।
অন্যদিকে রামপ্রসাদ পাল দলের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী পরির্বতন এবং বিপ্লব দেব সভাপতি হবার সময়ে যেসব ঘটনা করেছেন। এছাড়া সরকারের মধ্যে থেকে একসময় সুদীপ তথা সংস্কার পন্থী বলে পরিচিত লাভ করেছেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের কাছে।এক ই পথে তাপস ভট্টাচার্য ও চলেছেন। সেই জন্য দলের কেন্দ্রীয় কমিটি কিছুতেই এদের কে সভাপতি পদে বসাতে রাজি হবেন বলে ধারনা করা হচ্ছে। ।তবে রামপ্রসাদ এবং তাপসবাবু উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেবর্বমার মাধ্যমে কতটুকু কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের কাছে পৌঁছতে পারে।তাই এখন দেখার।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শ্রীদেবকে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে হটিয়ে দিতে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ দুই মাস আগে রাজ্যে দুইবার বেসরকারি পর্যায়ে সার্ভে করেছিল। সেই সার্ভের আবাস পেয়ে রাজ্যের কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক মুখ্যমন্ত্রী হবার লক্ষে রাজ্যে চষে বেড়াতে শুরু করেন। কিন্তু দল উনাকে মুখ্যমন্ত্রী না করে দলের সভাপতি ডাক্তার মানিক সাহা কে মূখ্যমন্ত্রী পদে বসিয়ে দেন । তারপর থেকে শ্রীভৌমিক রাজ্যে কাজের গতি কমিয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ।
এখন দেখার দল কাকে পরর্বতী সভাপতি পদে বসিয়ে দেন। উনার অধীনে ত্রিপুরা উপজাতি এলাকা স্বশাসিত জেলা পরিষদের ভিলেজ কমিটি নির্বাচন হবে। পরর্বতীতে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন হবে। সাথে রয়েছে পরর্বতী সময়ে রাজ্য সভার শূন্য পদে কাকে পাঠাবে তা নির্ভর করবে।